Web bengali.cri.cn   
গরমের ছুটিতে সানইয়ান শহরের ছোট দ্বীপে 'চলুন বেড়িয়ে আসি'
  2013-08-14 16:11:47  cri

বেড়ানোর জন্য গ্রীষ্মকালই সম্ভবত উত্তম সময়। অনেকে এ সময়ে ছুটি নিয়ে বিভিন্ন পর্যটন স্থানে ঘুরে বেড়ান। তবে কিছু কিছু স্থানে গরমের সময় বেড়ানো কষ্টসাধ্য। কারণ, সেখানে খুব বেশি গরম পরে। তবে, সমুদ্রের কাছাকাছি স্থানে বেড়ানো সবসময়ই আরামদায়ক। আর সেটা যদি হয় সমুদ্রের দ্বীপ, তাহলেতো কথাই নেই। বন্ধুরা, আজকের অনুষ্ঠানে আমরা আপনাদের নিয়ে চীনের দক্ষিণাঞ্চলের হাইনান প্রদেশের সানইয়া শহরের একটি দ্বীপে বেড়াতে যাবো। সমুদ্রের বুকে অবস্থিত শান্ত এই দ্বীপে বেড়ানোর আনন্দই আলাদা।

আলিম. পেইচিং থেকে বিমানে চড়ে বসলে ৩ ঘন্টায় হাইনান প্রদেশের সানইয়া শহরে পৌঁছানো যায়। বিমানবন্দর থেকে গাড়িতে উপকন্ঠ এলাকার শানহু উপসাগরের হোটেল। সমুদ্রের ঢেউ-এর শব্দ শুনে এবং বাতাসে বিশেষ গন্ধ অনুভব করে, শুরু হবে দ্বীপের ভ্রমণ। জুন মাস থেকে সানইয়ার আবহাওয়া হয়ে যায় উষ্ণ আর আর্দ্র। তবে, রাতের ঘুম শেষে ভোরবেলায় জেগেই আপনি উপভোগ করতে পারবেন আরামদায়ক নরম বাতাস ও সমুদ্রের চমত্কার দৃশ্য। সানইয়ার অধিকাংশ ভালো হোটেল উপকন্ঠ এলাকায় অবস্থিত। কোনো কোনো হোটেল বনের মধ্যে, প্রাকৃতিক পরিবেশে থাকার সুযোগ দেয়। আজকাল সানইয়া শহরের ইয়ালোং উপসাগর ও তাতুং সাগরে পর্যটকের সংখ্যা অনেক বেড়েছে। তবে ওই দুটি স্থান থেকে শানহু উপসাগর অনেক শান্ত আর নিরিবিলি। এই উপসাগরের আকার ইংরেজি অক্ষর ইউ-এর মতো। এর তিন দিকে পাহাড়, আর এক দিকে দিগন্ত বিস্তৃত সমুদ্র। শানহু উপসাগরকে চীনের প্রবাল-ঘাঁটি বলা হয়।

সুবর্ণা. হ্যাঁ, প্রবালকে চীনা ভাষায় বলা হয় শানহু। এ উপসাগরে প্রচুর প্রবাল পাওয়া যায় বলে লোকেরা একে ডাকে শানহু উপসাগর বলে। বন্ধুরা, আমরা অবশ্যই আপনাদের এ-এলাকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য সম্পর্কে আরো তথ্য জানাবো। তবে, তার আগে একটি সুন্দর গান শুনি। গানের নাম 'প্রবালের সমুদ্র'। গানের কথা মোটামুটি এমন: 'দূর-দুরান্তের সমুদ্রের আকাশ অন্ধকার হয়ে গেছে/ আমার দুঃখ কিভাবে ঢেকে রাখি?/ আমার চেহারায় যদি দুঃখ ফুটে ওঠে, তবে কিছু করার নেই/ তুমি বললে, চলে যাবে/ আমার অশ্রু সমুদ্রের মতো ভেঁসে যায়/ আমরা সমুদ্রের পাখি ও মাছের মতো পরস্পরকে ভালোবাসি/ শুধু আমাদের জগত দুই রকম/ আমাদের ভালোবাসা শুধুমাত্র প্রবাল সমুদ্রেই গোপন করতে হবে...

আলিম. আচ্ছা, সুন্দর গানটি শোনার পর এখন শানহু উপসাগরের আরো কিছু তথ্য জানাই। গভীর বনে নির্মিত হোটেলের রাস্তার দু'ধারে নানা ধরনের গ্রীষ্মমণ্ডলীয় উদ্ভিদ দেখা যায়। সেখানে দেখা যায় নারিকেল গাছ, আম গাছ ও ফিনিক্স গাছের পাতা একে অপরের সাথে মিলেমিশে একাকার হয়ে গেছে। আপনি সমুদ্রের দিকে তাকাবেন। সমুদ্রের রঙ হাল্কা সবুজ থেকে গভীর নীল রঙয়ে পরিণত হবে। আপনি খালি পায়ে নরম বালি দলে পৌঁছাবেন সমুদ্রের কাছে; সমুদ্র সস্নেহে আপনার পা ধুয়ে দেবে ছন্দের তালে তালে। নরম বাতাসে আপনারা সৈকতের অদূরে সমুদ্রে স্কাই-ডাইভিং করতে পারেন। ভীষণ মজার অভিজ্ঞতা সেটি। সুর্যালোকে সমুদ্রের নিচে ১৮ মিটার থেকে ৩০ মিটার পর্যন্ত সবকিছু পরিস্কার দেখা যায়। তাকালেই দেখবেন নানা রঙয়ের প্রবাল ও ছোট মাছের অবাধ সাঁতার। ওদের সঙ্গে সাঁতার কাটতে আপনি নেমেও যেতে পারেন সমুদ্রের স্বচ্ছ পানিতে।

সুবর্ণা. আলিম ভাই, কয়েক বছর আগে আমি সানইয়ায় বেড়াতে গিয়েছিলাম। সেখানকার সামুদ্রিক খাবার আমার খুব ভালো লেগেছে। প্রতিদিন ভোরবেলায় টাটকা মাছ, কাঁকড়া ও চিংড়ি মাছসহ বিভিন্ন ধরণের সামুদ্রিক খাবার পাওয়া যায়। আপনি কিছু তাজা মাছ পছন্দ করে দেবেন, আর রেস্তোরাঁর সেফ তা দিয়ে রান্না করে দেবে আপনার পছন্দের ডিস। এই তরতাজা ডিস খাওয়ার আনন্দই আলাদা। উন্মুক্ত রেস্তোরাঁয়, সমুদ্রের সামনে বসে সেসব খাবার খাওয়া ছিল আমার খুব পছন্দের কাজ। শুধু সমুদ্রের মাছ নয়, সেখানে পাওয়া যাবে তাজা ডাবের পানি এবং বিভিন্ন ফলের জ্যুস। খুব মজার।


1 2
সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদন
মন্তব্যের পাতা
ভিডিও চিত্র
সাক্ষাত্কার
চিঠিপত্র
Play Stop
© China Radio International.CRI. All Rights Reserved.
16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040