|
সুবর্ণা: হুইশান জেলার মাটির পুতুল জাদুঘর একটি মজার পর্যটন স্থান। স্থানীয় যুবক শিল্পীরা নতুন পদ্ধতিতে ঐতিহ্যবাহী হুইশান মাটির পুতুল ডিজাইন করতে আগ্রহী। তারা প্রতিযোগিতার মাধ্যমে মাটির পুতুলের নতুন ডিজাইন সংগ্রহ করে, যাতে ঐতিহ্যবাহী মাটির পুতুলের আকৃতি, কাপড় ও ভঙ্গি নতুন স্টাইল দেখা যায়। পর্যটকরা এখানে বেড়াতে আসলে নতুন ধরনের স্মারকবস্তু কিনতে পারেন।
শিহাব: পর্যটন স্থানের কিছু তথ্য জানলাম আমরা। এখন চলুন আরেকবার ফিরে যাই গানে। এখন যে গানটি আমরা শুনবো, সেটির শিরোনাম 'উশি শহরের দৃশ্য'।
সুবর্ণা: সুন্দর প্রাকৃতিক দৃশ্য ও সমৃদ্ধ সংস্কৃতির বাইরে উশি শহরের রসালো বাওজি আমার মনে গভীর প্রভাব ফেলেছে। সেটা প্রধানত কাঁকড়ার কিমার পুর এবং ময়দা দিয়ে তৈরি গোল আকারের পিঠা। এ বাওজি তৈরি করার পর বাঁশের পাত্রে করে কয়েক মিনিট ভাপে সিদ্ধ করার পর খাওয়া যায়। ভাপে সিদ্ধ করার পর বাওজির ভিতরে অনেক গরম রস জমে। এ বাওজির আকার একটি মাঝারি প্লেটের মতো বড়। খাওয়ার সময় নল দিয়ে বাওজির মাথার দিকে বেলুন বড় করার মতো করে ভিতরে কিছু বাতাস ঢুকিয়ে দিতে হয়। একটু ঠাণ্ডা হওয়ার পর বাওজি খেতে হয়। হুইশান জেলার প্রবেশ এলাকার বড় দরজার কাছে ইছিনইউয়ান নামক রেস্তোরাঁর রসালো কাঁকড়া-বাওজি সবচে সুস্বাদু।
শিহাব: উশি শহর নদীর কাছে অবস্থিত। স্থানীয় কাঁকড়া খুব সুস্বাদু খাবার। শরত্কাল অর্থাত্ অক্টোবর মাস স্থানীয় নদীর কাঁকড়া ধরার সময়। তখন আত্মীয়স্বজনদের এক সঙ্গে বসে ভাপে সিদ্ধ করা টাটকা কাঁকড়া খাওয়া অঞ্চলে বেশ প্রচলিত।
সুবর্ণা: আপনি কি কাঁকড়া খেতে পছন্দ করেন? চীনের নদীর কাঁকড়া খেয়েছেন, কেমন লাগে?
শিহাব: আমি আসলে কাঁকড়া খাই না। তবে শুনেছি কাকড়া খুব সুস্বাদু খাবার; চিংড়ির মতো। আমাদের দেশে মুসলমানদের মধ্যে কাঁকড়া খাওয়ার চল একটু কম, যদিও ধর্মীয়ভাবে নিষেধাজ্ঞা নেই।
সুবর্ণা: আচ্ছা, উশি শহর সম্পর্কে অনেক তথ্য জানলাম আমরা। আবার গানের পালা। এবারের গানের শিরোনাম 'সেই রাতের বাতাস'। গানের কথা এমন: "সেই রাতের বাতাসের হঠাত্ আগমন, আমাকে তোমার কাছে নিয়ে যায়/আমার মন আর নিজের ভেতরে থাকে না। সেই রাতে বৃষ্টি না হলেই ভালো/ আমার মনে হয় তুমি আমার জন্য কাঁদো। ভাগ্যের আমাদের দু'জনের দেখা। আমাদের প্রেম তোমার জন্য হয়তো একটি সহজ ব্যাপার। তুমি কখনো আমাকে গ্রাহ্য করো নি...."
শিহাব: সুন্দর গানটি শোনার পর এখন শ্রোতাদের চিঠি পড়ে শোনাবো।
বাংলাদেশের নওগাঁও জেলার বোয়ালিয়া থেকে মোসাম্মত্ লাইলি আখতার ...... লিখেছেন: "সুবণা ও শিশির এর উপস্থাপনায় আজকের অনুষ্ঠানটি ছিল এক কথায় অপূর্ব, সর্বসেরা। গেল সপ্তাহের শনিবারে পেইচিংয়ের কনসার্ট হলে 'প্রাচ্য ও প্রাচ্যের মিলন' শীর্ষক চীন ও ভারতের সংগীতঙ্গদের নিয়ে যে কনসার্টটি হয়ে গেল, তা হয়তো নিজ চোখে দেখার সৌভাগ্য হয় নি, তবে অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সি আর আই-এর সাহায্যে যতটুকু উপভোগ করেছি, সত্য ই তা যেন আমার হ্রদয় মনকে পুলোকিত করেছে। পুরোপুরি আনন্দে ভরে দিয়েছে আকপটে তা বলতে আমার বিন্দুমাত্র দ্বিধা নেই। সংগীতের যে সংমিশ্রিত মিষ্টি সুর অনুষ্ঠানে উপভোগ করার সৌভাগ্য লাভ করেছি, এ জন্য লক্ষ বার সুবর্ণা ও শিশির আপুকে অন্তরের অন্তস্থল থেকে আন্তরিক অভিনন্দন ও হৃদয় নিংড়ানো প্রাণঢালা শুভেচছা জানাচ্ছি। অনুষ্ঠানে উপভোগ করেছি তরুণ ভট্টাচার্য, লিউ ইউয়ে নিংপ্রমুখ সংগীতজ্ঞের মিষ্টি সুরের সংগীত। আমার প্রত্যাশা, আগামীতেও আমরা সি আর আই-এর কল্যাণে এ ধরনের আরো ভাল মানের কনসার্ট শুনবো। সকলকে আবারো অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।"
সুবর্ণা: রাজশাহী জেলার দুর্গাপুরের তেকাতপারার মো. এনামুল হক লিখেছেন: "সুর্বণা আপু ও আলিমুল ভাইয়া, আপনাদের প্রতি আমার শুভেচ্ছা রইল। 'চলুন বেড়িয়ে আসি' অনুষ্ঠান নিয়মিত শুনি এবং ভাল লাগে। ১৯ জুন-এর অনুষ্ঠানে 'সি'আন শহরের বৈশিষ্ট্যময় ইতিহাস ও সংস্কৃতি' সম্পর্কে শুনলাম। এই প্রতিবেদন থেকে জানতে পারলাম, সি'আন অনেক প্রাচীন শহর এবং এর ইতিহাস ও ঐতিহ্য বৈশিষ্ট্যপূর্ণ। প্রাচীনকালে সি'আন ১৩টি রাজবংশ আমলের রাজধানী ছিল। খুবই বিখ্যাত শুহাইমেন সড়ক এ সি'আনে অবস্থিত। এছাড়া বিখ্যাত সৈনিক ও ঘোড়ার টেরাকোটা এ সি'আনে অবস্থিত। এখানকার খাবার খুবই লোভনীয়। লিয়ানফি এখানকার বিখ্যাত খাবারগুলির মধ্যে অন্যতম। বিভিন্ন উত্সব উপলক্ষে চীনারা অনেক রীতিনীতি মেনে চলে। এ প্রতিবেদন থেকে অনেক অজানা তথ্য জানতে পারলাম। এসব তথ্য জানানোর সুযোগ করে দেবার জন্য 'চলুন বেড়িয়ে আসি' অনুষ্ঠানকে ধন্যবাদ জানাই। পরবর্তী অনুষ্ঠানে আরও আকর্ষণীয় প্রতিবেদন প্রচার করার আহবান জানিয়ে লেখায় আজকের মতো ইতি টানছি।"
© China Radio International.CRI. All Rights Reserved. 16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040 |