Web bengali.cri.cn   
ঘুড়ির শহর ওয়েইফাংতে: চলুন বেড়িয়ে আসি
  2013-04-24 15:48:45  cri
গত শনিবার চীনের শানতুং প্রদেশের ওয়েইফাং শহরে ৩০তম আন্তর্জাতিক ঘুড়ি উত্সব শুরু হয়েছে। গত বছর আমি আর জিনিয়া একসঙ্গে এ-উত্সবে অংশ নিয়েছিলাম এবং নানা ধরণের সুন্দর সুন্দর ঘুড়ি দেখেছি। চলতি বছর আমাদের সহকর্মী শিহাবুর রহমান বাংলাদেশের ঘুড়ি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে ওয়েইফাংতে গেছেন উত্সবে অংশ নিতে। আজকের অনুষ্ঠানে আমরা প্রথমে শিহাবুর রহমানের ওয়েইফাং ঘুড়ি উত্সবের সাক্ষাত্কার প্রচার করবো; তারপর, আপনাদের জন্য ওয়েইফাং শহরের বিভিন্ন পর্যটন তথ্য জানিয়ে দেবো।

আলিম: ওয়েইফাং শহরের ইতিহাস সুদীর্ঘকালের, প্রায় ৭০০০ বছর আগে লোকজন এখানে বসবাস করতে শুরু করে। ওয়েইফাং শহরের ঘুড়ি বিশ্ব বিখ্যাত। একে চীনের ঘুড়ির জন্মস্থান বলেও আখ্যায়িত করা হয়। জানা গেছে, বিংশ শতাব্দীর ত্রিশের দশকে ওয়েইফাংতে প্রথম 'ঘুড়ি মেলা' আয়োজিত হয়েছিল। নয়া চীন প্রতিষ্ঠার পর ওয়েইফাংয়ের ঘুড়ি শিল্প আরও প্রাণচঞ্চল হয়েছে। তারপর থেকে দেশ-বিদেশের প্রতিযোগীরা এখানকার ঘুড়ি প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে আসছেন।

সুবর্ণা. ১৯৮৪ সালের পয়লা এপ্রিল মার্কিন বন্ধু ডেভিড চাকলের সাহায্যে এবং শানতুং প্রদেশের পর্যটন ব্যুরোর সহায়তায় ওয়েইফাংয়ের প্রথম আন্তর্জাতিক ঘুড়ি উত্সব আয়োজিত হয়। ১৯৮৮ সালের পঞ্চম আন্তর্জাতিক ঘুড়ি উত্সবে ওয়েইফাংকে 'বিশ্ব ঘুড়ি শহর' উপাধি দেয়া হয়। ১৯৮৯ সালে যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, বৃটেন ও ইতালিসহ বিশ্বের ১৬টি দেশ ও অঞ্চলের ঘুড়ি সংস্থা নিয়ে গঠিত 'আন্তর্জাতিক ঘুড়ি ফেডারেশন'প্রতিষ্ঠিত হয়ে এবং তখন থেকে বিশ্বের আরও বেশি দেশ ও অঞ্চলের ঘুড়ি সংস্থা এ-ফেডারেশনে যোগ দেয়।

আলিম. আচ্ছা, তাহলে ওয়েইফাং ঘুড়ি উত্সবের কিছু তথ্য জানার পর এখন গানের পালা। গানের নাম 'ঘুড়ি'। গায়িকা চীনের তাইওয়ান প্রদেশের শিল্পী লিন ই লিয়ান।

আলিম. শুনেছি, ২০১২ সাল থেকে ওয়েইফাং আন্তর্জাতিক ঘুড়ি উত্সব আয়োজিত হচ্ছে এপ্রিল মাসের তৃতীয় শনিবার থেকে। এটা কি ঠিক?

সুবর্ণা. হ্যাঁ, কারণ চীনের চান্দ্র পঞ্জিকা অনুযায়ী মার্চ মাসে অর্থাত্ বসন্তকাল ঘুড়ি ওড়ানোর সবচে ভালো সময়।

আলিম. তাহলে ওয়েইফাংয়ে কী কী মজার মজার দর্শনীয় স্থান আছে? যদি আমি বেড়াতে যাই, কোথায় যেতে হবে?

সুবর্ণা. আমার মনে করি আপনি যদি সেখানে বেড়াতে যান, তবে আপনাকে অবশ্যই প্রথমেই যেতে হবে ওয়েইফাং 'আন্তর্জাতিক ঘুড়ি জাদুঘর'-এ। সেটি চীনের প্রথম বড় আকারের ঘুড়ি জাদুঘর। এর আয়তন ৮১০০ বর্গমিটার। জাদুঘরের স্থাপত্য ড্রাগনের মাথার আকৃতির। জাদুঘরের ছাদটি চীনা মাটি দিয়ে তৈরী একটি বড় ড্রাগন। এ ধরনের ডিজাইন চীনে আর কোথাও নাই। এটি বিশ্বের ঘুড়ি শহরের বৈশিষ্ট্যময় স্থাপত্য। তা ছাড়া, ওয়েইফাং শহরের কেন্দ্রীয় এলাকায় বিশ্ব ঘুড়ি চত্বর আছে; সেখানে নানা রকমের ঘুড়ি ওড়ানো যায়। গত বছর যখন আমি ওয়েইফাংতে যাই, তখন দেখেছি অনেক লোক নিজেদের ঘুড়ি নিয়ে এ চত্বরে আসেন; তারা নানা ধরনের সুন্দর সুন্দর ঘুড়ি একসাথে আকাশে ওড়ান; দারুণ সুন্দর ও মজার দৃশ্য।


1 2
সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদন
মন্তব্যের পাতা
ভিডিও চিত্র
সাক্ষাত্কার
চিঠিপত্র
Play Stop
© China Radio International.CRI. All Rights Reserved.
16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040