|
আলিম. সুন্দর গান শোনার পর এবার আমি ছোট সাদা ভবনের খানিকটা পরিচয় তুলে ধরতে চাই। শুনেছি, ছোট সাদা ভবনের আয়তন বেশি নয়। তবে এটিই এখন থিয়ানচিন শহরের সংস্কৃতি, বিনোদন ও রেস্তোরাঁ শিল্পের কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। নয়াচীন প্রতিষ্ঠার পর একে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে সমৃদ্ধ ব্যবসা এলাকা। এখানে শপিং মল, ওষুধের দোকান, ফলের দোকান, চা পাতার দোকান, বইয়ের দোকান, জুতার দোকান, কাপড়ের দোকান, সেলুন, রেস্তোরাঁ সবই আছে। এসব দোকানে উচ্চ গুণগত মানসম্পন্ন দামী পণ্য বিক্রি হয়।
সুবর্ণা. ছোট সাদা ভবনের কাছে একটি মিষ্টির দোকান আছে। দোকানটির চীনা নাম ছিশিলিন। এখানো রুশ স্টাইলের মিষ্টি কেক ও পাউরুটি পাওয়া যায়। গত দশ বছর ধরে দোকানটি চালু আছে। আমি যখন থিয়ানচিনে বেড়াতে যাই, তখন এ-দোকান থেকে নানান ধরণের মিষ্টি কিনে খেতে ভুলি না। এসব মিষ্টার স্বাদ আমার খুব ভালো লাগে।
ছোট সাদা ভবনের অদূরে একটি দৃষ্টিনন্দন জাদুঘর আছে। জাদুঘরের বাইরের দেয়ার নানা রঙয়ের চীনা মাটির টুকরা দিয়ে সাজানো। দেখতে দারুণ সুন্দর লাগে। ভবনের সামনে একটি ল্যান্ডরোভার ব্র্যান্ডের পুরনো গাড়ি সাজিয়ে রাখা হয়েছে। এ-গাড়িটিও সাজানো হয়েছে চীনা মাটির টুকরো দিয়ে। অনেক পর্যটক গাড়ির সাথে ছবি তোলেন। ছুটির দিনে প্রেমিক-প্রেমিকা বা স্বামী-স্ত্রীরা হাতে হাত রেখে এলাকার রাস্তায় হেঁটে বেড়ায়; তখন সেখানে বেশ রোমান্টিক পরিবেশ সৃষ্টি হয়।
ছোট সাদা ভবনের কাছে কয়েকটি পাশ্চাত্য স্বাদের রেস্তোরাঁ আছে। এর মধ্যে একটি রুশ রেস্তোরাঁ কয়েক দশক ধরে চালু আছে। রেস্তোরাঁটি চলছে একটি পুরনো ভবনে। এ-ভবনটিতে রুশ স্থাপত্যের বৈশিষ্ট্য দৃশ্যমান এবং রেস্তোরার রান্নাও বেশ মজার। আপনারা উদাদাওয়ের চীনা মাটি জাদুঘরে বেড়াতে আসলে অবশ্যই একবার এ-রেস্তোরায় ঢুঁ মারবেন। ভালো লাগবে।
আলিম. আচ্ছা, শ্রোতাদের কথা জানি না; আমি কিন্তু রেস্তোরার খাবার চেখে দেখবো বলে মনে মনে ঠিক করে ফেলেছি। সে যাক, এখন আবারো গানের পালা। গানের নাম 'চীনা অপেরার মুখোশের গল্প'। থিয়ানচিন শহরের লোক চীনা অপেরা ও বিভিন্ন ধরনের আঞ্চলিক অপেরাসহ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান বেশ পছন্দ করেন। এ গানের মধ্যে চীনা অপেরার সুর আছে; আছে চীনা বাদ্যযন্ত্রের বাজনা। চলুন একসঙ্গে গানটি শুনি।
© China Radio International.CRI. All Rights Reserved. 16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040 |