Web bengali.cri.cn   
তিব্বতের কাংশা গ্রামের সমৃদ্ধি অর্জনের অভিজ্ঞতা
  2012-08-17 19:28:29  cri

 তিব্বতের আলি অঞ্চলের পুলান জেলার পাগা জনপদের কাংশা গ্রাম চীন, ভারত ও নেপালের সীমান্তরেখার সংলগ্ন স্থানে অবস্থিত। অতীতে এটা একটি দরিদ্র সীমান্ত গ্রাম ছিল। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে 'পবিত্র পাহাড় ও হ্রদের' পাশের বিশেষ ভৌগোলিক অবস্থানের ওপর নির্ভর করে গ্রামটি জোরালোভাবে পর্যটন শিল্প উন্নয়ন করে অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ হয়েছে। সম্প্রতি সিআরআই'র সংবাদদাতা কাংশা গ্রাম সফর করেন।

চমরি গাই মালবাহী দলের সাহায্যে পর্যটকরা পবিত্র পাহাড়ে ঘুরে বেড়ান

কাংশা গ্রাম কাংরেনপোছি পাহাড়ের পাদদেশে আর মাপাংইয়োছো হ্রদের পাশে অবস্থিত। এ পবিত্র পাহাড় ও হ্রদের রহস্য এবং আকর্ষণীয় শক্তির দরুণ কাংশা গ্রামের সুনাম ছড়িয়ে পড়ে দেশি-বিদেশি পর্যটক ও তীর্থযাত্রীদের পবিত্র স্থানে পরিণত হয়েছে। প্রতি বছর হাজার হাজার ধর্মাবলম্বী ও পর্যটক এখানে আসেন। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে এখানকার উচ্চতা প্রায় ৫০০০ মিটার। এখানকার পবিত্র পাহাড় ও হ্রদ ঘুরে বেড়াতে তীর্থযাত্রীদের খুব কষ্ট হয়। তাদের মালপত্র প্রধানত শ্রমিক বা পশুর সাহায্যে বহন করা হয়। পাগা জনপদ সরকার এ বাণিজ্যিক সুযোগ উপলব্ধি করে ১৯৯৬ সালে কাংশা গ্রামের চমরি গাই মালবাহী দল গঠন করে। স্থানীয় পশুপালকরা নিজের চমরি গাই ও ঘোড়ায় করে পর্যটকদের মালপত্র বহন করে নিজেদের আয় বৃদ্ধি করেন।

গত বছর চমরি গাই মালবাহী দল আনুষ্ঠানিকভাবে চমরি গাই পরিবহন পর্যটক সেবা সহযোগিতা অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে নিবন্ধিত হয়েছে। তখন থেকে তারা সাংগঠনিকভাবে নিয়মিত সেবা প্রদান করেন। প্রতি বছরের এপ্রিল থেকে অক্টোবর পর্যন্ত তারা বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আগত তীর্থযাত্রী ও পর্যটকদের খাওয়া, থাকা, পরিবহন ও ভ্রমণসহ নানা সেবা দেন। এ শিল্প থেকে তাদের লক্ষণীয় মুনাফা অর্জিত হয়েছে। কাংশা গ্রামের মাথাপিছু আয় ধাপে ধাপে বৃদ্ধি পেয়েছে। অতীতকালের দরিদ্র গ্রাম আলি এখন অঞ্চলের সবচেয়ে সমৃদ্ধ গ্রামে পরিণত হয়েছে।

সংস্কার ও উন্মুক্তকরণ চালু হওয়ার আগে কাংশা গ্রাম দীর্ঘদিন ধরে আলি অঞ্চলের ২৩টি দরিদ্র গ্রামের অন্যতম ছিল। এ গ্রামের মানুষ অধিকাংশ পশুপালক ছিল। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তিব্বতের উন্মুক্তকরণের মাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ার সাথে সাথে আলি অঞ্চলের পরিবহন ও অবকাঠামোর নিরন্তর উন্নতি হয়েছে। আরো বেশি দেশি-বিদেশি পর্যটক আলি ভ্রমণ করছেন। পাগা জনগণের কমিউনিস্ট পার্টি কমিটির সম্পাদক ফান উ থাও বলেন,'প্রতি বছর প্রায় ২৪ হাজার পর্যটক ও ধর্মাবলম্বী এখানে আসেন। বেশির ভাগ পর্যটক সিঙ্গাপুর, জাপান, ভারত ও নেপালসহ বৌদ্ধ ধর্মীয় দেশ থেকে আসেন। তাদের মধ্যে চার ভাগের তিন ভাগ হচ্ছেন ভারতীয় তীর্থযাত্রী।'

তীর্থযাত্রীরা সাধারণত স্থানীয় চমরি গাই দলকে ভাড়া করে তাদের ভ্রমণের জন্য মাল পরিবহন করেন।

1 2 3
সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদন
মন্তব্যের পাতা
ভিডিও চিত্র
সাক্ষাত্কার
চিঠিপত্র
Play Stop
© China Radio International.CRI. All Rights Reserved.
16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040