|
বন্ধুত্বপূর্ণ নগরের সম্পর্ক আরো সুসংবদ্ধ হচ্ছে। বাংলাদেশ ইয়ুন নান দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার ওপর খুব গুরুত্ব দেয়। চলতি বছর মার্চ মাসে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চীন সফরকালে পেইচিং ছাড়া, তিনি ইয়ুন নান বিশেষভাবে সফর করেছেন। ২০০৫ সাল থেকে ইয়ুন নানের খুনমিং থেকে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা পর্যন্ত সরাসরি বিমান চালু হয়েছে। দু'দেশের আর্থ-বাণিজ্যিক বিনিময় অব্যাহতভাবে উন্নত হচ্ছে। এবার পণ্য মেলায় যোগ দেয়া বাংলাদেশের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আমদানি ও অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য বিভাগের কর্মকর্তা জনাব শওকত আলি ওয়ারেশি বলেছেন,
(বাংলা ভাষা)
তিনি বলেন, বাংলাদেশ আশা করে, চীন চট্টগ্রাম ব্যবহার করে ইয়ুন নান প্রদেশের বৈদেশিক রপ্তানির পথ নির্ধারণ করবে। চীন ও বাংলাদেশের সরকার সরাসরি সড়ক ও রেলপথের যোগাযোগ বরাবরই বিবেচনা করছে। খুনমিং থেকে মিয়ানমার হয়ে চট্টগ্রাম পর্যন্ত সড়ক ও রেলপথ চালু করার সম্ভাবনা রয়েছে।
বাংলাদেশ ও ইয়ুন নান প্রদেশের স্থল পরিবহন ব্যবস্থা নির্মাণের আরো সহযোগিতা দু'দেশের আর্থ-বাণিজ্যিক সার্বিক উন্নয়নের জন্য দ্রুতভাবে ত্বরান্বিত করবে এবং এ অঞ্চলে ইতিবাচক ও বহুপক্ষীয় কল্যাণকর প্রভাব ফেলবে। আর্থ-বাণিজ্যিক বিনিময়ের গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম হিসেবে দু'দেশের সরকার এবার দক্ষিণ এশিয়ার পণ্য মেলার ওপর গুরুত্ব দেয়। বাংলাদেশ সরকারী কর্মকর্তা, বাণিজ্য মহলের ব্যক্তি ও সাংবাদিক প্রতিনিধি দল পাঠিয়েছে। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর সম্পদের প্রাধান্য ও খাতের বৈশিষ্ট্য প্রকাশের জন্য চীন গত বছরের শেষে পণ্য মেলার সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে কাজ শুরু করেছে। চীন ও দক্ষিণ এশিয়ার সাতটি দেশের সংশ্লিষ্ট বিভাগের যৌথ সংগঠনে এবার পণ্য মেলার পরিস্থিতি খুব ভাল।
দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো চীনের বাজার খোলা এবং মেলায় যোগ দেয়ার আগ্রহ পুরোপুরি প্রকাশ করেছে। চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা কুও সিয়াও ফেং আমাদের কাছে এবার দক্ষিণ এশিয়ার পণ্য মেলার পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করেছেন। তিনি বলেন,
এবার খুব ভাল, গতবার মেলার যোগ দেয়ার পরিস্থিতির চেয়ে ব্যাপক অগ্রগতি অর্জিত হয়েছে। এবার মেলায় যোগ দেয়া শিল্পপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ৩১৩টি। সাতটি দেশের ৩৬০টি স্টল রয়েছে। এরমধ্যে শ্রীলংকা ও পাকিস্তানের প্রায় এক শ স্টল রয়েছে। বাংলাদেশেরও যোগ দেয়ার পরিস্থিতি ভাল।
মেলায় কারুশিল্পজাত দ্রব্য, বস্ত্রজাত দ্রব্য, আসবাবপত্র ও চাসহ দক্ষিণ কোরিয়ার দেশগুলোর বৈশিষ্ট্য পণ্য খুব বেশি। বাংলাদেশের ব্যবসায়ী এম ডি জনি হচ্ছেন বিটিআইসি কোম্পানির মহাপরিচালক। এ কোম্পানি আসবাবপত্র বিক্রি করে। তিনি চীনের সঙ্গে বাণিজ্যিক বিনিময় করছেন ছ' বছর ধরে। তিনি আমাদের সংবাদদাতাকে বলেছেন, তিনি মনে করেন, চীন ও বাংলাদেশের বাণিজ্যিক ভবিষ্যত সম্ভাবনা খুব ভাল। তিনি বলেন,
(বাংলা ভাষা)
দক্ষিণ এশিয়ার পণ্য মেলার প্রদর্শনী কেন্দ্রে দেশ ও বিদেশের অংশগ্রহণকারী অনেক বেশি। চীনের বেশি ব্যবসায়ী বাংলাদেশের স্টলে আসছে। তারা বাংলাদেশের পণ্য কেনার ইচ্ছা প্রকাশ করেছে। আমাদের সংবাদাতা কুইচৌ থেকে আসা একজন ব্যবসায়ী মিস লি'র সাক্ষাত্কার গ্রহণ করেছেন। সাক্ষাত্কারে তিনি বলেন, আমি এ মেলায় প্রথমবার যোগ দিয়েছি। এখানকার প্রদর্শনের পণ্য আমার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। তিনি বলেন,
"আমি মনে করি, বিদেশের জাতীয় প্রথা চীনের তুলনায় আলাদা আলাদা। যদিও ইয়ুন নানের সংখ্যালঘু জাতি খুব বেশি। তবে কারুশিল্পজাত দ্রব্য ক্ষেত্রে আরো বেশি আলাদা বৈশিষ্ট্য রয়েছে। সুতরাং আপনি দেখেন, এখানে পরিদর্শনকারী অনেক বেশি"।
এবার মেলায় যোগ দেয়া ব্যবসায়ীর মধ্যে কেবল চীনের সঙ্গে আর্থ-বাণিজ্যিক ঘনিষ্ঠ বিনিময়ের বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরাই রয়েছেন তাই নয়, বরং অনেক বেশি ব্যবসায়ী প্রথমবারের মত চীনে এসেছেন। তারা আশা করেন, চীনের বাজারে আরো বেশি প্রবেশ করতে পারবে। যদিও তারা প্রথমবারের মত চীনে এসেছেন এবং প্রথমবারের মত দক্ষিণ এশিয়ার পণ্য মেলায় যোগ দিয়েছেন। তবে তারা মনে করেন, খুনমিং আমদানি ও রপ্তানির পণ্য মেলার সাংগঠনিক কাজ খুব ভাল। তাদের জন্য বেশি সুবিধা ও সুযোগ এনে দিয়েছে।
বাংলাদেশের ব্যবসায়ী জন আর বিশ্বাস তাদের মধ্যে একজন। তার স্টলে প্রদর্শিত সব পণ্য হচ্ছে কারুশিল্পজাত দ্রব্য। যদিও তিনি প্রথমবারের মত চীনে এসেছেন। তবে মেলায় যোগ দেয়ার সুখ অভিজ্ঞতা তার মনে গভীরভাবে রেখাপাত করেছে। তিনি চীনের সঙ্গে দীর্ঘদিনের সহযোগিতা করতে আগ্রহী। তিনি আমাদের সংবাদদাতাকে বলেছেন, তিনি এখানকার মেলায় যোগ দেয়ার অভিজ্ঞতা তার বন্ধুর সঙ্গে ভাগাভাগি করতে আগ্রহী। তিনি বলেন,
(বাংলা ভাষা)
বর্তমানে চীন ও দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাণিজ্যিক ভারসাম্যহীনতার পরিস্থিতি রয়েছে। চীনের বাণিজ্যিক অনুকূল উদ্ধৃত্ত বেশি। এর জন্য চীন দক্ষিণ এশিয়ার পণ্য আরো বেশি আমদানি ত্বরান্বিত করার ক্ষেত্রে বেশি ব্যবস্থা নিয়েছে। এর পাশাপাশি দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোও আশা করে, তাদের পণ্য চীনের বাজারে আরো বেশি রপ্তানি করতে পারবে।
![]() |
© China Radio International.CRI. All Rights Reserved. 16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040 |