Web bengali.cri.cn   
২০১০ সাল আশাবাদী
  2010-02-04 19:59:23  cri

বন্ধুরা, ২০১০ সালের ঘন্টা বাজার সঙ্গে সঙ্গে আমরা অসাধারণ ২০০৯ সালকে বিদায় দিয়েছি। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো ২০০৯ সালে চীনও আর্থিক মন্দার দুদর্শা ভোগ করেছে। তা সত্ত্বেও ২০০৯ সালে চীনে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে। যেমন ২০০৯ সালের শেষ দিকে চীনের জি ডি পি ৮ শতাংশের লক্ষ্যবস্তু বাস্তবায়িত হয়েছে। , এইচ ১ এন ১ ফ্লুর প্রার্দুভাব নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে, নতুন চিকিত্সার সংস্কার পরিকল্পনা প্রবতির্ত হয়েছে, চীন গণ প্রজাতন্ত্রের ৬০তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর উদযাপনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এক কথায় ২০০৯ সালে চীনে অনেক ঘটনা ঘটেছে। ২০১০ সালের দিকে তাকালে আমরা মনে হয় আরও বেশী আশা দেখতে পারি

২০০৯ সালে চীনের অথর্নীতির ওপর বিশ্ব আর্থিক মন্দার প্রভাব গুরুতর হলেও বছরের শেষ দিকে পুনরুদ্ধারের লক্ষণ দেখা দিয়েছে। চার বিলিয়ান কোটি রেন মিন পির বিনিয়োগের পরিকল্পনা ও নমনীয় মূদ্রা নীতির টানায় ২০০৯ সালে চীনের অর্থনীতির বৃদ্ধি হার শতকরা ৮ বাস্তবায়িত হয়েছে। ২০১০ সালের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য অনেক অবকাঠামোর নির্মান কাজ শুরু হয়েছে। ছিনওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের চীন ও বিশ্ব অর্থনীতি গবেষণালয়ের অধ্যাপক ইয়ান গান মিন বলেছেন, বিশ্ব সমাজ প্রত্যাশা করতে পারে যে, ২০১০ সালে চীনের অর্থনীতি আরও সুন্দর হবে। তিনি বলেন,

মৌলিকভাবে বলতে গেলে, ২০০৯ সালের তুলনায় ২০১০ সালের অবস্থা ভাল হবে। কেননা, আমরা বিশ্ব মন্দার সবচেয়ে কঠিন সময় কাটিয়েছি । এখন পরিস্থিতি মোটামুটি স্থিতিশীল হয়েছে। অর্থনীতির আরও অবনতি ঘটার সম্ভাবনা নেই। এটা আমাদের মৌলিক আশা-আকাংক্ষা। এক কথায় চীনের অর্থনীতি ভালোর দিকে বিকশিত হচ্ছে । তা ছাড়া চলতি বছর বিশ্বজুড়ে অর্থনীতির পুনরুদ্ধারের লক্ষণ দেখা যাবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। সুতরাং ২০১০ সালে চীনের অর্থনীতির বৃদ্ধি হার শতকরা ৯ থেকে ১০ হতে পারে।

নতুন বছরে চীন অর্থনৈতিক কাঠামোর রদবদলের ওপর মনোযোগ দেবে। ইয়ান গান মিন বলেন, অর্থনৈতিক কাঠামোর রদবদলে রয়েছে, উত্পাদন শিল্প কাঠামোর রদবদল , অর্থনীতি বৃদ্ধি পাওয়ার পদ্ধতি পরিবর্তন করাসহ আরো অনেক। তিনি মনে করেন, অর্থনৈতিক পরিস্থিতি ভালোর দিকে বিকশিত হওয়ার পাশাপাশি , যদিও কাঠামোর রদবদলে অনেক অসুবিধে রয়েছে তবুও ২০১০ সালে নতুন অগ্রগতি অর্জিত হতে পারে ।

তা ছাড়া, বিষাক্ত গ্যাস নিষ্কাশন কমানো ও সাশ্রয় এবং পরিবেশ সংরক্ষণ ২০১০ সালের প্রধান আলোচ্য বিষয়ে পরিণত হবে। চীনের পরিকল্পনা অনুযায়ী , ২০১০ সালের শেষ নাগাদ ইউনিয়ান জি ডি পিতে কার্বনডাইঅকসাইডের নিষ্কাশন পরিমাণ ২০০৫ সালের তুলনায় ২০ শতাংশ কমে যাওয়ার লক্ষ্যবস্তু বাস্তবায়িত হবে। কোর্পেনহেগেন সম্মেলন শুরু হওয়ার আগে ২০২০ সাল নাগাদ চীন ইউনিয়ান জি ডি পির কার্বনডাইঅকসাইডের নিষ্কাশন পরিমাণ ৪০ শতাংশ কমিয়ে দেয়ার পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে।

ইয়ান গান মিন বলেন, কার্বনডাইঅকসাইডের নিষ্কাশন কমানোর চাপে নবায়নযোগ্য জ্বালানী ও নিম্ন কার্বানডাইঅকসাইডযুক্ত অর্থনীতিতে আরও বেশি অর্থ বরাদ্দ করা হবে। তিনি বলেন, মৌলিকভাবে বলতে গেলে, চীনের ওপর কোর্পেনগেগন সম্মেলনের চাপ অত্যন্ত বেশি । নতুন চাপ হল এক দিকে আমাদের নিজস্ব অসুবিধে; অন্য দিকে রফতানিকৃত উত্পাদন শিল্পের সংস্কার । কারন রফতানি ক্ষেত্রে যথা সম্ভব দূষণের নিষ্কাশন কমাতে হবে। এই লক্ষ্য বাস্তবায়নের উদ্দেশ্যে আমরা ইতিবাচক পদক্ষেপ নিয়েছি ।


1 2
সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদন
মন্তব্যের পাতা
ভিডিও চিত্র
সাক্ষাত্কার
চিঠিপত্র
Play Stop
© China Radio International.CRI. All Rights Reserved.
16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040