|
মেঘমুক্ত এক দিনে দুপুরের খাবার শেষে লিন ওয়েন ডেনের সঙ্গে আমাদের সংবাদদার দেখা হয়েছে। " কফির খামার" নামক একটি ভবনে তিনটি ইটের তৈরী ঘর আছে। ঘরের টেবিলে কফি প্রক্রিয়াকরণের যন্ত্র ও তার কফির উদ্যানে উত্পাদিত কফির বীজ রাখা হয়েছে।
তখন লিন ওয়েন ডেন কফি সিদ্ধ করতে ব্যস্ত। কফি নিয়ে আলোচনা করা হলে তাকে একজন বিশেষজ্ঞ হিসেবে মনে করা হয়। কিন্তু কল্পনা করা যায় না যে, ৭ বছর আগে তিনি তাইনান জেলার উপ প্রধান ছিলেন।
তাইওয়ানের রাজনৈতিক মঞ্চে অস্বস্তি বোধ করেন বলে তিনি সরকারি কর্মকর্তার কাজ ছেড়ে ব্যবসায় পদার্পন করেন। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমার চরিত্র সুজা । আমি কোন দিন দ্বার্থপর্ণভাবে কথা বলতে পছন্দ করি না। সুতরাং অবশেষে আমি তাইওয়ানের রাজনৈতিক মঞ্চ থেকে ত্যাগ করতে সিদ্ধন্ত নিয়েছি।
ব্যবসায় পদার্পন করার পর তিনি টের পেয়েছেন, তাইওয়ানের পুঁজিবিনিয়োগের পরিবেশ আশাব্যঞ্জক নয়। প্রতিদ্বন্দ্বিতা অত্যন্ত প্রচন্ড। যার ফলে তার মনে চীনের মূল ভূভাগে এসে ব্যবসা করার ধারণা হল। তিনি পর পর পেইচিং , সাংহাইসহ বড় বড় শহর পরিদর্শন করেছেন। পরিদর্শনের পর তিনি বুঝতে পেরেছেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চীনের মূল ভূভাগে কফির ভোক্তা দ্রুতভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।
তা ছাড়া, হাইনানের পরিবেশ ও জলবায় তাইওয়ানের সঙ্গে অনেক মিল রয়েছে। সেখানে কফি লাগানো উপযোগী পরিবেশ রয়েছে। অবশেষে লিন ওয়েন ডেন হাইনানে ৩০ হেক্টেরও বেশী জমির ঠিকা নিয়ে ছেন।
এ সব জমিতে উচ্চ মানের কফির বীজ রোপন করা হয়েছে। প্রথমে তিনি অনেক ঝেমেলায় পড়েছেন। তখনকালের অবস্থা ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, প্রথমে আমি অনেক ঝামেলায় পড়েছি। আমি বিশ্ব বছর ধরে তাইওয়ানের রাজনৈতিক মঞ্চে ছিলাম। আমি কোন দিন জমিতে কাজ করি নি। আমি কোন দিন কফি গাছ লাগাতে স্বপ্নও দেখি নি। আগে আমি সরকারের একজন কর্মকর্তা ছিলাম , কিন্তু এখন আমি একজন গ্রামবাসী হয়ে গেছি। এই মনোভাব পরিবর্তন করা সহজ কাজ নয়। কিন্তু আমি ভালভাবে জানি যে, যেহেতু আমি কফির ব্যবসায় নিয়োজিত হয়েছি সেহেতু আমি অধ্যবসায়ের সঙ্গে এতে অবিচল থাকবো।
© China Radio International.CRI. All Rights Reserved. 16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040 |