|
ফুরোং জেলায় প্রবেশ করার পর সংরক্ষিত রাষ্ট্রীয় পর্যায়ের পুরাকীর্তি দেখার সঙ্গে সঙ্গে থুচিয়া জাতির সংস্কৃতিও উপভোগ করতে পারেন।
আপনি শুনচ্ছেন এ শব্দ হচ্ছে থুচিয়া জাতির লোকদের অভিয়ন করা মাওকুসি। মাওকুসি হচ্ছে থুচিয়া জাতির এক ধরনের পুরনো অভিনয় পদ্ধতি। তা নাটক্যের মতো বিভিন্ন প্রকৌশল পদ্ধতিতে থুচিয়া জাতির পূর্বপুরুষদের মত্স্য,কৃষি ও জীবনযাপনের বিষয় অভিনয় করা হয়।
মাওকুসি নাচ ছাড়া, থুচিয়া জাতির বিবাহের কাঁদার রীতিনীতি ফুরোং জেলার পর্যটকদের আকর্ষণ করে। বিবাহের সময় কাঁন্না হল থুচিয়া জাতির ঐতিহ্যিক রীতিনীতি। থুচিয়া জাতির মেয়ে ১২ বা ১২ বছর থেকে বিবাহের কাঁন্না শিখতে শুরু করে। থুচিয়া জাতির বধূ বিবাহের এক মাস আগে কাঁন্না শুরু করে। কেউ কেউ বিবাহের ২/৩ দিন আগে বা এক দিন আগে কাঁন্না শুরু করে। থুচিয়া জাতির মেয়েরা কাঁন্নার মাধ্যমে মনের অনুভবের প্রতিফলন ঘটায়। কাঁন্নার পদ্ধতি গানের মাধ্যমে দুঃখ প্রকাশ করা অর্থাত্ কাঁন্না র সঙ্গে গান গাওয়া। গানের কথায় ঐতিহ্যিক বিষয় রয়েছে, কেউ কেউ নিজের চিন্তাভাবনা অনুযায়ী গানের কথা বর্ণনা করেন। এ কারণে থুচিয়া জাতির মেয়েদের বিবাহের কাঁন্নাকে প্রাচ্য সুর বলা হয়।
ফুরোং জেলায় পরিশ্রমী থুচিয়া জাতির লোকেরা সুস্বাদু খাবার দিয়ে বিভিন্ন স্থান থেকে আসা অতিথিদের অভ্যের্থনা জানায়। সবচেয়ে আকর্ষণীয় খাবার হল চলচ্চিত্র 'ফুরোং জেলা'র শুটিং স্থানের জলখাবার—মিতৌফু। চাল পানিতে রেখে নরম করার পর তা চাকি দিয়ে ভেঙ্গে রস করে পরে সিদ্ধ করার পর শুকিয়ে যাবার পর পরিস্কার মিতৌফু সৃষ্টি হয়। মিতৌফু ছোট টুকরা করে পাত্রের সুপের মধ্যে সিদ্ধ করে, লাল মরিচ ও চীনা পেঁয়াজসহ বিভিন্ন উপকরণের সঙ্গে মিশিয়ে তা খাওয়া যায়। পর্যটক ক বলেন, এ জলখাবার খেতে বেশ সুস্বাদু লাগে। মিতৌফু খুবই সুগন্ধী। এর আগে আমি কখনো খাই নি, এবার খেয়ে খুবই মজা লেগেছে।
ফুরোং জেলা একটি হাল্কা জল রঙয়ের চিত্রের মতো, তাকে দেখতে বেশ সুন্দর ও শান্ত মনে হয়। পরিকল্পনা অনুযায়ী ফুরোং জেলা কেন্দ্র হিসেবে ভবিষ্যতে একটি আরামদায়ক ও প্রাকৃতিক পরিবেশ সংরক্ষণের পর্যটন স্থান হিসেবে নির্মিত হবে। ১.৬ বিলিয়ন ইউয়ান বরাদ্দ করা পর্যটন ও প্রাকৃতিক পরিবেশ সংরক্ষণ এলাকার প্রকল্প নির্মাণের কাজ শুরু হওয়ার পর ফুরোং জেলাসহ বিভিন্ন স্থানের যথাযথ উন্নয়ন ও সংরক্ষণ করা হবে। ফুরোং জেলা পশ্চিম হুনান প্রদেশের বিখ্যাত পুরনো শহর ফেংহুয়াং'র মতো আরেকটি পর্যটনের গন্তব্য স্থানে পরিণত হবে। এ সম্পর্কে সিয়াংসি স্বায়ত্তশাসিত অঙ্গরাজ্যের গণ কংগ্রেসের পরিচালক লিউ লু পিং বলেছেন, আমরা পর্যটন এলাকার বিভিন্ন পর্যটন স্থানের যথাযথ পরিকল্পনা করার জন্য বিভিন্ন অঞ্চল থেকে পেশাগত দিক থেকে অভিজ্ঞদের আমন্ত্রণ জানিয়েছি, পরিকল্পনা অনুযায়ী ধাপে ধাপে এলাকাটি নির্মাণ করবো। স্থানীয় অঞ্চলের সংস্কৃতি কোনোভাবেই নষ্ট হবে না। পরিকল্পনার মূল বিষয় হচ্ছে সংরক্ষণ।
প্রিয় বন্ধুরা, সময় ও সুযোগ পেলে, অবশ্যই ফুরোং জেলায় বেড়াতে আসবেন এবং এখানকার সুন্দর দৃশ্য প্রাণ ভরে উপভোগ করে যাবেন।
(সুবর্ণা/আবাম)
© China Radio International.CRI. All Rights Reserved. 16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040 |