|
আমাদের প্রাকৃতিক এলাকায় নানা ধরনের গ্রীষ্মমন্ডলীয় উদ্ভিদ দেখা যায়। এ দৃশ্য উত্তরপূর্ব চীনের অধিবাসীরা খুব কম দেখা যায়।
ভালভাবে সংরক্ষণ করার পর এখানে গ্রীষ্মকালে পদ্ম ফুল ও নলখগড়া ফুটানো মনোহরণীয় দৃশ্য দেখা যায়। পদ্ম ও নলখাগড়া দুষাক্ত পদার্থ গ্রহণ করতে পারে,তা পানির পরিস্কারের জন্য অনেক সহায়ক।
লিয়াও নিং প্রকৌশল প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পদ ও পরিবেশ প্রকল্প ইনস্টিডিউটের পরিবেশ প্রকল্প বিভাগের পরিচালক অধ্যাপক লিউ চি বিন পরিচিয় করে বলেছেন, নলখাগড়া হচ্ছে সবচেয়ে বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন জলাভূমি উদ্ভিদ। উদ্ভিদ মূল ব্যবস্থার ভূমিকার মাধ্যমে মাটির নিচে কিছু ফাকায় অক্সিজেন সরবরাহ করা হয়। এভাবে দুষিত পানির মধ্যে কিছু দুষাক্ত পদার্থ তলানিতে পরিণত হবে। জলাভূমি পানির সরবরাহ ও মাটির তলানির মাধ্যমে পানি পরিস্কার করা যায়। এভাবে জলাভূমি পানির পরিস্কারের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
হুয়াং লি আরও জানান, এ জলাভূমি শ্রেষ্ঠ পাখি ও বন্যপ্রাণীর বসবাস স্থান।
এটা হচ্ছে ঈগল,এর পাশে উড়ছে ওটা হচ্ছে সারস। চীনের তিন শ্রেণীর সংরক্ষণ পশু। এরা এখানে ছোট পাখি জন্ম করে। তাছাড়া, নানা ধরনের পাখি প্রতি বছরের মে ও জুন মাসে এখানে আসে। দু'বার পাখির ডিম জন্ম দেয়ার পর শীতকালে তারা দক্ষিণ চীনে ফিরে যায়। আমরা সবসময় হাজার হাজার পাখি দেখতে পারি।
নামুসিলাই এ শ্রেষ্ঠ জলাভূমিতে পশুপাখির ধারণা ১০০টিরও বেশি। বহু বছরের সংরক্ষণের পর গ্রীষ্মকালে এখানকার দৃশ্য অতি সুন্দর এবং জীবের ধারণা অতি বেশি। নিবিড় নলখাগড়া ও পদ্ম ফুলের মাঝখানে নানা ধরনের পাখি মিষ্টি কন্ঠে সুন্দর গান করে, তা কেরচিন মেরুভূমির দক্ষিণাঞ্চলে একটি চমত্কার মণির মতো।তবে আজকের সুন্দর দৃশ্য উপভোগ করার জন্য স্থানীয় অঞ্চলের কর্মীরা নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়েছে।নামুসিলাই প্রাকৃতিক এলাকার প্রশাসনিক স্টেশনের পরিচালক হুয়াং লি হলেন তাদের মধ্যে অন্যতম।জলাভূমির প্রাকৃতিক পরিবেশ সংরক্ষণ করার জন্য তিনি নিজের পরিবারের সুখী জীবন ত্যাগ করেছেন এবং দিন রাতে এখানে অবিচল থাকেন।
যখন আমরা মাত্র এ অঞ্চলে এসে সংরক্ষণের কাজ শুরু করি, আমাদের অনেক ঝামেলার সম্মুখীন হয়েছে।যেমন স্থানীয় অঞ্চলের কিছু অধিবাসীরা ফুল ফুটানো পদ্ম পাড়া করেছে। তৃণভূমি চাষ করার ক্ষেত্রেও কঠিনভাবে চালু হয়। সবাইকে জানিয়ে বলেছি, তৃণভূমি চাষ করলে মেরুভূমির বালি কমে যাবে। তবে তখন কেউ আমাদের কথা শুনে না। কয়েক বছরের পর এখানকার পরিবেশ ধীরে ধীরে উন্নত হয়েছে, তখন স্থানীয় অঞ্চলের অধিবাসীরা সত্যিকারভাবে প্রাকৃতিক সংরক্ষণ এলাকার ভূমিকা বুঝতে পেরেছে।
বর্তমানে এখানকার দৃশ্য আরও সুন্দর এবং স্থানীয় অঞ্চলের অধিবাসীদের চিন্তাভাবনাও পরিবর্তন হয়েছে। গ্রামক মা তে বিয়াওয়ের পূর্ব পুরুষসহ এখানে ২০০ বছরেরও বেশি বসবাস করেছে। তিনি আন্তরিকভাবে বলেছেন, আগে নদীর পাশে অনেক ঘোড়া, ছাগল ও গরু দেখা যেত। প্রশাসনিক কমিটি যখন আসে তখন সবাই বুঝতে পারে নি। তবে এখন সবাই বুঝতে পেরেছে। প্রশাসনের মাধ্যমে বালু কমে গেছে। যদি বালু কৃষি ক্ষেত্র প্লাবিত করে, তাহলে কৃষি ক্ষেত্র হারিয়ে যাবে এবং কোনো উদ্ভিদ বা খাদ্যশস্য চাষ করতে পারবে না। তখন আমরা কী খাবো?
সূর্য্য পশ্চিম দিকে হেলে পড়েছে, সুন্দর নামুসিলাই অস্তগামী সূর্য্যের আলোতে আরও মনোহরণ হয়েছে। যদি আপনারা জলাভূমি পাশাপাশি জীবনযাপন না করেন, তাহলে সুযোগ পেলে একটু বেড়াতে আসেন। প্রত্যেক লোকেরই জলাভূমি সংরক্ষণ করা উচিত। কারণ জলাভূমি হচ্ছে পৃথিবীর ও মানবজাতির। প্রত্যেকটি লোক মনোযোগ দিয়ে নিজের ভালবাসা ও যত্ন দিলে মানবজাতি ও প্রাকৃতিক পরিবেশের সঙ্গে সুষম সহাবস্থানের সম্ভাবনা থাকবে এবং সুন্দর জীবনযাপন কাটতে পারবে।
(সুবর্ণা)আবাম
© China Radio International.CRI. All Rights Reserved. 16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040 |