Web bengali.cri.cn   
অদ্ভূত চিউজাইগৌ
  2011-05-10 16:35:54  cri

চিউজাইগৌয় এরকম একটি কথা আছে: দিনে দৃশ্যদর্শন এবং রাতে রীতিনীতি দেখা। এখানে রয়েছে তিব্বতি জাতির মানুষের খুব প্রাচীন বেন ধর্ম। দর্শনীয় স্থানে রয়েছে তিব্বতি জাতির আদিকাল ধর্মীয় মন্দির — জা রু মন্দির। এখানে তিব্বতি, ছিয়াং, হুই ও হানসহ বিভিন্ন জাতির মানুষ সম্প্রীতির সঙ্গে সহাবস্থান করছে। প্রাচীন তিব্বতি জাতির গ্রাম, পাথরচূর্ণ কল, চূড়া বরাবর তক্তা পথ এবং তিব্বতি ও ছিয়াং জাতির গান ও নাচের পাশাপাশি আবা বিভাগের গভীর জাতীয় রীতিনীতি চিউজাইগৌ'র বৈশিষ্ট্যময় পর্যটন সংস্কৃতি গড়ে তুলেছে। এখানে আসা পর্যটকরা দিনে পানি ও পাহাড়ের মধ্যে বেড়ান, রাতে এখানকার তিব্বত ও ছিয়াং জাতির সাংস্কৃতিক রীতিনীতি উপভোগ করেন। পেইচিংয়ের পর্যটক ইয়ুন চিয়ান বলেন,

(রি-৫)

"আমি মনে করি, চিউজাইগৌর সবচেয়ে বৈশিষ্ট্যময় বিষয় হচ্ছে এখানকার বহুমুখী জাতীয় সংস্কৃতি। তিব্বতি জাতি প্রধান হিসেবে ছিয়াং ও হানসহ বিভিন্ন জাতি মিলেমিশে যে সমৃদ্ধ ও রঙিন জাতীয় সংস্কৃতি গড়ে তুলেছে তার কারণে চাউজাইগৌ'র অন্তর্নিহিত বিষয় দর্শনীয় স্থানের চেয়ে আরো সমৃদ্ধ। আমি দেখেছি চিউজাইগৌ'র গ্রামীণ স্থাপত্য প্রতিনিধিস্থানীয় তিব্বতি জাতির। আমার মনে হয়, সংস্কৃতি ক্ষেত্রে চিউজাইগৌ'র প্রচারণা সম্প্রসারণ করা উচিত। এতে করে বিশ্বের জনগণ আরো ভালোভাবে এখানকার বৈশিষ্ট্যময় জাতীয় সংস্কৃতি উপলব্ধি করতে পারবে।"

চিউজাইগৌ'র সৌন্দর্য্যের বৈশিষ্ট কী? শানসি'র পর্যটন জেং ইয়ান তার জবাব দেন সাংবাদদাতাদের কাছে:

(রি-৬)

"প্রথমত এখানে প্রাকৃতিক দৃশ্য রয়েছে। দ্বিতীয়ত, এসব দৃশ্য সম্পূর্ণভাবে সংরক্ষণ করা হয়েছে।"

১৯৮৪ সালে চিউজাইগৌ'র দর্শনীয় স্থান উন্নয়ন করার পর থেকে এ পর্যন্ত প্রায় কয়েক মিলিয়ন পর্যটককে অভ্যর্থনা জানানো হয়েছে এখানে। দর্শনীয় স্থানের উন্নয়ন এবং অতিরিক্ত পর্যটক সবসময় প্রাকৃতিক পরিবেশের ওপর কিছু প্রভাব ফেলে। কিন্তু চিউজাইগৌ কিভাবে প্রাকৃতিক দৃশ্য সংরক্ষণ করেছে? দর্শনীয় স্থানে 'লুকিয়ে রাখা' উচ্চ-প্রযুক্তির সঙ্গে এর ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। চিউজাইগৌ প্রশাসন ব্যুরোর প্রকৌশলী জু জৌংফু ব্যাখ্যা করেন,

(রি-৭)

"বিশ্বমেলা বেতার ফ্রিকোয়েন্সি নিরূপণ যন্ত্র বা আরএফআইডি'র মাধ্যমে সেখানে ভ্রমণকারীদের সংখ্যা নিরূপণ করা হয়। চিউজাইগৌ এ প্রযুক্তির মাধ্যমে মানুষের সংখ্যা গণনা ছাড়া আরো যে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি করে তাহলো সিন্ধান্ত গ্রহণ। প্রযুক্তিটি বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানে পর্যটকের অবস্থান বৈজ্ঞানিকভাবে সমন্বয় করে। প্রত্যেক পর্যটকের শরীরে একটি আইডি কার্ড দেওয়া হয়। সে কার্ড বা টিকিটে পর্যটকের ব্যক্তিগত তথ্য লিপিব্ধ করা হয়। যেমন পর্যটক কোন কোন দর্শনীয় স্থান ভ্রমণ করেছেন। বাকী কোন কোন দর্শনীয় স্থান ভ্রমণ করেননি। এ সময় অনেক গাড়ি নির্দিষ্ট সময়ের আগে পর্যটকদের জন্য অপেক্ষা করে এবং সময় হিসাব করে, যাতে দৃশ্যদর্শনের গাড়ির ব্যবহার হার বাড়ানো যায়। এর লক্ষ্য হলো সারা দর্শনীয় স্থানে সুশৃঙ্খল অবস্থা বজায় রাখা, জ্বালানির অপচয় কমানো, পর্যটকদের সন্তুষ্টি বাড়ানো এবং পরিবেশের ওপর চাপ হ্রাস করা।"

জু জৌংফু সাংবাদদাতাদেরকে আরো জানান, বর্তমানে চিউজাইগৌ প্রশাসন ব্যুরো পেশাদার ভূতত্ত্ব ও জীববিদ্যা পর্যটকের জন্য এখানকার কয়েকটি অংশে প্রাকৃতিক পর্যটনের নিজস্ব নিদর্শন প্রকল্প উন্নয়ন করেছে। তাদের জন্য পর্যটন নির্দেশিকায় চিউজাইগৌ'র সকল গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উপস্থাপনার পাশাপাশি এর দ্রাঘিমাংশ ও অক্ষাংশ উল্লেখ করা হয়েছে। এমন গ্রুপের পর্যটকরা নির্দেশিকার তথ্য অনুযায়ী জ্ঞানসম্পদ আহরণের মতো ভ্রমণ করতে পারেন।


1 2
সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদন
মন্তব্যের পাতা
ভিডিও চিত্র
সাক্ষাত্কার
চিঠিপত্র
Play Stop
© China Radio International.CRI. All Rights Reserved.
16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040