Web bengali.cri.cn   
বিশ্ব উদ্যানমেলা
  2011-04-26 18:03:23  cri
১৯৯৯ সালের খুনমিং এবং ২০০৬ সালের শেনইয়াং বিশ্ব উদ্যানমেলার পর ২০১১ সালে বিশ্ব উদ্যানমেলা তৃতীয়বারের মতো চীনে এসেছে। ২৮ এপ্রিল 'সি আন বিশ্ব উদ্যানমেলা-২০১১' হাজার বছরের প্রাচীন নগর সি আনে জাঁকজমকপূর্ণভাবে উদ্বোধন হবে। ৩ বছরেরও বেশি সময়ের পরিকল্পনা ও নির্মাণের পর সি আন বিশ্ব উদ্যানমেলার পার্ক যথেষ্ঠ প্রস্তুতি নিয়েছে। জানা গেছে, এবারের উদ্যানমেলা পার্কের পরিকল্পিত আয়তন আগের বিশ্ব উদ্যানমেলাগুলোর চেয়ে বেশি। আজকের অনুষ্ঠানে আমি আপনাদেরকে নিয়ে সি আন বিশ্ব উদ্যানমেলার পার্কে বেড়াতে যাবো।

সি আন বিশ্ব উদ্যানমেলার প্রতীক ও মাসকাট উভয়ই 'ছাং আন ফুল'। পার্ক অঞ্চল প্রাচীন নগর সি আনের ছানবা অঞ্চলে অবস্থিত। হাজার বছর ধরে বয়ে চলা ছানবা নদী আবার দুতীরের উজ্জ্বল রূপান্তর অবলোকন করেছে। একজন অধিবাসী বলেন,

"আমার বাসা এর কাছাকাছি। আগে এখানে বিশৃঙ্খল অবস্থা ছিল। এখন অনেক ভালো। ব্যাপক পরিবর্তন হয়েছে। পরিবেশও ভালো। আকাশ আরো নীল।"

২০০৮ সাল থেকে নির্মাতাদের কঠোর পরিশ্রমে ছানবা প্রাকৃতিক অঞ্চলে বিশ্ব উদ্যানমেলা পার্কের সামগ্রিক প্রতিমূর্তি ফুটে উঠেছে। ছাংআন টাওয়ার, কুয়াংইয়ুন তোরণ, প্রকৃতি প্যাভিলিয়ন ও সৃজনশীলতা প্যাভিলিয়নকে সি আন বিশ্ব উদ্যানমেলার চারটি প্রতীক স্থাপত্য হিসেবে মেলা শেষ হওয়ার পরও স্থায়ীভাবে রেখে দেয়া হবে।

বিশ্ব উদ্যানমেলা পার্কের বাইরে দূর থেকে দেখা যায় ছাংআন টাওয়ার। টাওয়ারটা পার্ক অঞ্চলের চৌংনান পাহাড়ে অবস্থিত। এটা সি আন বিশ্ব উদ্যানমেলার প্রতীকী স্থাপত্য। সাত তলা এ টাওয়ারের উচ্চতা ৯৯ মিটার। টাওয়ারের চূড়ায় দাঁড়ালে সারা পার্কের সুন্দর দৃশ্য আপনাদের চোখের সামনে ভাসবে। ডিজাইনের ক্ষেত্রে টাওয়ারটিতে সুই ও থাং রাজবংশের প্রাচীনকালীন টাওয়ারের প্রাণময়তা বজায় রাখার পাশাপাশি আধুনিক উপাদানও এতে যোগ করা হয়েছে। চীনের প্রকৌশল একাডেমির সদস্য বিখ্যাত স্থপতি চাং চিনছিউ বলেন,

"বিশ্ব উদ্যানমেলায় আমরা সবাইকে সুন্দর আবাসন, সুন্দর ফুল, বৃক্ষ ও দৃশ্য দেখানোর পাশাপাশি সি আন অধিবাসী তথা চীনাদের 'মানবজাতি ও প্রকৃতির মধ্যে সম্প্রীতি' - এ ধারণা তুলে ধরবো।"

ছাংআন টাওয়ারে অনেক উজ্জ্বল নানা রঙের আলো স্থাপন করা হয়েছে। এ বছরের ১৭ জানুয়ারি সন্ধ্যায় সেটি প্রজ্বলিত হওয়ার পর থেকে বিশ্ব উদ্যানমেলার শেষ দিন পর্যন্ত প্রতি সন্ধ্যায় প্রজ্বলিত হবে। এর ফলে পর্যটকরা ৪১৮ হেক্টরের পার্ক অঞ্চলের বিভিন্ন জায়গা থেকে দর্শনশক্তির ফলাফল দেখতে পারবেন। উত্কৃষ্ট স্বচ্ছ কাচের মতো টাওয়ার দেখে নিকটবর্তী অনেক সি আন অধিবাসী তার প্রশংসা করেন।

"ছাং আন টাওয়ার এতো সুন্দর! সন্ধ্যায় বহুবর্ণ আলো দেখা যায়। প্রথমবারের মতো তা দেখছি। মনে হয় খুব বিস্ময়কর।"

বিশ্ব উদ্যানমেলার অন্য একটি প্রতীকী স্থাপত্য হচ্ছে ২০১১ সি আন বিশ্ব উদ্যানমেলার প্রধান প্রবেশদ্বার—কুয়াং ইয়ুন তোরণ। তোরণ হলেও বাইরের আকৃতিতে এটি সেতুর মতো এবং এটাকে ডাকাও হচ্ছে সেতু নামে। এবারের উদ্যানমেলার প্রধান ফটকের দায়িত্ব পালন করছে এ তোরণ। এটি ৬০ মিটার প্রস্ত; বিশ্ব উদ্যানমেলা সড়কে ব্যস্ত সময়ে ২০ হাজারেরও বেশি মানুষ এক সাথে চলতে পারবে এ তোরণ দিয়ে। চীনের স্থাপত্য কোম্পানি লিমিটেডের সি আন বিশ্ব উদ্যানমেলার সাধারণ প্রকৌশলী তোং হুয়ানথাও বলেন,

"কুয়াং ইয়ুন তোরণের ওপর ও নিচে দুটো অংশ আছে। সেতুর নিচে হচ্ছে দৃঢ়ীভূত কংক্রিট কাঠামো; আর ওপরে আধুনিক লোহ কাঠামো।"


1 2
সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদন
মন্তব্যের পাতা
ভিডিও চিত্র
সাক্ষাত্কার
চিঠিপত্র
Play Stop
© China Radio International.CRI. All Rights Reserved.
16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040