Web bengali.cri.cn   
প্রাচীন শাং লি নগর
  2011-04-12 18:02:10  cri

    পাঁচটি বড় পরিবারের বসতবাড়ি ছাড়া প্রাচীন নগরের বসতবাড়িগুলো তুলনামূলকভাবে সম্পূর্ণভাবে সংরক্ষণ করা হয়েছে। এছাড়া প্রাচীন নগরের ঐতিহাসিক ও প্রাকৃতিক সুবিধা রয়েছে। দুটো নদী বয়ে যাওয়া নগরে প্রাচীন সেতু, প্রাচীন গাছ, প্রাচীন টাওয়ার ও প্রাচীন গুহা... ছিং রাজবংশের শেষ দিকে হান পরিবারের উঠোন ও থাং রাজবংশের প্রস্রবণ হাজার বছর ধরে মানুষদেরকে এর সরল সৌন্দর্য দেখিয়ে যাচ্ছে।

    ছেংতু'র শিক্ষক 'নিয়ে' দীর্ঘকাল ধরে এখানে বসবাসকে বেছে নিয়েছেন। আমরা যখন তাঁকে জিজ্ঞেস করি, কেন বড় শহরের উপযুক্ত অবস্থা ত্যাগ করে এ জায়গাটি বাছাই করেছেন? তিনি উত্তর দেন,  

    "আমি শহর জীবনের চেঁচামেচিকে অতিশয় ঘৃণা করি। সেখানকার আবহাওয়াও হৈচৈপূর্ণ। এখানকার আকর্ষণীয় শক্তি হচ্ছে এর সুন্দর দৃশ্য। এখানকার পাহাড় ভালো, পানি ভালো। মানুষও ভালো। সবকিছুই সরল।"

    প্রাচীন শাংলি নগর - পানির মতো মিং ও ছিং বাজবংশের প্রাচীন নগর। এর সরল গভীর সংস্কৃতি এবং প্রাচীন নগরের রীতিনীতি অনেক পর্যটককে আকর্ষণ করে।

    ছেংতু'র পর্যটক চাং আমাদের বলেন,

    "এ জায়গাটি খুব প্রাচীন। মনে হয় এর বিভিন্ন দিক খুবই আদিকালের। সবচেয়ে ভালো লাগা আদিকালের জিনিস, যেমন আর সিয়ান সেতু, প্রাচীন সমাধি ও হান পরিবারের উদ্যান - এগুলো।"

    প্রাচীন নগরে 'প্রাচীন চা পথ হোটেল' নামের একটি হোটেল আছে। এছাড়া একটি উদ্যানের নাম 'চীনের চা সংগ্রহ জাদুঘর'। সেখানে তিব্বতে সিছুয়ান চা পরিবহন সংক্রান্ত ব্যাখ্যা ও জিনিসপত্র প্রদর্শন করা হয়। কিন্তু প্রাচীন চা পথের সঙ্গে সম্পর্কিত এ উদ্যান কিছুটা অনাড়ম্বরপূর্ণ। এখানে নদীর তীরে রয়েছে চা ঘর, সিছুয়ান রেস্তোঁরা এবং সব জায়গাতে যেমন দেখা যায় - ছবি অঙ্কনরত শিশু ও কিশোরদের আড়ম্বরপূর্ণ দৃশ্য। অধিকাংশ চা ঘর বহিরঙ্গনে। সাধারণত নদীর তীরে অবস্থিত। সেখানে ঠাণ্ডা ও আরামদায়ক।

    সুনামের প্রতি সম্মান দেখানো এখানে আসা পর্যটকরা বেতের চেয়ারে শুয়ে মেংতিং পাহাড় থেকে আসা চা খেতে, পাথর বোর্ডের পথ ধরে হেঁটে হেঁটে ইতিহাসের পরিবর্তন উপলব্ধি করতে, ঝর্ণার তীরে হেঁটে মনোহর গ্রামীণ দৃশ্য উপভোগ করতে এবং প্রাচীন সেতুতে দাঁড়িয়ে মানবজাতিকে প্রকৃতির দেয়া সবকিছু উপভোগ করতে পারেন। এসব কিছু বংশধরদের জন্য নিঃসন্দেহ একটি মূল্যবান স্মৃতি।

    শিক্ষক নিয়ে বলেন, এখানে বসবাস শুধু গ্রামের সরলতা দাবি করে; যদিও স্বামীর সঙ্গে এখানে সহজে কৃষকের মতো জীবনযাপন করা তাঁর জন্য যথেষ্ট। তিনি বলেন,

    "যখন আমরা এখানে প্রথম আসি, আমরা জানতাম না কিভাবে আবাদ করতে হয়। আমরা স্থানীয় কৃষকদের কাছ থেকে গ্রামীণ কাজ শিখে নেই। তার পর আমরা নিজেদের ভালো লাগা শাক-সবজি চাষ করি। যখনই খেতে মন চায়, তখনই তা ছিঁড়ে নেই। সেগুলো টাটকা ও স্বাস্থ্যকর। আমার মনে হয় কৃষকদের সঙ্গে পাহাড় থেকে জ্বালানিকাঠ সংগ্রহ করাও খুব আনন্দদায়ক ব্যাপার।"

    সুর্য আস্তে আস্তে প্রাচীন নগরের পশ্চিম দিকের সেই ছামা পাহাড়ে গিয়ে পড়েছে। আগের প্রাচীন চা পথ এখনো এঁকেবেঁকে আছে। প্রাচীন নগর ছেড়ে চলে যাওয়ার আগে বসন্তকালের প্রথম দিকের প্রাচীন শাংলি নগরের দিকে আরেকবার ফিরে তাকালে মনে হয় সুন্দর পাহাড় ও পানি কী স্থির ও সম্প্রীতিময়।

    আশ্চর্যের কিছু নেই যে, এ ধরনের একটি প্রাচীন নগরে বংশ পরম্পরায় অনেক বেশি মেধাশক্তি তৈরি হয়। দৈর্ঘ্যে হয়তো শাংলি নগরের ইতিহাস খুব লম্বা নয়, কিন্তু এর ঐতিহাসিক গভীরতা অনেক বেশি। শাংলি বংশধরদের জন্য পূর্বেকার পরিতাপের বিষয় বাদ দিলে অপরিসীম শ্রদ্ধা ও প্রশংসা রয়েছে।  


1 2
সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদন
মন্তব্যের পাতা
ভিডিও চিত্র
সাক্ষাত্কার
চিঠিপত্র
Play Stop
© China Radio International.CRI. All Rights Reserved.
16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040