|
শাংলি সিছুয়ান প্রদেশের ইয়া আন শহরের ইয়ুছেং অঞ্চলের উত্তরে অবস্থিত। শহর থেকে এর দূরত্ব ২৭ কিলোমিটার। শাংলি চারটি জেলা - তোংথোংমিংশান, ছিয়োংলাই, সিতালুশান ও ইয়ুছেংয়ের সংযোগস্থলে অবস্থিত। প্রাচীন নগরের স্থাপত্যের ধরন মিং ও ছিং রাজবংশের সময়পর্বের।
প্রাচীন নগরের প্রবেশদ্বারে দাঁড়িয়ে দূরে তাকালে দেখা যায় প্রাচীন নগরটি পাহাড় ও পানির কাছে মাঠ ও পাহাড়ের সামনাসামনি। চার দিকে বাঁশ, জলস্রোত ও প্রাচীন সেতুর সঙ্গে এটির রঙের চমত্কার বৈসাদৃশ্য ফুটে ওঠে। নগরের অনাড়ম্বর প্রাচীন শৈলীতে গড়ে উঠা স্থাপত্য বিভিন্ন স্টাইলের। পাথর বোর্ড পথটিকে সুগম করেছে। কাঠঘর করেছে থাকার বাড়িঘর হিসেবে।
ইয়া আন শহরের পুরাকীর্তিক নিদর্শনের লিপিবদ্ধ খতিয়ান অনুযায়ী, প্রথম দিকে প্রাচীন নগরের নাম ছিল 'লুও শেং'। এটা ছিল সিছুয়ান সমভূমি থেকে অন্য জাতি অঞ্চলে যাওয়ার গুরুত্বপূর্ণ চেক-পোস্টগুলোর মধ্যে অন্যতম।
প্রাচীনকাল থেকে শাংলি নগর বিশিষ্ট মানুষদের জন্মস্থান হিসেবে পরিচিত। প্রাচীন নগরের কথা উল্লেখ করতে চাইলে 'উ চিয়া খৌ'র কথা উল্লেখ করতেই হয়। মিং ও ছিং সময়পর্ব থেকে শাংলি নগরে হান, ইয়াং, ছেন, স্যুই ও চাং - এই ৫টি বড় পরিবার বসবাস করে।
প্রাচীন নগরের আগের খাং তিংর প্রাচীন চা পথের ধারে একটি প্রাচীন ঘরে আমরা ইয়াং পরিবারের ২২তম বংশধর - ৭৩ বছরের ইয়াং চি ছুয়ানের সঙ্গে দেখা করি। বৃদ্ধ ইয়াং উত্সাহব্যঞ্জকভাবে আমাদের সঙ্গে প্রাচীন নগরের ইতিহাস এবং ইয়াং পরিবারের গল্প শোনান। তিনি বলেন,
"শাং লিয়ে ৫টি বড় পরিবার আছে। আমার পিতৃপুরুষ চা ব্যবসা করতেন। তাঁদের দোকানের নাম ছিল 'ইয়ু সিং হাও'। তারা বিশেষভাবে চা উত্পাদন করতেন। চা উত্পাদনের পর সিছুয়ানের কান জি জেলায় সেগুলোকে পরিবহন করা হতো।"
বর্তমানে ৫টি পরিবারেরই পতন হয়েছে। আমরা শুধু বৃদ্ধের বর্ণনা থেকে ওই সময়ে প্রাচীন নগরের সমৃদ্ধ দৃশ্য কল্পনা করতে পারি।
প্রাচীন নগরের পাথর বোর্ডের সুগম করা ধূসর রঙের সড়কে হেঁটে হেঁটে ৫টি বড় পরিবারের বংশের আগের সমৃদ্ধ গল্প শুনতে শুনতে আমাদের মাথায় অনেক চিন্তা ভিড় করে।
© China Radio International.CRI. All Rights Reserved. 16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040 |