|
দু'হাজার হাজার দূরের ভূগর্ভ থেকে উষ্ণপ্রস্রবণ সারা বছর ৪৫ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড। যদি বাইরের তাপমাত্রা শুধু মাইনাস ২০ বা ৩০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড হয়, তবে উষ্ণপ্রস্রবণের তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড বেশি। একজন পর্যটক আমাদের সংবাদদাতাকে বলেছেন,
ওরে বাবা, সত্যি একটু শীত। আমি আস্তে আস্তে উষ্ণপ্রস্রবণে যাই। আচ্ছা, এখন খুব আরাম বোধ করি। এ অনুভূতি খুব মজার।
এ সুন্দর জায়গা নির্মাণ ও সুরক্ষা করা দরকার। ২০১০ সালের এপ্রিল মাসে হেইলোংচিয়াং প্রদেশের সরকার "বৈশিষ্টময় দর্শনীয় স্থানের নীতিমালা ও যাচাইর উপায়" বিশেষভাবে প্রণয়ন করেছে। এ নীতি দর্শনীয় এলাকা সুরক্ষা ও স্থাপনার নির্মাণ সম্পর্কে কার্যকর সুনির্দিষ্ট উপায় উত্থাপন করেছে। এটি কেবল হেইলোংচিয়াংয়ের পর্যটন শিল্প উন্নয়নের জন্য দুর্লভ সুযোগ সৃষ্টি করেছে তাই নয়, বরং দর্শনীয় স্থান নির্মাণের কাজ শুরু করার প্রতীক।
ছি সিন কৃষি খামার হেইলোংচিয়াং'র একটি দৃষ্টান্তমূলক খামার। এ কৃষি খামার মাত্র তিন বছরের মধ্যেই তিন তারকাযুক্ত হোটেল ও স্থানীয় কৃষি রেস্তোরাঁসহ পর্যটনের বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণ করেছে। এখন তার পর্যটক অভ্যর্থনার প্রাথমিক সামর্থ্য অর্জিত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সুই লিন লিন লেখাপড়াকালে তার বিষয় ছিল 'পর্যটন ব্যবসা তথ্য'। স্নাতক ডিগ্রি লাভের পর তিনি জন্মস্থানের পর্যটনের ভবিষ্যত্ সম্ভাবনা সম্পর্কে খুবই আশাবাদী। তিনি ছি সিন কৃষি খামারে একটি পর্যটন পণ্যের দোকানও খুলেছেন। তিনি বলেন,
আমি স্নাতক ডিগ্রি নেয়ার পর বেশি সুযোগ পেয়েছি। আমি হার্বিন বা তালিয়েনসহ বড় কোন শহরে এখন থাকতে পারি। তবে আমি বুঝতে পেরেছি যে, আমার জন্মস্থানের পরিবর্তন খুবই বেশি, এখানকার উন্নয়নের আরো সুযোগ রয়েছে। সুতরাং আমি জন্মস্থানে ফিরে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমি বিশ্বাস করি, আমি এখানকার ভাল উন্নয়ন করতে পারবো।
পরবর্তী পাঁচ বছর, ছি সিন কৃষি খামার স্থানীয় জলাভূমি ও আধুনিক কৃষিসহ বিভিন্ন বিশেষ পর্যটন সম্পদকে পুরোপুরি খুঁজে বেড় করে কাজে লাগাবে। এখানকার পূর্ব চিয়ামুসি ও সানচিয়াং সমতলের গুরুত্বপূর্ণ পর্যটন জায়গায় পরিণত হবে। হেইলোংচিয়াং প্রদেশের ছি সিন কৃষি খামারের কমিউনিস্ট পার্টির সম্পাদক সুন ফেং বলেছেন,
আমরা সম্পদের ভাগাভাগি ও আঞ্চলিক উন্নয়নের দিকটি বিবেচনা করছি। যেমন ফুইউয়ানের প্রথম চৌকি—হেসিয়াজি দ্বীপ, তোংচিয়াংয়ের হোজে সংস্কৃতি ও ফুচিনের জলাভূমি ইত্যাদি ইত্যাদি। আমরা এসব সাধারণ পরিকল্পনায় অন্তর্ভূক্ত করেছি।
অন্যান্য বিখ্যাত দর্শনীয় স্থানের তুলনায় হেইলোংচিয়াং প্রদেশের মো হো জেলার বেই চি গ্রামের পর্যটন শিল্প একমাত্র উন্নত হয়েছে। তবে মোহো বিমান বন্দরের বিমান সার্ভিস চালু করার পর এখানকার পর্যটন খুবই দ্রুত উন্নত হয়েছে। বেই চি গ্রাম এখন চীনের উত্তরাঞ্চলের পর্যটনের একটি গুরুত্বপূর্ণ দৃষ্টান্তে পরিণত হয়েছে। বেই চি গ্রামের সম্পাদক ওয়াং সিউ ফেং বলেছেন, বেই চি গ্রামের স্থানীয় লোকজনের এক ধরণের ঘরকে "মুখেলেং" বলা হয়। এ ঘরে আদিম জাতীয় রীতি রয়েছে। তিনি বলেন,
বেই চি গ্রামের প্রধান স্থাপত্যকর্ম হল মুখেলেং। এ ধরনের ঘর হালকা গরম বজায় রাখার অবস্থা খুব ভাল থাকে। এখানকার ১১৩টি পরিবার হোটেলের মধ্যে ৮০ শতাংশই মুখেলেং।
সুন্দর হেইলোংচিয়াংয়ে বড় বন, বড় জলাভূমি, বড় কৃষি ও বড় হ্রদসহ বিশেষ সম্পদ রয়েছে। বর্তমানে হেইলোংচিয়াং তার পর্যটনের সেবা অব্যাহতভাবে স্বয়ং সম্পূর্ণ করছে।
© China Radio International.CRI. All Rights Reserved. 16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040 |