|
থাই আনের সৌন্দর্য্য কেবল বিরোচিত থাইশান পাহাড়ই নয়। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে থাই আন শহর প্রাকৃতিক সম্পদ পুনর্বিন্যাস করার মাধ্যমে নান্দনিক অর্থনীতিকে সাংস্কৃতিক প্রকল্প নির্মাণে প্রবেশ করেছে। নান্দনিক সংস্কৃতি শিল্প থাই আন শহরের অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রধান দিকে পরিণত হয়েছে।
থাইশান পাহাড়ে রয়েছে 'হুয়া ইয়াং নিয়ান হুয়া' নামে একটি অর্কিড দর্শনীয় স্থান। এর বাইরের আকার পেইচিংয়ের জাতীয় সন্তরণ-পুষ্করিণী ওয়াটার কিউবের মতো। সেখানে রয়েছে থাইশান অর্কিডসহ বিশ্বের ৯ হাজার ৬শ'রও বেশি ধরনের বিরল প্রজাতির অর্কিড। পর্যটকরা সেখানে বিশ্বের কয়েক হাজার রকম অর্কিডের প্রতিযোগিতা করে নিজের সৌন্দর্য দেখানোর দৃশ্য উপভোগ করতে পারবেন। পর্যটক ওয়াং বলেন,
(রি-১)
"যদি এক কথায় এখনই আমার মনোভাব ব্যক্ত করতে হয় তাহলে বলতে হবে, প্রাচীনকালে থাও ইউয়ান মিং শতাধিক পদক্ষেপে থাও হুয়া ইউয়ান খুঁজে বের করতেন, আজ আমরা হাজার একরে অর্কিডের স্বপ্ন খুঁজে বের করি।"
থাইশান হুয়া ইয়াং নিয়ান হুয়া দর্শনীয় স্থান ছাড়া থাই আনের নতুন সাংস্কৃতিক দৃশ্যগুলোর মধ্যে আরো রয়েছে টিভিনাটক 'শুই হু'র দৃশ্যগ্রহণ কেন্দ্র, 'তা ওয়েন খৌ সাংস্কৃতিক শিল্প পার্ক এবং তোং পিং সোং চিয়েসহ বেশ কিছু সাংস্কৃতিক বৈশিষ্ট্যময় প্রকল্প। এ সব দর্শনীয় স্থান থাইশান সংস্কৃতি, তা ওয়েন খৌ ও বিখ্যাত উপন্যাস 'শুইহু'র সংস্কৃতি কেন্দ্র হিসেবে গ্রহণ করে বহুমুখী স্থাপত্য স্টাইল এবং শব্দ, আলো ও বিদ্যুত্সহ বিভিন্ন আধুনিক বৈজ্ঞানিক ও প্রযুক্তিগত পদ্ধতি ব্যবহার করে সংস্কৃতি, শিল্প ও স্থাপত্য সৌন্দর্যের উপাদান মিলিয়ে ইতিহাসকে যেন ফিরিয়ে আনে এবং পাশাপাশি নতুন যুগের আমেজও তুলে ধরে।
থাইশান হুয়া ইয়াং নিয়ান হুয়া দর্শনীয় স্থানের দায়িত্বশীল কর্মকর্তা ব্যাখ্যা করে বলেন,
(রি-২)
"প্রথম থেকেই আমরা নিশ্চিত করেছি যে, সৌন্দর্যদর্শন ধারণা নির্মাণের প্রত্যেক ক্ষেত্রেই ব্যবহৃত হবে। ফলে যেসব পর্যটক এখানে আসবেন, তারা প্রত্যেকেই নান্দনিকতা দেখে বিস্ময় প্রকাশ করবেন।"
এছাড়া শাংহাই বিশ্বমেলা চলাকালে মেলা পরিদর্শনকারীদের থাই আন ভ্রমণে আকৃষ্ট করার জন্য থাই আন শহর ব্যাপকভাবে প্রচার করে।
© China Radio International.CRI. All Rights Reserved. 16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040 |