সঞ্জীব শ্রীবাস্তবার ব্যবস্থাপনায় ভারতীয় উপহার দোকানে মানুষের ব্যাপক ভীড়। সেখানে অব্যাহতভাবে দরকষাকষির কথা শোনা যাচ্ছে। তিনি সংবাদদাতাকে জানান, বিশ্বমেলা শুরু হওয়া থেকে এ পর্যন্ত ৩ মাসেরও বেশি সময়ে তার ব্যবসা খুবই ভাল। তিনি বলেন,

    (রি-২)

    "এবারের শাংহাই বিশ্বমেলায় অংশ নেয়ার জন্য আমরা বিশেষ প্রস্তুতি নিয়েছি। আমি খুব খুশি যে সবার সঙ্গে ভারতের বৈশিষ্ট্যময় পণ্যদ্রব্য ভাগাভাগি করতে পারছি। চীনা বন্ধুরা এখানকার ভারতীয় হস্তশিল্পজাত পণ্য খুবই পছন্দ করেন।"

    যদিও তিনি চীনা ভাষা বুঝেন না, তবুও পর্যটকদের সঙ্গে আলাপের সময় ভাষা তাঁর কাছে বড় কোন সমস্যা না। তার নিজস্ব উপায় আছে। তিনি বলেন,

    (রি-৩)

    "একই ভাষা না হলেও আমরা 'শারীরিক ভাষার' মাধ্যমে পর্যটকদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারি। খুব ভাল লাগছে যে চীনা পর্যটকদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করতে পারি। এখানে আমরা অনেকের সঙ্গে বন্ধু করার পাশাপাশি তাদের সঙ্গে ভারতের সংস্কৃতি ভাগাভাগি করেছি।"

    ভারত প্যাভিলিয়নের গোল অলিন্দে দুটি ভারতীয় রেস্তোঁরা স্থাপন করা হয়। ভারতের নান, কারি মুরগি, আম দই ও সব্জি-সিঙ্গাড়াসহ বিভিন্ন প্রতিনিধিস্থানীয় ভারতীয় খাবার সবই পাওয়া যায় এ রেস্তোঁরা দুটিতে। রেস্তোঁরার মালিক ব্যাখ্যা করেন যে, ভারতীয় খাবারের আকর্ষণীয় বিষয় হচ্ছে এর মশলার বৈচিত্র। এ সব খাবারে ব্যবহৃত তরকারিসহ বিভিন্ন কাঁচামাল ভারত থেকে বিমানে করে আনা হয়।

    রেস্তোঁরায় হোপেই প্রদেশের ছাংচৌর পর্যটক পেংয়ের সঙ্গে সংবাদদাতার দেখা হয়। তিনি তার শিশুর সাথে কারি মাছ বল খাচ্ছিলেন। তিনি বলেন,

    (রি-৪)

    "ভারত প্যাভিলিয়নের স্থাপত্য খুবই বৈশিষ্ট্যময়। এখানে খাওয়া যায় এবং সে দেশের লোক রীতিনীতি সম্পর্কে জানা যায়।"

    ভারতের কেরালা রাজ্যের সুকিধান দম্পতি বিশেষ করে শাংহাই বিশ্বমেলা পরিদর্শন করতে আসেন। সুকিধান বলেন,

    (রি-৫)

    "বিশ্বমেলা পরিদর্শন দুদিন হয়ে গেল। ভারত প্যাভিলিয়ন হচ্ছে আমার সবচেয়ে প্রিয় প্যাভিলিয়নগুলোর মধ্যে অন্যতম। এছাড়া আমরা মিয়ামার, লাওস, উত্তর কোরিয়া ও ভিয়েতনামসহ বিভিন্ন প্যাভিলিয়ন পরিদর্শন করেছি।"

    বর্তমানে বিশ্বমেলা প্রদর্শনী প্রায় শেষ পর্যায়ে এসেছে। ভারত প্যাভিলিয়ন দিনে ৩০ হাজার পর্যটককে অভ্যর্থনা জানায়। এখানে পরিদর্শনকারী মোট পর্যটকের সংখ্যা ৩০ লাখ ছাড়িয়ে গেছে। শাংহাই বিশ্বমেলায় বৈশিষ্ট্যময় ভারত প্যাভিলিয়ন সে দেশের গৌরবোজ্জ্বল সংস্কৃতি ও চিত্তাকর্ষক সৃজনশীলতা প্রদর্শন করছে, যা বিশ্বের বিভিন্ন দেশের পর্যটকদের মনে গভীর ছাপ ফেলতে পারে।