|
ছাংবাই পাহাড় একটি জীবন্ত আগ্নেয়গিরি হওয়ার কারণে এখানকার ঝরণা উষ্ণ। বরফ ও তুষার ঢাকা গভীর পাহাড়ে একবার উষ্ণ-ঝরণায় গোসল চমত্কার উপভোগের বিষয়। স্যুই হাওরান ব্যাখ্যা করে বলেন,
" তুষার পাহাড়ের তলদেশের সাদা তুষারের ওপর মাথা রেখে এবং উষ্ণ ঝরণায় শরীর রেখে মাথা তুলে আকাশে উড়ে যাওয়া তুষারকণা দেখার পাশাপাশি ঠাণ্ডা ও আগুনের উত্তেজনা অনুভব করা বলা যায় শীতকালে ছাংবাই পাহাড় ভ্রমণের সবচেয়ে ভালো উপভোগ।"
ইয়ানবিয়ান চীন, উত্তর কোরিয়া ও রাশিয়ার সীমান্ত এলাকায় অবস্থিত। বিশেষ ভৌগোলিক অবস্থান এখানকার বৈশিষ্ট্যময় সাংস্কৃতিক দৃশ্যও সৃষ্টি করেছে। ইয়ানবিয়ানের ফাংছুয়ান দর্শনীয় স্থান হুইছুন শহরের দক্ষিণে এবং জাপান সমুদ্রবর্তী সীমান্ত এলাকায় অবস্থিত। এর পূব দিকে রয়েছে রাশিয়ার হাসান জেলা এবং দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে উত্তর কোরিয়ার তৌমান চিয়াংলির একটি নদী। তিনটি দেশের এ সীমান্ত ভূমির উঁচু জায়গায় দাঁড়িয়ে দূরে তাকালে তিনটি দেশের দৃশ্য অত্যন্ত কাছে আবির্ভূত হয়। হুইছুন পর্যটন ব্যুরোর উপ-মহাপরিচালক চিন ফেং ব্যাখ্যা করে বলেন,
"ফাংছুয়ান দর্শনীয় স্থান রাষ্ট্রীয় পরিষদ অনুমোদিত জাতীয় পর্যায়ের দর্শনীয় স্থান। এর অধিকাংশই পাহাড়ি অঞ্চল। এটি পাহাড় ও নদীর কাছে অবস্থিত। বিশিষ্ট ভৌগোলিক অবস্থান ও সমৃদ্ধ প্রাণী ও বৃক্ষ সম্পদ নিয়ে ফাং ছুয়ান দর্শনীয় স্থানের বিস্ময়কর দৃশ্য সৃষ্টি করেছে।"
ছাংবাই পাহাড়ের পাদদেশে ইয়ানবিয়ান কোরীয় জাতি স্বায়ত্তশাসিত বিভাগের ৮০ শতাংশ অধিবাসীই কোরীয় জাতির মানুষ। এখানকার মানুষ অতিথিবত্সল ও ভদ্র। তারা নাচে ও গানে খুব ভাল এবং তাদের বিনোদন শিল্প খুবই বৈশিষ্ট্যময়। এতে সীমান্ত সংখ্যালঘু জাতির মানুষদের বিশিষ্ট রীতিনীতি দেখা যায়। ইয়ানবিয়ান স্বায়ত্তশাসিত বিভাগের পর্যটন ব্যুরোর উপ-মহাপরিচালক ইউয়ান সিয়াওইয়ুন বলেন, ইয়ানবিয়ানে বেড়াতে আসলে অবশ্যই অন্য এক ধরনের জাতীয় লোক রীতিনীতি উপভোগ করা যায়। তিনি বলেন,
"ইয়ানবিয়ানে বসবাসকারী জাতির বৈশিষ্ট খুব স্বতন্ত্র। এখানে আসার পর পোশাক হোক বা ভাষা হোক এমনকি খাবারসহ অন্যান্য বিষয়ে বিদেশী বা অন্য জায়গার রহস্যময় ছোঁয়া পাওয়া যায়। বলা যায়, ইয়ানবিয়ান একটি খুবই সুন্দর, শালীন ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ছোট নগর।"
পর্যটন শিল্প উত্সাহব্যঞ্জকভাবে প্রসারিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ইয়ানবিয়ানের পরিবহণ ক্ষেত্রেও ব্যাপক উন্নতি হয়েছে। চার দিক দিয়ে সেখানে যাওয়া যায়। আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট, মহাসড়ক ও রেলপথে যাওয়া যায় সেখানে। হোটেল বা থাকার স্থাপনাও পূর্ণাঙ্গ। ২০০৯ সালের ২৬ ডিসেম্বর শুরু হওয়া চিলিন বরফ-তুষার পর্যটন উত্সব ছাড়া ইয়ানবিয়ানে বৈশিষ্ট্যময় আলিরাং সাংস্কৃতিক পর্যটন উত্সব অনুষ্ঠিত হয়। শ্রোতাবন্ধুরা, ইয়ানবিয়ানে আপনাদেরকে স্বাগত জানাই। উত্তর চীনের সীমান্ত শহরের রহস্যময় আকর্ষণীয় শক্তি উপলব্ধি করতে স্বাগত জানাই।
© China Radio International.CRI. All Rights Reserved. 16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040 |