|
চীনাদের সবচেয়ে পরিচিত বাই ছাও ইউয়ান অর্থাত একশ' ধরনের বৃক্ষ উদ্যানের গল্পও এখানকার। তার বইয়ে লেখা হয়: "আমার বাসার পেছনে একটি বড় উদ্যান রয়েছে। জানা গেছে, উদ্যানের নাম বাই ছাও ইউয়ান। মনে হয় এর মধ্যে সত্যি কিছু আগাছা রয়েছে। কিন্তু সে সময়ে এটা ছিল আমার স্বর্গ।"
লু স্যুনের পুরনো বাসস্থান থেকে বের হয়ে পূর্ব দিকে চললে কয়েক মিনিট পর পড়ে একটি ছোট্ট বন্দর। এঁকেবেঁকে চাং মা নদী সড়কের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে। উ পেং নৌকায় করে বেড়ালে খুব আরাম লাগে। পর্যটন কোম্পানির কর্মী লু এ নদীর তীরে উ পেং নৌকা প্রশাসনের কাজ করেন। তিনি বলেন,
"এখন দশ-বার টি নৌকা রয়েছে। ছুটির দিনে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সারিবব্ধ নৌকার দৃশ্য দেখা যায়। প্রায় ৩০-৪০টি নৌকা থাকে তখন। একের পর একটি সারিবদ্ধভাবে বাঁধা থাকে। আগের উপেং নৌকা ছিল নদী ট্যাক্সি। শাওসিং অধিবাসীরা নদীর তীরে থাকেন। তারা জাহাজঘাটে সবজি বা মাছ কিনতে আসেন।"
এক দিনের ভ্রমণে পর্যটকরা শহরের বাইরের লান থিং বেড়ানো ও ক্যালিগ্রাফি উপভোগ করতে পারেন। চতুর্থ শতাব্দীর চীনের বিখ্যাত হস্তলিপিকার ওয়াং সিজি বাসস্থান থাকার কারণে এটাকে 'ক্যালিগ্রাফির পবিত্র স্থান' বলে গণ্য করা হয়।
শাওসিংয়ে আসা চীনা বা বিদেশী পর্যটকরা পুরনো ও আধুনিক শহরের প্রতি অনুরাগ উপলব্ধি করেন। পাহাড় ও নদী, দৃশ্য, বিখ্যাত খাবার এবং অনেক সাংস্কৃতিক ধ্বংসাবশেষের বৈশিষ্ট্যময় স্টাইল রয়েছে এখানে। ক্রোয়েশিয়ার ম্লাডেন মাটোভিচ বলেন, শাওসিং অধিবাসীদের হাসিমুখ তার মনের ওপর গভীর ছাপ ফেলেছে। তিনি বলেন,
"শহরটি খুবই সুন্দর। স্থানীয় অধিবাসীদের আথিতেয়তা আমার মনে গভীর ছাপ ফেলেছে। এ কদিনে আমি এমন একজন চীনাকেও দেখিনি যিনি হাসেন না। যে কোন বয়সের মানুষই হোন না কেন সবার হাসের মুখ। আমরা খুবই আনন্দিত এটা দেখে।"
বর্তমানে প্রাচীন নগর শাওসিংয়ে আসা খুবই সুবিধাজনক। গাড়িতে করে হাংচৌ সিয়াওশান বিমানবন্দর থেকে শাওসিং পর্যন্ত মাত্র ৪০ মিনিট লাগে। শাওসিং শহরে ট্যাক্সি, পাবলিকবাস ও রিকশা আছে। আপনি খুবই সুবিধাজনকভাবে বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানে পৌঁছাতে পারবেন।
© China Radio International.CRI. All Rights Reserved. 16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040 |