|
শাওসিংয়ে সেরা দর্শনীয় স্থান হলো লু স্যুন পুরনো জন্মস্থান। শহরের কেন্দ্রস্থলে লু স্যুন সড়কে পর্যটকদের চলাফেরার ও দেখা এমনকি খাদ্যদ্রব্যের সঙ্গে লু স্যুনের কোন না কোন সম্পর্ক রয়েছে। লু স্যুন ছিলেন চীনের গত শতাব্দীর বিখ্যাত সাহিত্যিক, চিন্তাবিদ ও বিপ্লবী। তিনি জাপানে লেখাপড়া করেন এবং চিকিত্সা পেশা ত্যাগ করে সাহিত্যসেবায় মনোনিবেশ করেন। তিনি কলমের মাধ্যমে সামন্তবাদী সমাজের পুরনো রীতিনীতির তীব্র নিন্দা করার পাশাপাশি জনগণকে জাগিয়ে তোলেন।
সবাই ভাল আছেন! লু স্যুনের পুরনো জন্মস্থানে স্বাগত জানাই। এখানে চলছে লু স্যুনের লেখা নদনদী এলাকার রীতিনীতি সংক্রান্ত গ্রামীণ নাটকের পরিবেশনা।
মনোগ্রাহী পরিবেশনা মানুষদেরকে নদনদী এলাকার রীতিনীতিতে ফুটিয়ে তুলেছে। লু স্যুনের সঙ্গে সম্পর্ক থাকা প্রথম জায়গা হচ্ছে কর্ডিয়াক বিছানো সড়কের পশ্চিম দিক থেকে পূর্ব দিক পর্যন্ত সিয়ান হেং মদ দোকান। সে মদের দোকানের উপ-মহাব্যবস্থাপক মাও থিয়ান ইয়াও বলেন, একটি স্থানীয় কথা প্রচলিত আছে, তা হলো সিয়ান হেংয়ে না আসলে তা শাওসিংয়ে না আসারই মত। তিনি বলেন,
"এটা আমাদের শাওসিংয়ের জানালা। দেশী-বিদেশী পর্যটকরা শাওসিংয়ে আসলে অবশ্যই আমাদের মদের দোকান বা হোটেলে বসতে বা দেখতে আসেন। তারা এক বাটি শাওসিং মদ বা ব্রোড বিন খাওয়া এবং বিখ্যাত ও হাল্কা খাবারের স্বাদ নেয়ায় শাওসিংয়ের রীতি উপভোগ করেন। বর্তমানে এটা আমাদের শাওসিংয়ের সবচেয়ে প্রভাব সৃষ্টিকারী ও সাংস্কৃতিক বৈশিষ্ট্যময় হোটেল।"
পথটি বরাবর চললে লু স্যুনের সাবেক ও পুরনো বাসভবন দেখা যায়। লু স্যুনের পদবী ছিল চৌ। চৌ পরিবার স্থানীয় বিখ্যাত একটি পরিবার। পথনির্দেশক ছাও শেংইয়ান বলেন, এটা শাওসিংয়ের ঐতিহ্যবাহী বড় পরিবারের জীবনযাপনকে জানার জানালা। তিনি বলেন,
"এখন আমরা এসেছি লু স্যুনের সাবেক বাসভবন অর্থাত শাওসিংয়ে চৌ পরিবারের সর্বপ্রথম কেনা বাড়ি। এর জনপ্রিয় নাম হলো প্রবেশ-প্রকোষ্ঠ দরজা। দেখতে পেইচিংয়ের চতুষ্কোণ বাসভবনের মতো। কয়েকটি পরিবার এক সাথে থাকতেন। লু স্যুন এখানে ছিলেন না। ২০০৩ সালে আমরা আগের ভিত্তিতে মেরামত করেছি। প্রধানত চৌ পরিবারের প্রেক্ষাপট সংযুক্ত করে সবাইকে শাওসিংয়ের আগের বড় পরিবারের জীবনযাপন ব্যাখ্যা করে এ বাড়িটি।"
শাওসিং ওয়েন লি কলেজের অধ্যাপক ও স্থানীয় সংস্কৃতি গবেষক মাদাম কাও লিহুয়া বলেন, প্রবেশ-প্রকোষ্ঠ দরজা আসলে শাওসিং মানুষের গুণের প্রতীক - ধৈর্যশীলতা ও অন্তর্মুখিতা।
লু স্যুনের পুরনো বাসস্থান অর্থাত 'চৌ পরিবারের নতুন প্রবেশ-প্রকোষ্ঠ' নামের জায়গাটি আরো বেশি পর্যটককে আকর্ষণ করে। পথনির্দেশক ছাও শেংইয়ানের ব্যাখ্যায় মানুষেরা বাস্তবতা ও ইতিহাস সংযুক্ত করতে পারেন। ছাও শেংইয়ান বলেন,
"এখন আমরা এসেছি গ্রীষ্মকালে প্রবেশ-প্রকোষ্ঠর সবচেয়ে ঠাণ্ডা জায়গা—কুই হুয়া মিং থাং। এখানে দুটি ঘন ও ঊঁচু চিন কুই গাছ লাগানো হয়েছিল। এখানে আরেকটি চিন কুই গাছ ১৯৬১ সালে আবার লাগানো হয়। লু স্যুন তাঁর ছোটবেলার গ্রীষ্মকালের সন্ধ্যায় সবসময় এ গাছের নিচে তাঁর দাদির কাছে গল্প শুনতেন। এসব উষ্ণ প্রতিমূর্তির বর্ণনা লু স্যুনের বইয়ে পাওয়া যায়।"
© China Radio International.CRI. All Rights Reserved. 16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040 |