|
আদুরে অতিকায় পান্ডার জন্মস্থান চীনের সিছুয়ান প্রদেশে। সে প্রদেশের রাজধানী ছেংতু শহর অতিকায় পান্ডা অধ্যূষিত এলাকা না হলেও সেখানে বিশ্বের প্রথম শ্রেণীর অতিকায় পান্ডা প্রজনন গবেষণা কেন্দ্র রয়েছে। আজ আমি আপনাদের নিয়ে যাবো পান্ডা স্বর্গের মতো সেই প্রজনন গবেষণা কেন্দ্র। এবারের অনুষ্ঠানের প্রশ্ন হলোঃ ছেংতু অতিকায় পান্ডা প্রজনন গবেষণা কেন্দ্রটিতে কতটি পান্ডা আছে?
ছেংতু অতিকায় পান্ডা প্রজনন গবেষণা কেন্দ্র ছেংতু শহরের উত্তর উপকণ্ঠের ফুথৌ পাহাড়ে অবস্থিত। শহর থেকে এর দূরত্ব ১০ কিলোমিটার। একটি সুবিশাল সড়ক পান্ডা কেন্দ্র ও শহরকে সংযুক্ত করেছে। অতিকায় পান্ডা জাদুঘরে প্রদর্শিত বিরল উপাত্ত বিশ্বে অদ্বিতীয়। জাদুঘরটি অতিকায় পান্ডার পরিচয় জানা, প্রকৃতিতে প্রত্যাবর্তন, দৃশ্য উপভোগ, ভ্রমণ এবং অবকাশ কাটানো ও বিনোদনের শ্রেষ্ঠ জায়গা।
১৯৮৭ সালে পান্ডা কেন্দ্রটি প্রতিষ্ঠার পর থেকে গবেষণা ও শিক্ষার মাধ্যমে প্রজনন পান্ডার সংখ্যা অব্যাহতভাবে বাড়ছে। বর্তমানে চীনের বৃহত্তম পান্ডা সুস্থিত প্রজননের প্রজাতি রয়েছে। সেখানে মোট ৮৭টি পান্ডা আছে। পান্ডা কেন্দ্র গণশিক্ষা বিভাগের প্রধান উ সিয়ানজি বলেন, এসব অতিকায় পান্ডা প্রতি বছর বহু পর্যটককে আকর্ষণ করে। তিনি আশা করেন, আরো বেশি সংখ্যক পর্যটকের জন্য অতিকায় পান্ডা দেখার সুযোগ সৃষ্টি করবে। তিনি বলেন,
"জনসাধারণ অতিকায় পান্ডা খুবই পছন্দ করেন। কিন্তু কেন পান্ডাদের রক্ষা করতে হবে এবং কিভাবে রক্ষা করা যাবে অনেক মানুষ তা জানেন না। তাই আমরা জনপ্রিয় বিজ্ঞান শিক্ষার মাধ্যমে অতিকায় পান্ডার বিকাশ, বর্তমান অস্তিত্বের অবস্থা এবং পান্ডাদের প্রতি আমাদের কর্তব্য সম্পর্কে জানাই। প্রচার ও শিক্ষার মাধ্যমে তাদেরকে জানাই পরিবেশের প্রতি আমাদের কর্তব্য ও দায়িত্ব রয়েছে। পান্ডাদের রক্ষা করার কাজ প্রত্যেকের জীবনযাপনের ছোট ব্যাপার থেকে শুরু হয়।"
পান্ডা কেন্দ্রের চারদিকে প্রচুর সবুজ বাঁশ ও গাছ রয়েছে – সেখানে ফুলের সুগন্ধ পাওয়া যায় এবং পাখির গান শোনা যায়। সতেজ বায়ু ও প্রাকৃতিক দৃশ্য কৃত্রিম দৃশ্যের সঙ্গে নিপুণভাবে মেশানো হয়েছে। বড় পান্ডা, ছোট্ট পান্ডা ও কালো-গলা সারস পাখিসহ বিভিন্ন বিলুপ্তপ্রায় প্রাণী সেখানে উদ্বেগহীনভাবে ও তৃপ্তির সাথে প্রজনন করে।
পান্ডা কেন্দ্রের কর্মীরা বিভিন্ন উপায়ে পর্যটকদের কাছে অতিকায় পান্ডা সম্পর্কে ব্যাখ্যা করেন। উ সিয়ানজি বলেন,
"পর্যটকরা প্রতিটি জায়গায় প্রাকৃতিক পরিবেশ সংরক্ষণ সংক্রান্ত প্রদর্শনীতে আমাদের ধারণা উপলব্ধি করতে পারেন। গতানুগতিক শিক্ষা উপায় ছাড়া মাল্টিমিডিয়া এবং শ্রুতি ও আলোকবিদ্যার পারস্পরিক খেলা সংক্রান্ত প্রদর্শনী আছে। পর্যটকরা পান্ডা কেন্দ্রে আসার পর প্রাকৃতিকভাবে ও আস্তে আস্তে এ শিক্ষা গ্রহণ করেন।"
© China Radio International.CRI. All Rights Reserved. 16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040 |