|
তোং ইং শহর উত্তর শানতোং প্রদেশের হুয়াংহো বদ্বীপ এলাকায় অবস্থিত। হুয়াংহো নদী সেখানে বিশাল বোহাই সমুদ্রে প্রবেশ করেছে। নদী ও সমুদ্র সংলগ্ন জায়গার প্রাকৃতিক দৃশ্য আসাধারণ। তোং ইং শহরের হুয়াংহো বদ্বীপ নির্মাণ কার্যালয়ের উপ-পরিচালক স্যুয়েই রোংচিয়ান ব্যাখ্যা করেন,
"হুয়াংহো নদীর একটি মাত্র মোহনা আছে। নদী ও সমুদ্রের সংলগ্নতা অদ্ভূত। হুয়াংহোর রয়েছে বিশ্বজোড়া খ্যাতি। এটা হলো আমাদের মাতৃনদী। সবাই হুয়াংহোর সত্যিকারের মোহনা দেখতে যেতে চান -- দেখতে চান কিভাবে হুয়াংহো সমুদ্রের কোলে প্রবেশ করেছে এবং নদী ও সমুদ্রের মোহনায় হলুদ ও নীল রঙের আসাধারণ মিশ্রণ হয়েছে।"
হুয়াংহো নদী প্রচুর পলি বহন করে নদীর মুখে বদ্বীপ এলাকায় বৈশিষ্ট্যময় প্রাকৃতিক দৃশ্য সৃষ্টি করেছে। হুয়াংহোর মোহনায় নদীর দু'তীরে বিশ্বের সবচেয়ে বিশাল, সবচেয়ে সম্পূর্ণ এবং সবচেয়ে নবীন জলাভূমি প্রাকৃতিক ব্যবস্থা এবং বড় আয়তনের প্রাকৃতিক তৃণভূমি ও ঝোপঝাড় রয়েছে। এটা জাতীয় পর্যায়ের প্রাকৃতিক সংরক্ষণ অঞ্চল। তোংইং পৌর সভার বৈদেশিক প্রচার কার্যালয়ের পরিচালক রেং জেংছিং বলেন,
"এ প্রাকৃতিক সংরক্ষণ অঞ্চলের আয়তন ১ লাখ ৫৩ হাজার হেক্টর। আমাদের সংরক্ষণ কাজ খুবই ভাল। শরত্কালে যাযাবর পাখি খুবই বেশি দেখা যায় এবং সেগুলো খুবই সুন্দর। সে সময় এখানকার দৃশ্য খুবই বৈশিষ্ট্যময় থাকে। এরকম বৈশিষ্ট্যময় স্থান দেশে শুধু এখানে আছে। আমাদের তোংইংয়ের ভূমি অব্যাহতভাবে সম্প্রসারিত হচ্ছে। এটা আমাদের জন্য হুয়াংহো নদীর উপহারস্বরূপ।"
এখানকার প্রাকৃতিক সংরক্ষণ অঞ্চলে ১ হাজার ৫শরও বেশি প্রজাতির বন্য প্রাণী আছে। এর মধ্যে পাখির প্রজাতি প্রায় ৩শ'। চলতি বছরের প্রথম দিক থেকে সংরক্ষণ অঞ্চলে বিলুপ্তপ্রায় পাখি সিকোনিয়া বৈসিয়ানার ওপর গবেষণাকারী আনহুই বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশবিদ্যা বিষয়ক স্নাতকোত্তর ছেন চুনলিন ব্যাখ্যা করেন,
"কারণ সিকোনিয়া বৈসিয়ানা চীনের প্রথম শ্রেণীর বিলুপ্তির সম্মুখীন পাখি। এটি এক ধরনের বৃহত্ জলচর পাখি। পরিবেশগত তুলনামূলক অবস্থা নির্দেশকারীর ভুমিকা রয়েছে এ পাখির। সারা বিশ্বে এরকম পাখির সংখ্যা খুব কম - প্রায় ৩ হাজার। সুতরাং এটা খুবই বিরল। এ পাখি হুয়াংহো বদ্বীপে তার নিয়মিত এখানে ওখানে বেড়ানোর জায়গা হিসেবে আসে না, কিন্তু এখন এখানে তারা প্রজনন করে।
এখানে বিরল পাখি ছাড়া জলাভূমির বিশেষ গাছগাছড়াও বড় ধরনের দৃশ্য সৃষ্টি করে। এখানে প্রাকৃতিক নলখাগড়া ও কমন সিপওয়িড হার্বসহ ৩শ'রও বেশি গাছগাছড়া রয়েছে। গাছগাছড়ার আবৃতির হার ৫৫ শতাংশ। বিশেষ করে শরত্কালের শেষে এখানে ওখানে লাল রঙের কমন সিপওয়িড হার্ব জন্মে। দূর থেকে দেখলে মনে হয় এক একটি লাল গালিচা আকাশের সীমায় ছড়িয়ে রয়েছে।
© China Radio International.CRI. All Rights Reserved. 16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040 |