|
ওয়াং ইয়ো উপত্যকার মধ্য দিয়ে নিরব সুন্দর বাঁশ গলি দিয়ে শুনান বাঁশ বনের বিখ্যাত 'পান্না গ্যালি' যাওয়া যায়। এ গ্যালিতে হাঁটতে সতেজ আবহাওয়ায় বাঁশ পাতার সুগন্ধ পাওয়া যাবে। এ এক অন্য বিশ্বে থাকার মত ব্যাপার।
'পান্না গ্যালির' মধ্য দিয়ে উপরে গেলে শুনান বাঁশ বনের সবচেয়ে বৈশিষ্ট্যময় দৃশ্যগুলোর মধ্যে অন্যতম হাই জোং হাই অর্থাত্ সমুদ্রের মধ্যকার সমুদ্রে পৌঁছানো যাবে। হাই জোং হাই আগে ছিল বাঁশ বন পাহাড়ের ওপর একটি তুলনামূলকভাবে নিম্ন ঊর্মিগহ্বর উপত্যকা। বাঁধ নির্মাণের পর ৪ হেক্টরের একটি হ্রদ গড়ে তোলা হয়। বিশাল হ্রদটি বাঁশ বনে একটি সমুদ্রের মত। এ কারনে এটি 'হাই জোং হাই' খ্যাতি পায়।
পথনির্দেশক সিয়াও সিয়া ব্যাখ্যা করেন, হাই জোং হাইয়ের গভীরে অন্য রকম দৃশ্য আছে। তিনি বলেন,
"হাই জোং হাই হচ্ছে শুনান বাঁশ বনের তিনটি বড় হ্রদের মধ্যে সবচেয়ে সুন্দর জায়গা। সেখানে হ্রদের ওপরে নৌবিহার করা যায়। আবার নৌবিহারের পর ছেন পরিবারের উদ্যান নামের একটি জায়গায় পৌঁছে চা খাওয়া যায়। সে উদ্যান হচ্ছে শুনান বাঁশ বনের ঐতিহ্যপূর্ণ উদ্যান।"
এ বাঁশ বনে বনের দৃশ্য উপভোগ করার পাশাপাশি বাঁশ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন রকম আনন্দ উপভোগ করা যাবে। বাঁশ দেখা, বাঁশের শব্দ শোনা, বাঁশ খুঁড়া, বাঁশ খাওয়া...আপনি বাঁশের বিশ্বে আনন্দঘন পরিবেশ উপভোগ করতে পারবেন। পথনির্দেশক সিয়াও সিয়া বলেন, প্রাচীনকাল থেকে এ পর্যন্ত বাঁশ মানুষের প্রিয় জিনিস। তিনি বলেন,
"চীনারা সর্বপ্রথমে বাঁশ ফালির ওপর লিখতেন। তারপর বাঁশ দিয়ে কাগজ তৈরী করতেন। বর্তমানে বাঁশ তলা তৈরী করা হয়। তাছাড়া আমাদের বাঁশভোজ আছে। এরকম ভোজের খাবারগুলো শুনান বাঁশ বনের বিভিন্ন উপাদান দিয়ে তৈরি হয়। এ সব খাবার আন্ত্রিক নালিপথ পরিষ্কারে ভুমিকা রাখে। এখানে এ সব সুস্বাদু খাবার খাওয়া একটা অসাধারণ ব্যাপার।"
শুনান বাঁশ বনের উষ্ণ আবহাওয়া এবং প্রাকৃতিক শোভা সারা বছর বিশ্বের বিভিন্ন এলাকার পর্যটকদের আকর্ষণ করে। পর্যটক ইয়াংসহ ২০ জনেরও বেশি সদস্যবিশিষ্ট একটি দল বাঁশ বনের কৃষি হোটেলে ৩ দিন কাটিয়েছিলেন। তিনি বলেন,
"আমরা সি আন থেকে আসি। জায়গাটা খুবই সুন্দর। এখানকার পরিবেশ, প্রাকৃতিক দৃশ্য এতো সুন্দর! আমরা শুনেছি ই বিন এলাকার বাঁশ বন খুব বিখ্যাত এবং দৃশ্য সুন্দর। নাম শুনেই আসতে চেয়েছি। বড় শহরে এরকম বিশুদ্ধ বায়ু নেই।"
শুনান বাঁশ বনে গেলে সেখান থেকে অন্য কোথাও যেতে চায় না মন। বড় আয়তনের কারণে একবারে এ বনের সব দৃশ্য দেখা শেষ হয় না। এটাও বাঁশ বনের সবচেয়ে বড় আকর্ষণীয় শক্তি। পথনির্দেশক সিয়াও সিয়া বলেন,
"শুনান বাঁশ বন একটি পাহাড় ও পানি, দ্রাবণ গর্ত, জলপ্রপাত ও মন্দিরের সমন্বয়ে গড়ে ওঠা এক চমত্কার দর্শনীয় স্থান। আজ আমরা যেটা দেখেছি, সেটা এ বাঁশ বনের একটি ছোট্ট অংশ। পুরোটা না দেখতে পারার দুঃখ থাকলে আগামী বার আবার এখানে এসে এখানকার সুস্বাদু পাহাড়ি খাবার, সতেজ বায়ু এবং সুন্দর জীবনযাপন উপভোগ করার আশা রইলো। শুনান বাঁশ বন হচ্ছে আপনাদের শ্রেষ্ঠ বাছাই। সবাইকে আবার শুনান বাঁশ বনে আসার আমন্ত্রণ জানাই।"
শুনান বাঁশ বনের ব্যাখ্যা আজকের মত এখানেই শেষ করছি। সবশেষে আমি আজকের প্রশ্নটি আবারও বলে দিচ্ছি। শুনান বাঁশ বন চীনের কত নম্বর বড় বাঁশ বন? আপনারা চিঠি পাঠালে বাংলা সার্ভিস, সি আর আই-১১, চীন আন্তর্জাতিক বেতার, পি.ও. বক্স ৪২১৬, পেইচিং, পি.আর. চায়না-১০০০৪০। আমাদের ইমেইল ঠিকানা হচ্ছে ben@cri.com.cn । এবারের প্রতিযোগিতা ২০১০ সালের ১ জুলাই পর্যন্ত চলবে। ওয়েবসাইটে ২০১০ সালের ১ জুলাই রাত ১২টা পর্যন্ত আপনি এতে অংশ নিতে পারবেন। আপনাদের অংশ গ্রহণকে আবারো স্বাগত জানাই।
© China Radio International.CRI. All Rights Reserved. 16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040 |