|
সংস্কৃতি সড়কে মায়ের সঙ্গে চীনের আগামী প্রজন্মের শিশু
বর্তমানকালের বিশিষ্ট ও প্রাচীনকালের বিখ্যাত শিল্পীদের চিত্রকলার প্রতিলিপি নিখুঁতভাবে আঁকা হয় প্রাচীন ভাস্কর্যসমূহেরও অবিকল নকল তৈরি করা হয়। অনেক ধরনের টেরাকোটা ও পুরাকীর্তির প্রতিলিপিও এখানে পাওয়া যায়। না জানলে বিশ্বাসই হবে না যে এসব আসলের অবিকল প্রতিরূপ। এসব জিনিস কেনার ক্ষমতা রয়েছে মধ্যবিত্ত থেকে সাধারণ মানুষের অনেকেরই। থিয়েনচিন মিউজিয়ামে ঢুকতে টিকিট কিনতে হয় এবং ইয়াংলিউছিং গ্যালারিতে ঢুকতে কোন টিকিট লাগে না।
থিয়েনচিনে আরো দু'টি বড় মন্দির রয়েছে। এর একটি হলো 'তুলে' (Dule) মন্দির। এটি শহর থেকে বেশ দূরে অবস্হিত। মূল শহর থেকে প্রায় ৯০ কিলোমিটার পথ পারি দিঁয়ে সেখানে যেতে হয়। এ মন্দিরটিও খুব আকর্ষণীয়। মন্দিরের ভেতর অনেকগুলো প্রার্থনার ঘর রয়েছে। সেসব ঘর প্রাচীনকালের ডিজাইনে তৈরি। মন্দিরের এসব ঘরে বুদ্ধের মূর্তিসহ নানা ধরনের দেব-দেবীর মূর্তি রয়েছে। মন্দিরের চত্বরের বিভিন্ন স্হানে শ্রদ্ধা প্রদর্শন করতে আগর বাতি ও ধূপ ধুনা জ্বালানোর জন্য রয়েছে প্রতিটি প্রার্থনালয়ের সামনে বেশ কয়েকটি বিশাল আকারের কারুকার্যময় পাত্র। এক হাজার বছরের পুরানো এ মন্দিরটি এ অঞ্চলের মধ্যে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য তার কারণ হলো মন্দিরটির অবকাঠামোগত স্হাপত্যের বৈচিত্রময় শৈলী। যা সত্যিই দেখার মত। রংয়ের বাহারে চীনা বৈশিষ্টের নিখুঁত কারুকাজ। তাছাড়া মন্দিরের প্রতিটি ঘরের ছাদের চারপাশের ঢেউ খেলানো প্রতিটি কার্নিশেই রয়েছে ছোট ছোট আটটি প্রাণীর ভাষ্কর্য। এসব প্রাণীর ভাষ্কর্য চীনের প্রায় সব বাড়িতেই দেখা যায়।
তাপেই মন্দিরের ভেতরে
মূল মন্দিরে রয়েছে কুয়ানইনের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের জন্য বিশাল আকারের চীনের ক্ষমার দেবীর মূর্তি। এ দেবীর মূর্তিটি পোড়া মাটি দিয়ে তৈরি করা হয়েছে। এর উচ্চতা ১৬ মিটার বা ৫২ ফুট। লিয়াও ডাইনাস্টির সময় (৯১৬ থেকে ১১২৫ খ্রীষ্টাব্দ)-এর সময়কালে এ দেবীর মূর্তিটি মূল মন্দিরে স্হাপন করা হয়েছিল। এ মন্দিরটি চীনের সবচেয়ে পুরানো সম্পুর্ণ কাঠ দিয়ে তৈরি মন্দির। এটিকে কাঠ দিয়ে এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে যে, এ পর্যন্ত বড় ধরনের ২৮ বারের ভূমিকম্পেও তা বিদ্ধস্ত হয় নি। এ মন্দির পরিদর্শন বা শ্রদ্ধা জানাতে প্রবেশের জন্য কোন ফি লাগে না।
© China Radio International.CRI. All Rights Reserved. 16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040 |