|
নানচিং ভ্রমণের পর আমরা এক সাথে চিয়াংসু প্রদেশের ইসিং শহর দেখতে যাই। ইসিং-এ আসলে অবশ্যই স্থানীয় গ্রামে যেতে হবে। সে শহরে গেলে একটি চীনা স্টাইলের রেখা ও জলরঙচিত্রে প্রবেশের মতো। ইসিং-এর গ্রামে ১ হাজার ৬৬৭ একর চা বাগান, চিকন স্থাপত্য এবং বিস্তৃত বাঁশ বন রয়েছে। ইসিং বাঁশ বন অঞ্চলের পথপ্রদর্শক হুয়াং ব্যাখ্যা করেছেন, ইসিং ভ্রমণের সবচেয়ে ভালো সময় হচ্ছে গ্রীষ্মকাল। এখানে গরমকালও কাটানো যায়। তিনি বলেন,
চা বাগান
ইসিং হচ্ছে চিয়াংসু'র সবচেয়ে দক্ষিণ দিকের শহর। এখানে ১৫ হাজার হেক্টরেরও বেশি বিস্তৃত সবুজ বাঁশ রয়েছে। সুতরাং এখানকার চীনের প্রথম বিশাল বাঁশ বনের খ্যাতি রয়েছে। এখানকার পাহাড় নদী সংলগ্ন, প্রত্যেক জায়গার দৃশ্য সুন্দর। আমাদের বাম দিকে রয়েছে চিংহু হ্রদ। এখানে একটি বাগান আছে। বাগানে ১৫০ রকমেরও বেশি বাঁশের চাষ করা হয়। বসন্তকাল আসলে এখানে বসন্তের বাঁশ মুকুল খোঁড়ার চেষ্টা করা হয়।
গাড় লাল এনামেলের মৃত্পাত্র
তাছাড়া ইসিংয়ের চীনামাটির ইতিহাস ৪ বা ৫ হাজার বছরের পুরনো। এর মধ্যে গাড় লাল এনামেলের মৃত্পাত্র সবচেয়ে বৈশিষ্ট্যময়। দেশে-বিদেশে নামকরা। ইসিংয়ের গাড় লাল এনামেল মৃত্পাত্রের উচ্চ মানের শৈল্পিক মূল্য ছাড়াও এতে চা রাখলে স্বাদ বা রঙ পরিবর্তন হয় না এবং গ্রীষ্মকালে চা সহজেই নষ্ট হয় না। সুতরাং ইসিং-এ বাঁশ বাগানে বেড়ানো এবং চা পানের এতো আনন্দদায়ক পরিবেশ মিস করা যাবে না।
বাঁশ বন
ইসিং থেকে বের হয়ে সাংহাই থেকে ১ ঘন্টার দূরত্বের পথের সুচৌ-এ আসবো। এটি বিশ্বমেলা পর্যটনের হট-লাইনগুলোর মধ্যে অন্যতম। ফলকের লেখা অনুযায়ী সুচৌ'র ইতিহাস ৪ হাজার বছরেরও বেশি। এখানকার পাহাড় ও নদী এবং মার্জিত সৌন্দর্য্যমন্ডিত বাগান বিশ্ববিখ্যাত। সুচৌ'র ৯টি বাগান বিশ্ব সাংস্কৃতিক উত্তরাধিকারের তালিকায় অন্তর্ভূক্ত হয়েছে। তাছাড়াও এখানকার নদী জালের মত এবং নদনদী এলাকা ও প্রাচীনকালের নগরের বৈশিষ্টের কারণে সুচৌ 'প্রাচ্যের ভেনিস' এবং 'প্রাচ্যের পানি নগরের' সুনাম অর্জন করে। সুচৌ শিংহ বাগানের কর্মী তেং চিয়াছেন ব্যাখ্যা করেন,
শিংহ বাগান
প্রকৃত অর্থে সুচৌ বাগান ছিল ব্যক্তিগত বাগান। এখানে ছোট সেতু, কৃত্রিম পাহাড় ও প্যাভিলিয়ন বিশিষ্ট সম্পূর্ণ বাগান। যেমন আমাদের শিংহ বাগানে অনেক কৃত্রিম পাহাড় রয়েছে। তা দেশী-বিদেশী অনেক পর্যটকের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। ছিং রাজবংশের সম্রাট ছিয়ানলোং ৬ বার শিংহ বাগানে এসেছিলেন। তিনি এখানে অভিলেখন লেখেছেন।
চিয়াংসু প্রদেশের পর্যটন ব্যুরোর উপ-মহাপরিচালক ইউয়ান তিং বলেছেন, চিয়াংসু প্রদেশের অনেক দর্শনীয় স্থান বিশ্বমেলা পর্যটন লাইনের অন্তর্ভূক্ত হয়েছে। দেশী-বিদেশী পর্যটকরা বিশ্বমেলা পরিদর্শন ও ভ্রমণ ছাড়াও সুচৌ বাগানের মত চীনের বৈশিষ্ট্যময় দর্শনীয় স্থান ভ্রমণ উপভোগ করতে পারবেন। তিনি বলেন,
কৃত্রিম পাহাড়
আমরা আশা করি, সাংহাই বিশ্বমেলা চলাকালে আরো বেশি অতিথি চিয়াংসুয়ে বেড়াতে আসবেন। আমাদের শ্রেষ্ঠ পর্যটন লাইন দেশী-বিদেশী পর্যটকদের দেয়ার প্রত্যয় রয়েছে। বিশ্ব অবৈষয়িক সাংস্কৃতিক পুরাকীর্তি তালিকায় অন্তর্ভূক্ত সুচৌ ক্লাসিক্যাল বাগান ছাড়াও বিশ্ব অবৈষয়িক সাংস্কৃতিক পুরাকীর্তির তালিকায় অন্তর্ভূক্ত খুনছুই অপেরাও রয়েছে। পর্যটকরা প্রাকৃতিক দৃশ্য উপভোগ করার পাশাপাশি ক্লাসিক্যাল সংস্কৃতি এবং ক্লাসিক্যাল অপেরার আকর্ষণশক্তিও উপভোগ করতে পারবেন। সবাইকে সাংহাই বিশ্বমেলায় আসার সুযোগে চিয়াংসুয়ে আসার জন্যও স্বাগত জানাই। আমাদের পর্যটন বিভাগ সবাইকে সন্তুষ্ট করতে সক্ষম হবে।
© China Radio International.CRI. All Rights Reserved. 16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040 |