|
আনকে বলেছেন, হামবার্গ হাউসের রুদ্ধদ্বার স্থাপত্যের গরম আস্তরণ খুব ভালো। জিও-থার্মাল শক্তিসহ বিভিন্ন রকমের প্রাকৃতিক উপায়ে 'হামবার্গ হাউস' এমনকি জ্বালানী সরবরাহের ক্ষেত্রে নিজের চাহিদা পূরণ করা যায়। প্রতি বছর এই স্থাপত্যের প্রতি বর্গমিটার স্বাচ্ছন্দে জঞ্জাল জ্বালানীর ব্যবহার ৫০ কিলোওয়াট ঘন্টা'র চেয়ে কম। তা সাধারণ অফিস ভবনের ৪ ভাগের এক ভাগ মাত্র।
হামবার্গ হাউসের উচ্চ কার্যকর জ্বালানী সাশ্রয়ের বৈশিষ্ট থাকায় একই সঙ্গে অফিস ও থাকা-এ দুটো নির্দিষ্ট কর্মের প্রতিফলন হয়েছে। যাতে পরিবহন কমানো এবং জ্বালানী ব্যবহার সাশ্রয়ের লক্ষ্য বাস্তবায়ন করা যায়। মানুষ সুন্দর করে চাকরি, বসবাস, অবকাশ বিনোদনের পাশাপাশি টেকসই জীবনযাপনের পদ্ধতি এনে দেয়া নিরাপত্তা ও আরাম অনুভব করতে পারেন। আসলে 'হামবার্গ হাউসে' প্রথমবারের মত এরকম আচরণ করা হয়েছে তা নয়। ইউরোপের বৃহত্তম নগরের পুনর্গঠন প্রকল্প—হামবার্গের 'হাফেন সিটি'তে এরকম নতুন ধারণার প্রতিফলন হয়েছে। আনকে বলেছেন, হামবার্গ আশা করে, এ ধরনের শহর উন্নয়নের সৃজনশীলতা বিশ্ব মেলায়ও সবাইকে দেখাবে। তিনি বলেন,
আমার মনে হয় 'হাফেন সিটি' বিশ্ব মেলার প্রসঙ্গ 'সুন্দর শহর, সুন্দর জীবন'-এর সঙ্গে খুবই সঙ্গতিপূর্ণ। সুতরাং আমরা আশা করি এই অঞ্চলে আধুনিক নগর উন্নয়নের ধারণা প্রদর্শন করবো। চাকরি ও বসবাসস্থান সংযুক্ত করার মধ্য দিয়ে নগর উন্নয়নের পরিবহন সমস্যার সমাধান করা যায়।
বর্তমানে 'হামবার্গ হাউস' প্রকল্পের নির্মাণ কাজ সুষ্ঠুভাবে চলছে। অনুমান করা হচ্ছে, মার্চ মাসের শেষ দিকে এ কাজ সম্পন্ন হবে এবং সংশ্লিষ্ট প্রদর্শনীর প্রস্তুতিমূলক কাজ শুরু হবে। প্রদর্শনীর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে একটি বিরাট 'প্রার্থনা বৃক্ষ'। ত্রিমাত্রিক এই 'প্রার্থনা বৃক্ষ' দর্শকদেরকে হামবার্গের সুন্দর দৃশ্য দেখানোর পাশাপাশি মাল্টিমিডিয়ার মাধ্যমে হামবার্গ অধিবাসীদের ভবিষ্যত নগর জীবনযাপনের ইচ্ছা প্রদর্শন করবে। আনকে বলেন,
আমাদের প্রদর্শনীর একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে আশা প্রার্থনা বৃক্ষ। আমরা তার মধ্য দিয়ে দর্শকদের আকাংক্ষা সংগ্রহ করে তাদের সঙ্গে এ সব আকাংক্ষা বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে চিন্তাভাবনা করবো। এ সব আকাংক্ষা সম্ভবত আধুনিক শহরের জীবন ও উন্নয়নের সঙ্গে সম্পর্কিত হবে। আমরা কিছু মাল্টিমিডিয়ার পদ্ধতি ব্যবহার করে দর্শকদের পারস্পরিক যোগাযোগ এবং কিভাবে আকাংক্ষা বাস্তবায়ন করা যায় সে বিষয়টি বিবেচনা করবো।
সাংহাই বিশ্ব মেলা শেষ হওয়ার পর, 'হামবার্গ হাউস' একটি স্থায়ী স্থাপত্য হিসেবে ধরে রাখা হবে। যাতে হামবার্গ শহরের উন্নয়ন ও সাংস্কৃতিক অগ্রগতির সর্বশেষ সাফল্য দেখিয়ে দেয়া যায়। আনকে বলেছেন, তিনি আশা করেন বিশেষ এই বিশ্ব মেলার 'উপহার' চীন ও জার্মানী এবং সাংহাই ও হামবার্গের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ যোগাযোগের সেতু প্রতিষ্ঠা করবে। তিনি বলেন,
হামবার্গ ও সাংহাইয়ের মধ্যে এখন প্রায় ২৫ বছরের মৈত্রী শহরের সম্পর্ক রয়েছে। হামবার্গের জন্য এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। আমরা চীনের সঙ্গে এবং সাংহাইয়ের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর বেশ গুরুত্ব দেই। আমাদের জন্য অর্থনীতি, সংস্কৃতি ও শিক্ষাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে চীন একটি ভাল সহযোগিতামূলক অংশীদার। এবারের বিশ্ব মেলার প্রস্তুতির সময় আমাদের দু'পক্ষের সহযোগিতা খুব সুষ্ঠু ও আনন্দদায়ক। আশা করি 'হামবার্গ হাউস' এই উদাহরণ ব্যবহার করে একটি 'উপহার' সাংহাইকে দেবে। যাতে আমাদের শহর-শহর যোগাযোগ জোরদার করা যায়।
© China Radio International.CRI. All Rights Reserved. 16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040 |