|
আসলে ১৮৭৩ সালে অস্ট্রিয়া সাফল্যের সঙ্গে ভিয়েনা বিশ্ব মেলার আয়োজন করেছিল। শতাধিক বছরের 'বিশ্ব মেলা নিবেদিত মনোভাব' উপভোগ করা অস্ট্রিয়ান মানুষেরা ১৯ শতাব্দীতে বিশ্ব মেলায় জনপ্রিয় ওয়ালজ নাচ ২০১০ সাংহাই বিশ্ব মেলায় নিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে সারা বিশ্বকে সঙ্গীত রাজ্যের উল্লেখযোগ্য কল্পনাশক্তি প্রদর্শন করবে। সাংহাই বিশ্ব মেলার অস্ট্রিয়া প্যাভিলিয়নে রোমান্টিক ও সমৃদ্ধ কল্পনাশক্তি নির্ভর অস্ট্রিয়ান মানুষেরা এই আনন্দ এখানকার দর্শকদের ও পর্যটকদের ভেতর ছড়িয়ে দেবেন। তারা একটি বাস্তবসম্মত বরফ ও তুষার রাজ্যের প্রতিচ্ছবি তুলে ধরবেন।
সাংহাই বিশ্ব মেলার অস্ট্রিয়া প্যাভিলিয়নের উপ সাধারণ ব্যবস্থাপক মাদাম বার্গিট মুর বলেছেন, পর্যটকরা প্রাণভরে বরফ ও তুষারের আনন্দ উপভোগ করার জন্য অস্ট্রিয়া প্রথম প্রদর্শনী কেন্দ্রের তাপমাত্রা মাইনাস ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে বজায় রাখবে। তিনি বলেন,
দর্শকরা প্রদর্শনী কেন্দ্রের এক তলায় প্রবেশ করলে পাহাড়ে হাজির হয়। খুবই ঠাণ্ডা লাগবে। প্যাভিলিয়নের একটি বরফের জায়গা আছে। সেখানে সত্যিকারের তুষার ছড়িয়ে থাকবে। দর্শকরা তুষার খেলতে বা তুষারের বল বানাতে পারবেন। এছাড়া তারা তুষার বল দেয়ালে ছুড়ে মেরে খেলতেও পারবেন। দেয়ালে কিছু প্রতিচ্ছবি প্রতিফলিত হবে। ফলে দর্শক ও প্যাভিলিয়নের মধ্যে পারস্পরিক যোগাযোগ হবে।
প্রযুক্তিবিদ-এর ব্যাখ্যা অনুযায়ী দেয়াল পর্যটকদের ছুড়ে মারা তুষার বলের গতি প্রত্যক্ষ করে দেয়ালে বিভিন্ন ধরনের ছবির সৃষ্টি করবে। তাহলে কীভাবে গ্রীষ্মকালে নিম্ন তাপমাত্রা এবং বরফ ও তুষারের আবরণ সৃষ্টি করা যায়? প্রযুক্তিবিদরা ব্যাখ্যা করে বলেছেন, তারা তরল বরফ জমা প্রযুক্তি ব্যবহার করার মধ্য দিয়ে এ প্রদর্শনী অঞ্চলের তাপমাত্রা ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি বজায় রাখবেন।
অস্ট্রিয়া প্যাভিলিয়নের প্রদর্শনী পক্ষ প্রথমবারের মত দর্শনশক্তি শিল্পী দলকে আমন্ত্রণ করে পুরো প্রদর্শনী কেন্দ্রের অডিও ও ভিডিও আবহ সৃষ্টি করবে। ৬০টিরও বেশি প্রজেকটর এবং ১০ লাখেরও বেশি আবর্তনশীল রেখাচিত্রের মধ্য দিয়ে ত্রিমাত্রিক মহাশুণ্যে 'শহর ও গ্রামের পারস্পরিক যোগাযোগ' জীবনযাপনকে তুলে ধরা হবে। যাতে একটি সত্যিকারের অস্ট্রিয়াকে প্রদর্শন করা যায়।
আলপস পাহাড়ের বরফ ও তুষার বিশ্ব থেকে বেড়িয়ে পাহাড়ের নিচে গিয়ে আমরা অস্ট্রিয়ার বন বিশ্বে পৌঁছে এলাম। বন অস্ট্রিয়ার প্রায় অর্ধেক ভূ-সম্পদকে আবৃত করে আছে। সাংহাই বিশ্ব মেলার অস্ট্রিয়া প্যাভিয়িলনে এ দৃশ্য ফুটিয়ে তোলা হবে। প্রদর্শনী কেন্দ্রে বনের সতেজ বাতাস, বিভিন্ন ধরনের চিরল পাতার গাছ ও বৃহদাকার পাতার গাছ, ব্যাঙের ছাতা প্রাকৃতিক সুগন্ধ ছড়িয়ে দেবে। গাছের পাতার এবং পাখির কিচিরমিচির শব্দের সাথে মানুষের শিস এখানে সেখানে ধ্বনিত হবে। বনে আলো ও ছায়ার পরিবর্তন ছাড়া অডিও'র সমন্বয়ও আছে। মাদাম বার্গিট মুর ব্যাখ্যা করেন,
পাহাড় ত্যাগ করার পর বনে প্রবেশ করা যায়। এখানে ভিন্ন শব্দ শোনা যায়। যেমন, পাখির কিচিরমিচির, কুকুরের ডাক এবং মানুষের শিসের শব্দ। বনাঞ্চলে দর্শকরা বনের চার ঋতু'র বিভিন্ন অনুভুতিও অনুভব করতে পারেন। এখানকার দেয়াল দর্শকদের স্পর্শ প্রত্যক্ষ করার সময় প্রতিচ্ছবি হয়ে ফুটে উঠবে।
© China Radio International.CRI. All Rights Reserved. 16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040 |