Web bengali.cri.cn   
অস্ট্রেলিয়া প্যাভিলিয়ন দেখা
  2010-02-09 11:21:29  cri

    অস্ট্রেলিয়ার উল্লেখ করলে, সম্ভবত আপনার মনে সে দেশের প্রতীকি স্থাপত্য—সিডনি অপেরা হাউসের কথা পড়বে। অপরিসীম সুন্দর বন্ডি সমুদ্রতীর, গ্রেট ব্যারিয়ার রিফে গিয়ে বিস্ময়কর সমুদ্রের তলদেশে বিশ্ব অনুসন্ধান এবং বিশাল লাল ভূমিতে ক্যাঙ্গারুর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগের কথাও মনে পড়বে। অপেরা হাউস, সমুদ্রতীর, সমুদ্রের তলদেশ বিশ্ব ও ক্যাঙ্গারু......এ সবের প্রতিনিধিত্বকারী অস্ট্রেলিয়ান উপাদান সাংহাই বিশ্ব মেলার অস্ট্রেলিয়া প্যাভিলিয়নে আপনাদের জন্য অপেক্ষা করছে। আজকের অনুষ্ঠানে আমরা অস্ট্রেলিয়া প্যাভিলিয়নের মহা-পরিদর্শক পিটার স্যামস-এর সঙ্গে অস্ট্রেলিয়া প্যাভিলিয়নে গিয়ে সেখানকার বর্তমান অবস্থা অনুভব করবো।

    বাইরে থেকে দেখতে অস্ট্রেলিয়া প্যাভিলিয়নের আকার একটি মসৃণ ভাস্কর্যের মত। উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, অস্ট্রেলিয়া প্যাভিলিয়নের বাইরের দেয়াল নির্মাণে বিশেষ নির্মাণ-সামগ্রী ব্যবহার হয়েছে। আসলে নির্মাণের প্রথম দিকে প্যাভিলিয়নের রঙ চকচকে সাদা ছিল। দীর্ঘ সময়ের সুর্য এবং বৃষ্টির পর প্যাভিলিয়নের 'বহিরাঙ্গন' দিন দিন লাল হয়ে উঠে চূড়ান্তভাবে বর্তমান লালচে বাদামী রঙে পরিণত হয়েছে। অনেক শ্রোতাবন্ধু জিজ্ঞেস করতে পারেন যে, কেন অস্ট্রেলিয়ান মানুষ এ ধরনের বৈজ্ঞানিক ও প্রযুক্তিগত সৃজনশীলতা নিয়ে ভাবনাচিন্তা করেছেন এবং প্যাভিলিয়নের জন্য এ রঙ ও আকার বাছাই করেছেন? স্যামস সবাইর প্রশ্নটির উত্তর দিয়েছেন। তিনি বলেন,

    প্যাভিলিয়নের বাইরের রঙ গ্রীষ্মকালে অস্ট্রেলিয়ার স্থল ভাগের লাল ভূমির রঙ। প্যাভিলিয়নের বাইরের আকার দেখতে অস্ট্রেলিয়ার তটরেখার মত।

    সাংহাই বিশ্ব মেলার অস্ট্রেলিয়া প্যাভিলিয়নে তিনটি তত্পরতা অঞ্চল রয়েছে। পৃথক পৃথকভাবে হচ্ছে ভ্রমণ, আবিষ্কার ও কল্পনা।

    প্রথম তত্পরতা অঞ্চলের নাম 'ভিত্তিপ্রস্তর'। এতে অস্ট্রেলিয়ার আদিম অধিবাসী যুগ থেকে বর্তমান সমাজ পর্যন্ত ইতিহাসের পরিবর্তন প্রদর্শিত হয়েছে। এ অঞ্চলের মধ্য দিয়ে যাওয়ার সময় মনে হবে সময়ের সুরঙ্গের মধ্য দিয়ে যাওয়ার মত। অস্ট্রেলিয়ার প্রাচীনকাল থেকে ক্রমে ক্রমে বর্তমান এমনকি ভবিষ্যতে গমন করা হয়। সভ্যতার পরিবর্তন ও বিকাশ পর্যটকদের জ্ঞানেন্দ্রিয়ের ওপর আঘাত দেয়। অস্ট্রেলিয়ার উত্তাংশের আদিম অধিবাসী শিল্পীরা পাথর ও কাঠ দিয়ে ভাস্কর্য সৃষ্টি করছেন। তারা প্রাচীনকালের শিল্পের মধ্য দিয়ে অস্ট্রেলিয়ার প্রাচীনকালের লোক রীতিনীতি তুলে ধরছেন। পিটার স্যামস বলেছেন, এ সব শিল্প-কর্মের প্রতিটি ভাস্কর্য ও ছবির বিশেষ তাত্পর্য রয়েছে। এটা অস্ট্রেলিয়ার সংস্কৃতির প্রতীক। কিন্তু এর রহস্য সম্পর্কে স্যামস কিছুটা অনিশ্চয়তার দিকও রেখে দিয়েছেন। তিনি বলেন,

    এটা হচ্ছে আমাদের অস্ট্রেলিয়ার আদিম অধিবাসীদের প্রতিনিধিত্বশীল প্রাচীরচিত্রের প্রতিমূর্তি। এ সব ছবির গভীর তাত্পর্য রয়েছে। এর মধ্যের গল্প অস্ট্রেলিয়া প্যাভিলিয়ন চালু হওয়ার পর প্রদর্শনীর মধ্য দিয়ে দর্শকদেরকে ব্যাখ্যা করা হবে।

    এছাড়া ২০টিরও বেশি অস্ট্রেলিয়ার ইতিহাসে প্রতীকমূলক ঘটনা যেমন ১৯৯৮ সালের ব্রিসবেন বিশ্ব মেলা এবং ২০০০ সিডনি অলিম্পিক গেমস এখানে প্রদর্শিত হবে।


1 2
সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদন
মন্তব্যের পাতা
ভিডিও চিত্র
সাক্ষাত্কার
চিঠিপত্র
Play Stop
© China Radio International.CRI. All Rights Reserved.
16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040