Web bengali.cri.cn   
চিউজাইগৌ-এ চার ঋতুর সৌন্দর্য্য অনুভব করা
  2010-01-12 16:03:14  cri
    সিছুয়ান প্রদেশ দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে অবস্থিত। এই 'বহুধারার ভূমি' বলে খ্যাত। এখানকার প্রাকৃতিক দৃশ্য বিরোচিত, লোক রীতিনীতি ঝলমলে, সিছুয়ানের খাবার বিশ্ব বিখ্যাত, সিছুয়ান অপেরা বৈশিষ্ট্যময় এবং পর্যটন সম্পদ অদ্বিতীয়। আজ 'আমি সিছুয়ানে যেতে চাই' বিশেষ দক্ষতা প্রতিযোগিতার ৬ পর্বের সেই বিশেষ অনুষ্ঠানের প্রথম পর্ব 'চিউজাইগৌ-এর চার ঋতুর সৌন্দর্য্যকে অনুভব করা' শীর্ষক প্রতিবেদন আপনাদের শোনাচ্ছি। আমি আপনাদেরকে 'পৃথীবির স্বর্গ ও রঙিন বিশ্ব' নামের সিছুয়ান প্রদেশের বিখ্যাত দর্শনীয় স্থান-চিউজাইগৌ-এ নিয়ে যাবো। অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার আগেই আমি আপনাদের একটি প্রশ্ন করছি। এর দর্শনীয় স্থানে ৯টি তিব্বত জাতির গ্রাম থাকার কারণে চিউজাইগৌ এ নাম পেয়েছে কি? আশা করি আপনারা আমাদের অনুষ্ঠান মনোযোগ দিয়ে শুনবেন। তাহলেই পেয়ে যাবেন আপনাদের প্রত্যাশিত প্রশ্নের উত্তর।

    চিউজাইগৌ চীনের সিছুয়ান প্রদেশের পশ্চিমাংশের আবা তিব্বত জাতি ও ছিয়াং জাতি স্বায়ত্তশাসিত জেলায় অবস্থিত। এটা ইংরেজী অক্ষর ওয়াই-এর মত একটি পাহাড়ি খাত। খাতের গভীরতা ৪০ কিলোমিটারেরও বেশি। এখানে ৯টি তিব্বতি জাতির পল্লিগ্রাম থাকার কারণে 'চিউজাইগৌ' অর্থাত নয়টি পল্লিগ্রাম নামে খ্যাত পেয়েছে।

    ইসরাইলের নরোহেম ইয়াম চীনের বিভিন্ন অঞ্চলে ভ্রমণ করতে পছন্দ করেন। গত কয়েক বছরে তিনি পেইচিং, সাংহাই, জেচিয়াং ও শানসিসহ বিভিন্ন জায়গায় গিয়েছেন। চীনের লোক রীতিনীতি এবং সুন্দর নদী ও পাহাড়ের প্রতি তার কিছু উপলব্ধি রয়েছে। তবে চিউজাইগৌ-এ আসার পর তিনি এখানকার উল্লেখযোগ্য সৌন্দর্য্যে বিস্ময়ের আবেগে ছটফট করেন। তিনি বলেন,  

    এটা চীনের সবচেয়ে সুন্দর জায়গা। অন্য কোন জায়গায় আমি কখনও এ রকম দৃশ্য দেখিনি। এখানকার সব দৃশ্য অন্য জায়গার চেয়ে ভিন্ন।

    চিউজাইগৌ পানির কারণে অদ্ভূত লাগে। পানি হচ্ছে চিউজাইগৌ'র আত্মা। চিউজাইগৌ'র উপত্যকা এলাকায় শতাধিক বড় ও ছোট্ট আকারের রঙিন পাহাড়ী হ্রদ রয়েছে। স্থানীয় তিব্বতীরা তাকে 'হাইজি' বলে থাকে।

    ১৯৯২ সালে ইউনেস্কো চিউজাইগৌকে 'বিশ্ব প্রাকৃতিক উত্তরাধিকার তালিকায়' অন্তর্ভূক্ত করেছে। চিউজাইগৌ দর্শনীয় স্থানের কর্মী ইয়াং ফুইং বলেছেন, এখানকার চার ঋতুতে বিভিন্ন বৈশিষ্ট্যময় দৃশ্য দেখা যায়। তিনি বলেন,

    বসন্তকালে চিউজাইগৌ'র বসন্ত দক্ষিণ চীনের অন্য জায়গার চেয়ে কিছুটা দেরি হয়। এপ্রিল বা মে মাসে চিউজাইগৌ'তে বসন্তকাল। সে সময় আপনি বিস্ময়কর সব সুন্দর দৃশ্য দেখতে পাবেন। তুষার ও পীচ ফুল বাতাসের সঙ্গে সঙ্গে উড়ে যায়। গ্রীষ্মকালে চিউজাইগৌ হচ্ছে গরমকাল কাটানোর উপযুক্ত স্থান। গাছের পাতা ও আশেপাশে যথেষ্ট পানি রয়েছে। শরতকালে পাহাড়ে বিভিন্ন ধরনের রঙের সৃষ্টি হয়। ঠিক যেন তৈলচিত্রের বিশ্বে প্রবেশের মত। শীতকালে সুন্দর দৃশ্য দেখার পাশাপাশি চিউজাইগৌ'র বিশেষ নীল বরফ দেখা যায়।

    ২০০৮ সালের মে মাসে সিছুয়ানে ভয়াবহ ভূমিকম্প হওয়ার কারণে চিউজাইগৌ'র আশেপাশের কিছু রাস্তার অবকাঠামো ধ্বংস হয়েছে। ফলে চিউজাইগৌ-এ আসা পর্যটকের সংখ্যা ব্যাপকভাবে কমেছে। এক বছরের পুনরুদ্ধার ও মেরামতের পর সহজে চিউজাইগৌ-এ বেড়াতে যাওয়া এখন আর কোন কঠিন ব্যাপার নয়। চিউজাইগৌ পর্যটন ব্যুরোর বাজার বিভাগের উপ-পরিচালক লিন চিয়াশুই বলেন,

    আমাদের দর্শনীয় স্থানের সম্পদ ভূমিকম্পের পর এখনো অক্ষুন্ন। তবে পর্যটকের সংখ্যা হঠাত কমে যায়। সুতরাং দর্শনীয় স্থান তুলনামূলকভাবে এই অবসরে যথাসাধ্য প্রচেষ্টায় দর্শনীয় স্থানের অবকাঠামো নির্মাণ করেছে। এর মধ্যে রয়েছে আগের প্রাকৃতিক কাঠের রোড মেরামত করা। পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য সার্বিকভাবে ৬০ কিলোমিটারেরও বেশি প্রাকৃতিক কাঠের রোড যাচাই ও মেরামত করা। এ ছাড়াও দর্শনীয় স্থানের বিশ্রাম বা সেবা কেন্দ্রের মাত্রা সম্প্রসারণ করা। যাতে আরো পূর্ণাঙ্গ নির্দিষ্ট কর্ম অঞ্চল দিয়ে পর্যটকদের চাহিদা পূরণ করা যায়।


1 2
সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদন
মন্তব্যের পাতা
ভিডিও চিত্র
সাক্ষাত্কার
চিঠিপত্র
Play Stop
© China Radio International.CRI. All Rights Reserved.
16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040