Web bengali.cri.cn   
ছেন সিহোংয়ের পুরনো বসতবাড়ী
  2009-12-08 17:14:16  cri
    চীনের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের উপকূলীয় কুয়াংতুং ও ফুচিয়ান দুটো প্রদেশের সংলগ্ন ছাওচৌ-শানথৌ এলাকার তিন দিকে পাহাড় এবং এক দিকে পানি। প্রাচীনকাল থেকেই এখানে অনেক প্রবাসী চীনা এসেছেন। কঠোর পরিশ্রমের মধ্য দিয়ে তারা নিজেদের ব্রত প্রতিষ্ঠা করার পাশাপাশি নিজেদের স্বদেশের জন্মভূমির জন্য অনেক অবদান রেখেছেন। আজকের অনুষ্ঠানে আমি আপনাদের বিখ্যাত ছাওচৌ-শানথৌ প্রবাসী চীনা ছেন সিহোং-এর পুরনো বসতবাড়ীতে নিয়ে যাবো। আমরা এক সাথে স্থানীয় স্থাপত্যের বৈশিষ্ট্য এবং এর পেছনের ছাওচৌ-শানথৌ ব্যবসায়ীদের ইতিহাসের কথা জানাবো।

    ছেন সিহোংয়ের পুরনো বসতবাড়ী কুয়াংতুং প্রদেশের শানথৌ শহরের ছেংহাই এলাকায় অবস্থিত। এটা হচ্ছে স্থানীয় প্রবাসী চীনা স্থাপত্যের গুরুত্বপূর্ণ দর্শনীয় স্থান। ছাওচৌ-শানথৌ লোক রীতিনীতির বৈশিষ্ট্য এবং প্রবাসী চীনাদের প্রেক্ষাপট থাকার কারণে পুরনো বসতবাড়ীটিকে 'দক্ষিণ চীনের শ্রেষ্ঠ বাড়ির পাশের মনোরম বাগান' এবং 'প্রথম প্রবাসী বসতবাড়ী' বলে গণ্য করা হয়। প্রতি বছর এখানে কমপক্ষে ১০ লাখেরও বেশি দেশী-বিদেশী পর্যটক এখানে ভ্রমণ করতে আসেন।

    ব্যবসা করার জন্য পুরনো বসতবাড়ীটির মালিক, প্রয়াত ছেন সিহোং বহু বছর আগে থাইল্যান্ডে যান। যখন তার বয়স ৫০ বছর তখন তিনি নিজের স্বদেশে ফিরে এসে বিপুল ব্যয়ে একটি সুদৃশ্য বসতবাড়ী নির্মাণ করেন। তার লক্ষ্য হলো পিতৃপুরুষের মুখ উজ্জ্বল করা এবং বেশি সন্তানসন্ততি নিয়ে উপসনা করা। এর প্রতি এই দর্শনীয় স্থানের দায়িত্বশীল কর্মকর্তা ব্যবস্থাপক থাং সুয়েওয়েই বলেছেন, তার পদক্ষেপ পুরোপুরিভাবে ছাওচৌ-শানথৌ প্রবাসী চীনা পরিবারের অর্থনৈতিক বাস্তব শক্তিকে তুলে ধরেছে। তিনি বলেন,

    প্রথমে তারা চালের ব্যবসা করেছেন। পরে ব্যাংক ও বীমা কোম্পানি খুলেছেন। এছাড়া তারা সমুদ্রগামী নৌবহর ব্যবসায় যোগ করেছেন। সব খুবই উল্লেখযোগ্য। যখন তিনি থাইল্যান্ডে চালের ব্যবসা করেন, তখন তার মাত্রাও বড় ছিল। হংকং, থিয়ানচিন, সাংহাই, কুয়াংচৌ, সিঙ্গাপুর, তাইওয়ান ও মালয়েশিয়াসহ বিভিন্ন দেশ বা অঞ্চলে তার কোম্পানি ও কোম্পানির শাখা রয়েছে। আমি শুনেছি বসতবাড়ীটি নির্মাণের জন্য তারা প্রায় ৪০ লাখ রৌপ্য মুদ্রা ব্যয় করেছে। সে সময় এ অংকের টাকা খুবই মূল্যবান।

    বিশাল প্রকল্পটি দশ-বার বছরের নির্মাণের মধ্য দিয়ে ১৯৩৯ সালে শেষ হয়। এতে অতিসূক্ষ্ম কাজের কিছু গয়নাগাটি রয়েছে। তবে ভাগ্য এ পরিবারের সঙ্গে ঠাট্টা করেছে। দর্শনীয় স্থানের পথপ্রদর্শক ছেন ইয়ুমেই বলেছেন, 'ব্রত চালিয়ে যাওয়া কক্ষ'-এর প্রতিনিধিস্থায়ী ছাওচৌ-শানথৌ বৈশিষ্ট্যের কাঠের ভাস্কর্যটি সে ইতিহাসের স্বাক্ষী। তিনি বলেন,

    কাঠের ভাস্কর্যটি চীনের সবচেয়ে বিখ্যাত দুটি কাঠের ভাস্কর্যের মধ্যে অন্যতম। ওপরে খোদাই করা সাদা-কালো রঙের পালকওয়ালা ও কুল ফুল সুখের প্রতীক। দুটি কাঠের দরজার বাইরে সোনালী পাতা দিয়ে লাগানো রয়েছে। জানা গেছে, সোনা ধন সম্পদের প্রতীক। সুতরাং অনেক আগে অনেক মানুষ সোনা দিয়ে দরজায় সাজসজ্জা করতেন। এছাড়া ঘরের কড়িকাঠের ওপরের কাঠের ভাস্কর্যে সোনালী রঙ দেয়ার নিয়ম ছিল। তবে ১৯৩৯ সালে জাপানী বাহিনীর আগ্রাসনের কারণে পরিবারের সবাই এখান থেকে চলে যান এবং এরপর থেকে আর এখানে আসেননি। সুতরাং এ পর্যন্ত বাসস্থানটি আগের অবস্থায় রয়ে গেছে।


1 2
সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদন
মন্তব্যের পাতা
ভিডিও চিত্র
সাক্ষাত্কার
চিঠিপত্র
Play Stop
© China Radio International.CRI. All Rights Reserved.
16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040