Web bengali.cri.cn   
আর্জেটিনা জনগণের চোখের চীন
  2012-04-18 19:27:14  cri
আর্জেটিনা ও চীন হচ্ছে দু'টি দূরদূরান্ত দেশ। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দু'দেশের সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ বলে দু'পক্ষের সরকারী উচ্চ পর্যায়ের সফর, আর্থ-বাণিজ্যিক বিনিময়, সাংস্কৃতিক বিনিময় অব্যাহতভাবে গভীর করায় 'চীনা গল্প' অধিক থেকে অধিকতর আর্জেটিনা জনগণের কাছে চলে আসে। চীনা শিল্পপ্রতিষ্ঠান, চীনা পণ্য, চীনা শিল্পকলা পরিবেশনা, চীনা চলচ্চিত্র ও চীনা বসন্ত উত্সবের ভ্রমণসহ চীনা বিষয়টি এ দক্ষিণ আমেরিকার বড় দেশ—আর্জেটিনায় বেশি জনপ্রিয় করে উঠেছে। তাহলে আর্জেটিনার সাধারণ জনগণের চোখে চীন কেমন হয়েছে? আজকের সাংস্কৃতিক বিনিময় অনুষ্ঠানে আমরা এ বিষয় নিয়েই আলোচনা করবো।

-এ থাকা আর্জেটিনার আইনজীবি চীনকে বেশি জানতে সক্ষম। তিনি হান ভাষা বলতে পারেন এবং চীনা সংস্কৃতির অনুরাগী।২০০৪ সালে তিনি শাংহাই-এ লেখাপড়া করেন। এর পর তিনি দু'বার চীনে পরিদর্শন করেন এবং চীনের অনেক শহরে বেড়াতে গেছেন। চীন দেশ সম্পর্কিত আলোচনায় তিনি বলেন:

"চীন হচ্ছে এক অত্যন্ত স্ববৈশিষ্ট্যসম্পন্ন দেশ। তাঁর অনেক পর্দা আছে। আমি চীনাকে খুবই সম্মান করি। কারণ চীনাদের দীর্ঘকালের দৃষ্টি আছে। তাঁরা যৌক্তিকভাবে তাঁদের বিভিন্ন সময়পর্বের লক্ষ্যকে কর্মসূচী করে এবং বাস্তবায়নের জন্য প্রচেষ্টা করেন। সুতরাং, চীন ইতোমধ্যেই বিশ্বে দ্বিতীয় বড় অর্থনৈতিক গোষ্ঠীতে পরিণত হয়েছে"।

চীন আন্তর্জাতিক বেতার সি আর আই'র আর্জেটিনা শ্রোতা ক্লাবের সৃষ্টিকারী আর্জেটিনার এক ম্যাগজিনে চীনকে বহুটি প্রবন্ধ প্রকাশ করেছেন। তিনি আর্জেটিনা জনগণের কাছে চীন উন্নয়নের অবস্থা, সংস্কৃতি ও অর্থনৈতিক নীতিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রের বিষয়টি পরিচয় দেন। ২০০৭ সালে তিনি আরও দু'টি ওয়েব-সাইট গড়ে তুলে আর্জেটিনা জনগণের কাছে গভীরভাবে চীনকে অবহিত করেন। তিনি মনে করেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চীনের এক সর্বোচ্চ পরিবর্তন হচ্ছে শহরায়ন। এ সম্পর্কে তিনি বলেন:

"চীনের এক সর্বোচ্চ পরিবর্তন হচ্ছে শহরায়ন। এটিও বিগত ৬০ বছরে চীনে সংঘটিত অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তনের অন্যতম এক কারণ ও ফলাফল। যেমন, শহরায়ন না থাকলে চীনের অভ্যন্তরীণ বাজার বলতে যায় না। শহরায়নের সাহায্যে চীনা জনগণের জীবনে গভীর পরিবর্তন সৃষ্টি করেছে"।

মতো পেইচিংয়ে আরও অনেক আর্জেটিনার অধিবাসীরা চীন-আর্জেটিনা দু'দেশের রাজনৈতিক বিনিময়ে অবদান রাখছেন।

আর্জেটিনার ২৮ বছর বয়সী পাবলো পাঁচ বছর আগে চীনের চে চিয়াং প্রদেশের হাং চৌ শহরে আসেন। কেন পেইচিং ও শাং হাই এ দু'টি বড় শহর বাছাই করেন নি সম্পর্কিত আলোচনায় পাবলো বলেন, হাং চৌ আন্তর্জাতিক বড় শহরের মতো সমৃদ্ধ নয়, সেখানে তিনি মনযোগ দিয়ে চীনা সংস্কৃতি জানতে পারেন। এমন কি, চে চিয়াং বিশ্ববিদ্যালয় চীনের সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে তৃতীয় স্থানে দখল করে আছে। তিনি এ বিশ্ববিদ্যালয়েও খুব ভালভাবে লেখাপড়া করতে পারেন। পাবলো আমাদেরকে বলেন, তিনি হাং চৌ আসার শুরুর দিকে একটি মজার ব্যাপার দেখেছেন।

হাং চৌয়ে তিন বছর কাটিয়েছেন। ঐতিহ্যবাহী চীনা সংস্কৃতি পাবলোর মনে গভীর ছাপ ফেলেছে। ২০০৯ সালে তিনি পেইচিংয়ে এসে চীন আন্তর্জাতিক বেতারের স্প্যানিশ বিভাগে কাজ করেন। পেইচিংয়ের ছাপ সম্পর্কিত আলোচনায় তিনি বলেন 'পেইচিং আসার পর আমি যেন একটি নতুন চীনকে খুঁজে বের করেছি। আমি চীনের সুস্বাদু খাবার পছন্দ করি, বিশেষ করে আমি চীনের মুসলিম খাবার বেশি পছন্দ করি"।

1 2
সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদন
মন্তব্যের পাতা
ভিডিও চিত্র
সাক্ষাত্কার
চিঠিপত্র
Play Stop
© China Radio International.CRI. All Rights Reserved.
16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040