|
বন্ধুরা, ৪০ বছরের সুইতিহাস থাকা ব্রিটেনের লন্ডন বই মেলা হচ্ছে বিশ্বে সবচেয়ে বিখ্যাত বই মেলার মধ্যে অন্যতম একটি। চলতি বছরের এপ্রিল মাসে বই মেলাটি আয়োজিত হবে। চীন প্রথমবারের মত সম্মানিত অতিথি দেশ হিসেবে এবারের বই মেলায় অংশ নেবে। আচ্ছা বন্ধুরা, আজকের সাংস্কৃতিক ঘটনা অনুষ্ঠানে আমরা এ বিষয় নিয়েই আলোচনা করবো।
চীনের তথ্য প্রকাশনা সাধারণ ব্যুরো ৭ মার্চ লন্ডনে চীনের সম্মানিত অতিথি দেশের কর্মসূচী সংক্রান্ত তথ্যজ্ঞাপন সভার আয়োজন করে। এ ব্যুরোর বৈদেশিক বিনিময় ও সহযোগিতা বিভাগের মহাপরিচালক চাং ফু হাই একটি গ্রুপ নিয়ে বলেছেন যে, এবারের সম্মানিত অতিথি দেশ হিসেবে চীনের আয়োজিত কর্মসূচীর সংখ্যা এতো বেশি এবং বুথে অংশগ্রহণকারীর ব্যাপকতা বেশ বড় হয়ে দাঁড়িয়েছে । এ সম্পর্কে তিনি বলেন:
"প্রথমত: আমার সঙ্গে আসা প্রতিনিধির সংখ্যা ৬ শ' জন, নিজ উদ্যোগে আসা মানুষের সংখ্যা ১ হাজারেরও বেশি। দ্বিতীয়ত: চীনা প্রকাশনা শিল্পপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ১৮১টি। তৃতীয়ত: চীনা বুথের আয়তন ২০১৯ বর্গমিটার। চতুর্থত: ১ হাজারেরও বেশি রকম চীনা বই নিয়ে কপিরাইট বাণিজ্যে অংশ নেয়া। পঞ্চমত: চীনা কর্মসূচীর সংখ্যা ৩ শ'রও বেশি। ষষ্ঠত: কর্মসূচী আয়োজনকালে ৫৭জন লেখকের এ মেলায় আসা এবং দশমবারের মত উচ্চ পর্যায়ের সংলাপের আয়োজন করা"।
ব্রিটেনে চীনের রাষ্ট্রদূত লিউ সিয়াও মিং তথ্যজ্ঞাপন সভায় বক্তব্য দেয়ার সময় বলেন, চলতি বছর হচ্ছে চীন ও ব্রিটেনের কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৪০তম বার্ষিকী। রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে দু'দেশের সুষ্ঠু উন্নয়ন হয়েছে। এবারের লন্ডন বই মেলায় সম্মানিত অতিথি দেশ হিসেবে চীন অংশগ্রহণ করলে তা দু'দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক জোরদার করার জন্য সহায়ক হবে। এ সম্পর্কে তিনি বলেন:
"লন্ডন বই মেলায় 'চীনা বাজারের কেন্দ্রবিন্দু' হচ্ছে সংস্কৃতিসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে চীনের আর্জিত সাফল্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক। চীনের উন্নয়নের দিকটি বিশ্বের প্রেক্ষাপটে আরও গভীরভাবে উপলদ্ধি করা দরকার। অন্য দিকে বিগত ৩০ বছরে চীন কীভাবে বিশ্বে দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনৈতিক গোষ্ঠীতে পরিণত হলো এ সব বিষয়ে ব্যাখ্যা করা উচিত। আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে চীনের সঙ্গে সমৃদ্ধ সংস্কৃতি নিয়ে আলোচনা করা দরকার"।
© China Radio International.CRI. All Rights Reserved. 16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040 |