|
সম্প্রতি ভারতের যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের আমন্ত্রণে চীনা যুব প্রতিনিধি দলের ৫ শ' জন সদস্য ভারতে ৯ দিনব্যাপী এক বন্ধুত্বপূর্ণ সফর করেছে। চীন আন্তর্জাতিক বেতারের হিন্দী বিভাগের সংবাদদাতা এবারের তাদের সফর সংগী ছিলেন। ৯দিন সফরকালে বিভিন্ন সাক্ষাত্কার চীনা প্রতিনিধি দল ও ভারতের অভ্যর্থনার এক গুরুত্বপূর্ণ দিক তিনি তুলে ধরছেন। বর্তমানে দু'দেশের মধ্যেকার বিনিময় ইতোমধ্যেই চীন-ভারত যুবদের যৌথ আকাংক্ষায় পরিণত হয়েছে।
ভারতের তরুণ কুনদান হচ্ছেন চীনা প্রতিনিধি দলকে ভারতের বিমান বন্দরে পৌঁছার পর প্রথম অভ্যর্থনা জানানো কর্মী এবং তিনি ভারতের সব অভ্যর্থনা কর্মীদের মধ্যে শুধুমাত্র একজন চীনা ভাষা বলতে পারেন এমন একজন গাইডও। তিনি চীনে ৩ বছর কাজ করেছিলেন এবং চীনের ৩০টিরও বেশি শহর ভ্রমণ করেছেন। সুতরাং তিনি চীনকে খুবই পছন্দ করেন। এ সম্পর্কে তিনি আমাদের সংবাদদাতাকে বলেন:
"দীর্ঘকালীন উন্নয়নের দিক থেকে বিবেচনা করলে ভারতের উচিত চীনের কাছ থেকে আরো অনেক জিনিস শেখা । আমি মনে করি, বর্তমানে ভারতীয় তরুণ-তরুণী চীনকে বেশি জানেন না। সুতরাং, দু'দেশের তরুণ-তরুণীর মধ্যে বোঝাপড়া খুবই প্রয়োজনীয়। বিশেষ করে ভারতীয় তরুণ-তরুণীর জন্য এটি বেশি গুরুত্বপূর্ণ। সংখ্যাগরিষ্ঠ ভারতীয় অধিবাসীরা চীনের তৈরী পণ্য সম্পর্কে জানেন। তাঁরা মনে করেন, চীনা পণ্যের অধিকাংশই সস্তা তবে গুণগত মান ভাল না। তবে এটি একটি ভূল চেতনা। কারণ আমি চীনে গিয়েছিলাম। সেখানে প্রচুর বিভিন্ন রকমের পণ্য আছে, এর মধ্যে সস্তাও আছে এবং দামিও আছে। পণ্যের গুণগত মান সাধারণত দামের সঙ্গে সম্পর্কিত। আমি মনে করি, ভারতের অধিবাসীদের এ অবস্থা জানা দরকার। সুদীর্ঘকালের সুইতিহাস রয়েছে এমন দু'টি প্রাচীন দেশ হিসেবে যুবদের পরস্পরের সফর দু'দেশের যুবকের ক্ষেত্রে এক পারস্পরিক বোঝাপড়ার সুযোগ সৃষ্টি করেছে। এটি ভবিষ্যতে তাঁদের নিজেদের দেশকে সুষ্ঠুভাবে গঠনের জন্য সহায়ক হবে।
© China Radio International.CRI. All Rights Reserved. 16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040 |