|
২০১১ সালের শেষ দিকে 'বিশ্বে প্রথমবারের মত চীনা ভাষার চলচ্চিত্র' IMAX 3D'র সুনাম পেয়েছে। বিখ্যাত এ কুং ফু চলচ্চিত্রটির নাম 'লুং মে ফেই চিয়া'। চীনের মূলভূভাগে এটি প্রদর্শিত হয়। 3D প্রযুক্তির মাধ্যমে চীনা কুং ফুংকে তুলে ধরার দিকটি সে সময় চীনা ভাষায় তৈরী চলচ্চিত্রের ক্ষেত্রে এক আলোচ্য বিষয়ে পরিণত হয়। এ চলচ্চিত্রের পরিচালক সু খে আবারও সকলের দৃষ্টিতে ফিরে এসেছেন। তাঁর কুং ফু চলচ্চিত্রও আবারও সবার মুখে মুখে উঠে এসেছে। আচ্ছা বন্ধুরা, আজকের সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব অনুষ্ঠানে আমরা সু খে'র কথা আপনাদের শুনাবো।
সু খে'র আরেক নাম হচ্ছে সু ওয়েন কুয়াং, তাঁর জন্মস্থান চীনের কুয়াং তুং প্রদেশে। ছোটবেলা থেকে চলচ্চিত্রের ওপর তাঁর গভীর আগ্রহ রয়েছে। ১৯৮৪ সালে তিনি শি নান শেংয়ের সঙ্গে একটি চলচ্চিত্র studio তৈরী করেন। 'হুয়াং ফেই হুং' ও 'ছিয়ান ন্যু ইয়ৌ হুন'সহ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে সু খে দেশে-বিদেশে বিখ্যাত হয়ে উঠেছেন। এ চলচ্চিত্রটিও হংকং-এর চলচ্চিত্র উন্নয়নে এক নতুন সূচক সৃষ্টি করেছে।
২০ শতাব্দীর ৭০ দশকের শেষ দিক ও ৮০ দশকের শুরুর দিকে হংকং চলচ্চিত্র মহলে সু খে, সু আন হুয়া, ইয়ান হাও, থান চিয়া মিং ও ফাং ইয়ান পিংসহ কিছু উদীয়মান পরিচালক ছবির জগতে এসেছেন। এ সব পরিচালক ও তাঁদের শিল্পকর্ম চলচ্চিত্র মহলে বেশ আলোড়ন তুলেছে। এটি সেসময় নিম্ন পর্যায়ে থাকা হংকংএর চলচ্চিত্র শিল্পের ক্ষেত্রে দারুণ উদ্যম হিসেবে কাজ করতে শুরু করে। সুতরাং, সেসময়কার সংবাদমাধ্যম তাঁদেরকে 'নতুন ধারার শক্তি' হিসেবে অভিহিত করেন। অবশ্যই সু খে তাঁদের মধ্যে একজন।
'নতুন ধারার চলচ্চিত্রের আগে হংকংএর চলচ্চিত্রের পরিচালকরা এমন বিখ্যাত ছিল না। এ সম্পর্কে চীনের চলচ্চিত্র তথ্য কার্যালয়ের গবেষক শা তান বলেন:
"সু খে, সু আন হুয়া ও ইয়ান হাওসহ 'নতুন ধারার চলচ্চিত্রের পরিচালকরা সবাই বুদ্ধিজীবি হিসেবে খ্যাত। তাঁদের সবার বিদেশে লেখাপড়ার পটভূমি আছে। সু খে যুক্তরাষ্ট্রের একটি বিখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া করেছেন।বিদেশ থেকে ফিরে আসার পর তাঁরা সবাই টেলিভিশন কেন্দ্রে কাজ করেন"।
© China Radio International.CRI. All Rights Reserved. 16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040 |