|
আর্জেটিনার ২৮ বছর বয়সী পাবলো পাঁচ বছর আগে চীনের চে চিয়াং প্রদেশের হাং চৌ শহরে আসেন। কেন পেইচিং ও শাং হাই এ দু'টি বড় শহর বাছাই করেন নি সম্পর্কিত আলোচনায় পাবলো বলেন, হাং চৌ আন্তর্জাতিক বড় শহরের মতো সমৃদ্ধ নয়, সেখানে তিনি মনযোগ দিয়ে চীনা সংস্কৃতি জানতে পারেন। এমন কি, চে চিয়াং বিশ্ববিদ্যালয় চীনের সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে তৃতীয় স্থানে দখল করে আছে। তিনি এ বিশ্ববিদ্যালয়েও খুব ভালভাবে লেখাপড়া করতে পারেন। পাবলো আমাদেরকে বলেন, তিনি হাং চৌ আসার শুরুর দিকে একটি মজার ব্যাপার দেখেছেন। এ সম্পর্কে তিনি বলেন:
" বিমান বন্দরের বাসে আমি একজন আমেরিকানের সঙ্গে পরিচিত হই। আমরা একসাথে আড্ডা দেই, অবশেষে আমরা একই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র হিসেবে ভর্তি হতে পেরেছি।"।
হাং চৌয়ে তিন বছর কাটিয়েছেন। ঐতিহ্যবাহী চীনা সংস্কৃতি পাবলোর মনে গভীর ছাপ ফেলেছে। ২০০৯ সালে তিনি পেইচিংয়ে এসে চীন আন্তর্জাতিক বেতারের স্প্যানিশ বিভাগে কাজ করেন। পেইচিংয়ের ছাপ সম্পর্কিত আলোচনায় তিনি বলেন:
" পেইচিং আসার পর আমি যেন একটি নতুন চীনকে খুঁজে বের করেছি। আমি চীনের সুস্বাদু খাবার পছন্দ করি, বিশেষ করে আমি চীনের মুসলিম খাবার বেশি পছন্দ করি"।
মার্টিন মুছাওবাচ হচ্ছেন আর্জেটিনার একজন পিয়ানো বাদক। তিনি অন্য দু'জনের সঙ্গে একটি জাজ ব্যান্ড দল গঠন করেছেন। প্রত্যেক সপ্তাহে তাঁরা পেইচিং 'কুও মাও' ভবনের একটি উচ্চ পর্যায়ের ক্লাবে পরিবেশনা করেন। চীনে আসা সম্পর্কিত আলোচনায় তিনি বলেন:
"আমার বন্ধুর সাথে এক ছোট ব্যান্ডদল গঠন করেছি। ওয়েব-সাইটের মাধ্যমে সংগীত তৈরীর সহযোগী খুঁজে বের করার আশা প্রকাশ করেছি। একদিন হঠাত্ আমার মোবাইল ফোন ঢং ঢং করে প্রতিপক্ষ ইংরেজি ভাষায় বললেন 'আসালাম আলাইকুম, আমরা হংকং থেকে ফোন করেছি। আশা করি আপনি ২০ দিনের মধ্যে হংকংয়ে পৌঁছাবেন"।
হংকংয়ের একটি কোম্পানির আমন্ত্রণে ২০০৭ সালের আগস্ট মাসে মার্টিন পেইচিংয়ে এসে পেইচিং 'কুও মাও' ভবনে পিয়ানো বাদকের কাজ শুরু করেন। -- ওয়াং হাইমান/আবাম
© China Radio International.CRI. All Rights Reserved. 16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040 |