|
কফির দোকানে তুরস্কের অধিবাসী তায়ফুন আমাদেরকে তাঁর টাংগোর সুরের গভীরতার কথা আমাদেরকে জানিয়েছেন। এ সম্পর্কে তিনি বলেন,
"টাংগো আমার জন্য শুধু একটি সংগীত নয়, তা আমার জীবনে শান্তি ও সুখে থাকার উত্স্য"।
তায়ফুনের টাংগো সম্পর্কিত কথা বললে তাঁর বিদেশী ভালবাসার কথা নিশ্চয়ই বলতে হবে। গেল বছর একবার টাংগো পার্টিতে তিনি তুরস্ক থেকে ছুটিতে আসা আর্জেটিনার মেয়ে লাউরার সঙ্গে পরিচিত হন। তারা দুজন গভীর ভালবাসা মেশানো টাংগো নৃত্যের পর দু'জন দ্রুত ভালবাসার নদীতে ডুবে যান। এ থেকে টাংগো নৃত্য তায়ফুনের জীবনে এক অপরিহার্য বিষয়ে পরিণত হয়েছে। এ সম্পর্কে তিনি আরো বলেন"
"টাংগো নৃত্যের সাহায্যে আমার জীবনে সবচেয়ে তাত্পর্যবহ জিনিস অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িয়ে গেল। এটিও তুরস্ক, চীন ও আর্জেটিনার মৈত্রীর এক গুরুত্বপূর্ণ বন্ধন"।
২০০৩ সালে তায়ফুন ও তাঁর স্ত্রী একসাথে পেইচিংয়ে চলে আসেন। টাংগো নৃত্যের ওপর গভীর আগ্রহ থাকার কারণে তাঁরা এ তাদের নৃত্য পরিবেশনের জায়গা খুঁজে বের করার চেষ্টা করছেন। একবার এ কফি দোকানের মালিকের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত টাংগো পার্টি দেশি-বিদেশি টাংগো অনুরাগীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। এ থেকে তায়ফুন খুবই মনোযোগ দিয়ে টাংগো শিক্ষাদানের কাজ করেন। তিনি মাইলোঙ্গা পোরটেনা নামক টাংগো ক্লাব প্রতিষ্ঠা করে টাংগো নাচের প্রশিক্ষণ ক্লাসের আয়োজন করেন। এভাবেই এখানে চলে আসা মানুষের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। পেইচিংয়েও টাংগো নৃত্যের সংস্কৃতিও তেজীয়ান হয়ে উঠেছে।
এ কফির দোকানকে পেইচিংয়ের টাংগো নাচ সংস্কৃতির একটি উত্পত্তিস্থান বলে অভিহিত করা হয়। একই সঙ্গে এ দোকান পেইচিংয়ে থাকা দেশি-বিদেশিদের আর্জেটিনার সংস্কৃতি অনুরাগীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। তায়ফুনও ইতোমধ্যেই এ কফি দোকানের একজন সহযোগীতে পরিণত হন। তিনি টাংগো নৃত্যের একজন মুখপাত্র দূত হিসেবে বহুবার পেইচিংয়ের বেতার, টেলিভিশন, ম্যাগজিন ও পত্রিকাসহ বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে দেখা বিভিন্নভাবে নিজেকে উপস্থাপন করেছেন।
তায়ফুনও তাঁর স্ত্রীর মতো পেইচিংয়ে আরও অনেক আর্জেটিনার অধিবাসীদের মত চীন-আর্জেটিনা দু'দেশের রাজনৈতিক বিনিময়ে অবদান রাখছেন।
© China Radio International.CRI. All Rights Reserved. 16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040 |