হয়তো চীনা সংস্কৃতির প্রতি ইতালির জনগণের মধ্যে বেশি আকর্ষণ শক্তি কাজ করে এবং গত বছরের বসন্ত উত্সবের কর্মসূচী রোমের অধিবাসীদের মনে গভীর ছাপ ফেলার কারণে এবারের বসন্ত উত্সব উপলক্ষে আয়োজিত কর্মসূচী ইতালির ১০ হাজারেরও বেশি জনগণ উপভোগের জন্য জড় হয়েছে। ৪ ঘন্টার পরিবেশনায় এতো বড় গণ মহা-চত্বরে কোন খালি আসন ছিল না। অংশগ্রহণকারী ইতালির দর্শকরা সবাই বলেছেন, ধারাবাহিক মনোজ্ঞ অনুষ্ঠান কেবল যে তাদেরকে আনন্দ উপভোগের অনুভূতি এনে দিয়েছে তা নয়, তা তাদের জন্য এক উন্মুক্ত, আস্থাবান ও আতিথেয়তাসম্পন্ন চীনকে তুলে ধরেছে। এ সম্পর্কে একজন রোমের দর্শক বলেন:

"এ ধরণের তত্পরতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ আমি মনে করি, মানুষের উচিত পারস্পরিকভাবে নিজেদের মধ্যে বোঝাপড়া করা। তাই এবারের অনুষ্ঠানের সাহায্যে আমরা খুব কাছে থেকে চীনকে জানার সুযোগ পেয়েছি"।

বসন্ত উত্সব হচ্ছে সারা বিশ্বের সকল চীনাদের যৌথ উত্সব। এবারের বসন্ত উত্সবের উদযাপনী অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী প্রবাসী চীনা ও চীনা বংশোদ্ভূতরা এতে দারুণ মুগ্ধ হয়েছে। ইতালিতে বহু বছর থাকা চীনা হু সু লান বলেন, ইতালির চীনা সাংস্কৃতিক বর্ষের আয়োজন প্রবাসী চীনা ও চীনা বংশোদ্ভূতদের জন্য রোমের অধিবাসীদের সঙ্গে বসন্ত উত্সব উদযাপনের সুযোগ সৃষ্টি করেছে। এ সম্পর্কে তিনি বলেন:

"আগে বসন্ত উত্সব উপলক্ষে আমরা শুধু নিজের পরিবারের সবাই মিলে টেলিভিশন দেখি। তবে গত বছর থেকে ইতালির টেলিভিশনে চীনা সাংস্কৃতিক বর্ষ আয়োজনের মাধ্যমে রোমের অধিবাসীরা সক্রিয়ভাবে আমাদের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশ নেন। এভাবেই আমাদের একসাথে যোগাযোগের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। আশা করি, ভবিষ্যতেও আজকের মত আরও বেশি বসন্ত উত্সবের উদযাপনী অনুষ্ঠানের মতো সুন্দর অনুষ্ঠান আয়োজিত হবে"।

–ওয়াং হাইমান /আবাম