|
আংকারায় 'তুরস্কে চীনা সাংস্কৃতিক বর্ষ ২০১২' তুরস্কের রাজধানী আংকারায় ১২ ডিসেম্বর থেকে শুরু হয়েছে। চীনের প্রেসিডেন্ট হু চিন থাও ও তুরস্কের প্রেসিডেন্ট আব্দুল্লাহ গুল দু'দেশের পারস্পরিক সাংস্কৃতিক বর্ষ আয়োজনের জন্য অভিনন্দন বাণী পাঠিয়েছেন। চীনের সাংস্কৃতিক বর্ষের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে 'রেশম পথ' চীনের 'আধুনিক শিল্পীদের বিখ্যাত শিল্পকর্মের প্রদর্শনী' ও 'সিল্ক পথের নতুন কণ্ঠ' নামক সংগীত ও নৃত্য এবং অ্যাক্রোব্যাটিক পরিবেশনা এদিন অনুষ্ঠিত হয়। আচ্ছা বন্ধুরা, আজকের সাংস্কৃতিক বিনিময় অনুষ্ঠানে আমরা এ বিষয় নিয়েই আলোচনা করবো।
তুরস্কের এবারের চীনা সাংস্কৃতিক বর্ষ ১২ ডিসেম্বর বিকালে আংকারার সার আধুনিক শিল্প জাদুঘরে শুরু হয়েছে। চীনের সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী ইয়াং চি চিন এবারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে চীনের প্রেসিডেন্ট হু চিন থাও'র অভিনন্দন বাণী পাঠ করেন। তুরস্ক পক্ষও তুরস্কের প্রেসিডেন্ট গুলের অভিনন্দন বাণী পাঠ করে শোনায়। এ সম্পর্কে ইয়াং চি চিন বলেন:
'চীন-তুরস্ক দু'দেশ পারস্পরিকভাবে সাংস্কৃতিক বর্ষ কর্মসূচীর আয়োজন হচ্ছে দু'দেশের শীর্ষ নেতাদের পৌঁছানো একটি গুরুত্বপূর্ণ মতৈক্য। দু'পক্ষকে ঐতিহ্যবাহী মৈত্রীকে তুলে ধরে বন্ধুত্বপূর্ণ বিনিময় বাড়ানোর ব্যাপারে এটি এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। চীনা সাংস্কৃতিক বর্ষ সমৃদ্ধ রূপ ও বিষয়ের মধ্য দিয়ে তুরস্কের জণগণকে চীনের সুদীর্ঘকালের ইতিহাস, সমৃদ্ধ সংস্কৃতি ও উন্নয়নের সাফল্যকে পরিচয় করিয়ে দেবে। চীন-তুরস্ক দু'দেশ মানবিক যোগাযোগ জোরদার করলে তা বিশ্ব সংস্কৃতির বহুমুখী রক্ষা, বিভিন্ন সভ্যতার সংলাপকে ত্বরান্বিতকরণ এবং দু'দেশের জনগণের বোঝাপড়া ও মৈত্রীকে এগিয়ে নেয়ার ক্ষেত্রে ইতিবাচক ভূমিকা পালন করবে"।
চীন-তুরস্ক দু'পক্ষের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ২০১২ সালে তুরস্কে চীনা সাংস্কৃতিক বর্ষ আয়োজন করবে এবং ২০১৩ সালে চীনে তুরস্কের সাংস্কৃতিক বর্ষ আয়োজন কৱা হবে। তুরস্কের সংস্কৃতি ও পর্যটন মন্ত্রী আরতুগরুল গুনাই এবারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানেও অংশ নেন। তিনি তাঁর বক্তব্যে দু'দেশের পারস্পরিক সাংস্কৃতিক বর্ষ আয়োজনের জন্য অভিনন্দন জানান 'এবং এবারের কর্মসূচীকে কেন্দ্র করে দু'দেশের জনগণের মৈত্রী ত্বরান্বিতকরণের প্রত্যাশায় রয়েছেন। এ সম্পর্কে তিনি বলেন:
'আমি খুব গৌরবের সঙ্গে সবাইকে জানাতে চাই যে, ২০১২ সালে তুরস্কে ধারাবাহিক উচ্চ পর্যায়ের শিল্পকলা প্রদর্শনী ও সাংস্কৃতিক পরিবেশনা আয়োজিত হবে। ২০ শতাব্দীর প্রথম দিকে বিশ্বের দৃষ্টি হয়তো যুক্তরাষ্ট্রের ওপর ছিল। তবে ২১ শতাব্দীতে বিশ্বের দৃষ্টি চীনের ওপর থাকবে। একই সঙ্গে তুরস্কও ২১ শতাব্দীতে বিশ্বের দৃষ্টি রাখার কেন্দ্রে পরিণত হবে। দুটি মহা সভ্যতার নতুন বছরে একসাথে কাজ করা এবং অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে সংস্কৃতি ও শিল্পের ব্যাপক উন্নয়ন অর্জিত হবে। আমি আশা করি, দু'দেশের অব্যাহত উন্নয়নের সম্পর্ক বিশ্বে শান্তির সেতু স্থাপন করতে পারবে"।
© China Radio International.CRI. All Rights Reserved. 16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040 |