|
"তিব্বতী ঔষধ বা বৈজ্ঞানিক সৃজনশীলতা ক্ষেত্র হোক না কেন, কেন্দ্রীয় সরকার সব ভিন্ন মাত্রার আর্থিক সহায়তা দেয়। কেন্দ্রীয় সরকার জাতীয় ঔষধ বিশেষ করে তিব্বতী ঔষধকে এক গুরুত্বপূর্ণ সহায়তা গ্রহণকারী হিসেবে দেখে। এর মধ্যে বাণিজ্য ও পুঁজি আহরণের পরিবেশও বেশ ভাল"।
৬০ বছর আগে শিক্ষা গ্রহণ শুধু ধনী পরিবারের ছাত্রছাত্রীর ব্যাপার ছিল। সে সময় তিব্বতে স্কুল-বয়সী ছেলেমেয়ের স্কুলে ভর্তি হওয়ার হার ২ শতাংশের কম ছিল। তবে বর্তমানে ৯৯.২ শতাংশ স্কুল-বয়সী ছেলেমেয়ে স্কুলে লেখাপড়া করতে পারেন এবং ২৩.৪ শতাংশ তরুণ-তরুণী উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ করতে পারেন। তানচেং নিমা হচ্ছেন তাদের মধ্যে অন্যতম একজন। ২০০৪ সালে তিনি পেইচিংয়ের এক উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে লেখাপড়া শেষে নিজের জন্মস্থানে ফিরে এসে স্থানীয় অঞ্চলের একজন গ্রামীণ কর্মকর্তায় পরিণত হন। এ সম্পর্কে তিনি বলেন:
"আমাদের দেশের পশ্চিমাঞ্চলের মহা-উন্নয়ন কৌশল বাস্তবায়িত হচ্ছে। এখন ঠিক উন্নয়নের পর্যায়, সুতরাং এর জন্য প্রচুর দক্ষ মানুষ দরকার। আমি এখানে জন্মগ্রহণের পর লেখাপড়া করেছি তাই, জন্মস্থানের উন্নয়নে সহায়তা দেয়ার জন্য ফিরে আসা দরকার বলে আমি মনে করি"।
তিব্বতের ইতিহাসের একটি নতুন সূচনায় দাঁড়িয়েছে। এর মধ্য দিয়ে উন্নয়নের তেজশ্বী প্রাণশক্তি তুলে ধরা হয়। সম্প্রতি চীনের ভাইস-প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং তিব্বতে বলেন, ভবিষ্যতে তিব্বতের দ্রুত উন্নয়ন দরকার। এ সম্পর্কে তিনি বলেন:
" দ্রুত উন্নয়ন হচ্ছে তিব্বতের সব সমস্যা সমাধানের চাবিকাঠি বিষয়। কেন্দ্রীয় সরকারের বিশেষ কল্যাণকর নীতি তিব্বতের নির্দিষ্ট বিষয় ও বাস্তবতার সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে রাখতে হবে, যাতে তিব্বতের বিভিন্ন জাতির জাসাধারণের সবচেয়ে যত্নবান হয়ে সবচেয়ে সরাসরি ও সবচেয়ে বাস্তব ভিত্তিক সমাধান করা যায়।–ওয়াং হাইমান
© China Radio International.CRI. All Rights Reserved. 16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040 |