|
তিব্বতের শান নান অঞ্চলের চিন লু গ্রামের ৪৩ বছর বয়সী নিমাথুতেং হচ্ছেন স্থানীয় অঞ্চলের একজন সাধারণ অধিবাসী। এর আগে তাঁর পরিবারের অর্থ উপার্জনের প্রধান উপায় ছিল কৃষি পণ্য বিক্রয়। তবে বর্তমানে তিনি গরু ও শুকরের খামারের কাজ শুরু করেন। এভাবেই তাঁর আয় অনেক বেড়েছে বলে পরিবারের অবস্থাও উন্নতি হয়েছে। এ সম্পর্কে তিনি বলেন
" কৃষি ও পশুপালন শিল্প থেকে অর্জন আয় হচ্ছে আমার পরিবারের প্রধান অর্থনৈতিক উপায়। এখন প্রত্যেকটি গরুর দাম হচ্ছে ৬ হাজার ইউয়ান, এটি গত বছরের চেয়ে বেশি। আগে আমার বার্ষিক মোট আয় ছিল ১ হাজার ইউয়ান, তবে এখন প্রায় ৫ হাজারেরও বেশি ইউয়ান অর্জন করতে পারি"।
তিনি মনে করেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তিব্বতের সর্বোচ্চ পরিবর্তন হচ্ছে পানি , বিদ্যুত্, পরিবহণ ও তথ্য গ্রহণ। এ সম্পর্কে তিনি বলেন:
"আগে পানি খাওয়া বেশ অসুবিধাজনক ছিল। কারণ পানি আনতে হলে অনেক দূরে যাওয়া দরকার। এখন কত ভাল, অনেক কাছে, সুবিধা হয়"।
৬০ বছর ধরে কেন্দ্রীয় সরকার তিব্বত থেকে কোন টাকা নেয়নি। বরং তিব্বতের প্রতি সহায়তার ক্ষেত্র অব্যাহতভাবে সম্প্রসারণ করছে। তিব্বতে কেন্দ্রীয় সরকার সরাসরিভাবে ১৬০ বিলিয়ন ইউয়ান বরাদ্দ করেছে। কেন্দ্রীয় সরকারের অর্থ প্রদান ও সহায়তা প্রদান এবং বিশেষ কল্যাণ নীতির সাহায্যে তিব্বতে পুঁজি বিনিয়োগের আকর্ষণ শক্তি অব্যাহতভাবে জোরদার হয়েছে। জ্বালানি, প্রস্তুতকৃত খাদ্য, জাতীয় হস্তশিল্প ও তিব্বতী ঔষধসহ বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন শিল্প ব্যাপকভাবে তেজীয়ান হয়ে উঠেছে। কিছু স্ববৈশিষ্ট্যসম্পন্ন পণ্য দেশি-বিদেশি বাজারে বিক্রয় হচ্ছে।
পিনপাছিরেন হচ্ছেন 'ছি চেং' তিব্বতী ঔষধ গোষ্ঠীর ডিরেক্টর জেনারেল। এ গোষ্ঠী ১৯৯৫ সালে প্রতিষ্ঠিত বলে ইতোমধ্যেই দেশে একটি সর্বোচ্চ তিব্বতী ঔষধ উত্পাদন শিল্পপ্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। তিনি মনে করেন, তিব্বতের পুঁজি বিনিয়োগের পরিবেশ দিন দিন উন্মুক্ত হচ্ছে , সরকারের সেবাও খুবই ভাল। এ সম্পর্কে তিনি বলেন:
© China Radio International.CRI. All Rights Reserved. 16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040 |