|
বহু ক্ষেত্রের বিষয়গুলোর কারণে তিব্বতের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নের মান আপেক্ষিকভাবে নিম্ন পর্যায়ের। তিব্বতের উন্নয়নকে দ্রুততর করার জন্য ১৯৯৫ সাল থেকে কেন্দ্রীয় সরকার তিব্বতের প্রতি সহায়তা ব্যবস্থা নিতে শুরু করে। এর মধ্যে এক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে মূলভূভাগ থেকে শ্রেষ্ঠ তরুণ ক্যাডার নির্বাচিত করে তিব্বতে পাঠানো। সে সময় থেকে ইতোমধ্যেই ৬ দফায় মোট ৪ হাজার ৭ শ'রও বেশি তরুণ ক্যাডার তিব্বতে কাজ করেছেন। তাঁরা নিজদের জ্ঞান ও দক্ষতা দিয়ে তিব্বতের বিভিন্ন গঠনকাজে বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। তাই ওয়েই হচ্ছেন তাদের মধ্যে অন্যতম একজন।
সহজভাবে বললে তাই ওয়েই'র প্রধান কাজ হচ্ছে তিব্বত স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলে ইলেকট্রোনিক রাজনৈতিক বিষয় ও ইলেকট্রোনিক বাণিজ্য বাস্তবায়ন এবং গ্রামে নতুন আকারের বহুমুখী তথ্য সংক্রান্ত সেবা কেন্দ্র স্থাপন, এ তিনটি অংশ। এর মধ্যে গ্রামে নতুন আকারের বহুমুখী তথ্য সেবা কেন্দ্র স্থাপনের উদ্দেশ্য হচ্ছে ব্যাপক তিব্বতী কৃষক ও পশুপালকের জন্য নেট-ওয়ার্ক সেবা প্রদানের ব্যবস্থা করা। তাই ওয়েই বলেন, এক বছরে রাজধানী লাসার কাছাকাছি অঞ্চলে তাঁরা ৫০টি প্রশাসনিক গ্রাম বাছাই করে এখানে সেবা কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করেছি। এ সম্পর্কে তিনি বলেন:
"এখানকার প্রতিটি গ্রামে গ্রামীণ তথ্য সেবাকারীর বিন্যাস করা হয়েছে। তাঁরা নেট-ওয়ার্কের মাধ্যমে স্থানীয় কৃষক ও পশুপালকের উত্পাদনের দরকারী জ্ঞানসমূহ সংগ্রহ করে তারপর তিব্বতী ভাষায় অনুবাদ করেন। কম্পিউটারে প্রিন্টিংয়ের পর তাঁরা প্রত্যেক কৃষক ও পশুপালকের হাতে তা দেন। এভাবেই কৃষক ও পশুপালকেরা বেশি তথ্য পেতে সুবিধা হচ্ছে"।
বর্তমানে তাই ওয়েই'র মতো যারা তিব্বতের সহায়তা ক্যাডার, তাঁরা সবাই তিব্বতের বিভিন্ন খাতের প্রথম লাইনে কাজ করে তিব্বতের উন্নয়নের লক্ষ্যে নিজেদের যথাসাধ্য প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। --ওয়াং হাইমান
![]() |
© China Radio International.CRI. All Rights Reserved. 16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040 |