|
তাই ওয়েই'র ছুটিতে তাঁর সাক্ষাত্কার নেয়ায় তাঁকে অব্যাহতভাবে টেলিফোনের বিরক্ত করা হয়। ৩৫ বছর বয়সী তাই ওয়েই হচ্ছেন তিব্বতের প্রতি সহায়তা দেয়া ভূলভূভাগের ষষ্ঠ দফা ক্যান্ডারদের মধ্যে অন্যতম । তিব্বতে আসার আগে তিনি চীনের রাষ্ট্রীয় কম্পিউটার ও নেট-ওয়ার্ক জরুরী প্রযুক্তি সমন্বয় কেন্দ্রে কাজ করেছিলেন। তিব্বতের একজন সহায়তা ক্যাডার হিসেবে তিনি তিব্বত স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের শিল্প ও তথ্যায়ন বিভাগের তথ্যায়ন ত্বরান্বিত অফিসের উপ-মহাপরিচালকের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তিনি প্রধানত স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের তথ্যায়ন সিস্টেম গড়ে তুলতে দায়িত্বশীল। কেন তিব্বতে কাজ বাছাই করেছেন সে সম্পর্কিত আলোচনায় তাই ওয়েই বলেন:
"২০১০ সালের ১২ মে তিব্বতের প্রতি সহায়তা দেয়ার খবর পেয়েছি। নিজের পছন্দ এবং তিব্বতে যাওয়ার জন্য অত্যন্ত আগ্রহী ও তরুণকালে এ ধরণের অভিজ্ঞতা থাকলে আমার নিজের ব্যক্তিগত উন্নয়নের জন্যও এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ বলে মনে করেছে। সুতরাং, আমি তিব্বতে আসাকেই বাছাই করেছি"।
তিব্বতের রাজধানী লাসা সমুদ্রপৃষ্ঠ ৩ হাজার ৭ শ' মিটার উঁচুতে। আকাশে অক্সিজেনের পরিমাণ খুবই কম। দীর্ঘকাল সমতলে থাকা তাই ওয়েই'র জন্য কীভাবে উচ্চতার অসুস্থতা অতিক্রম করা যায় এটি হচ্ছে তাই ওয়েই লাসায় পৌঁছানোর পর এক প্রধান দায়িত্ব। এ সম্পর্কে তিনি বলেন
"আসার প্রথম রাতের প্রায় মধ্য রাতে আমার মাথা খুবই ব্যাথা হয়, যেন মরে যাবার মতো। আসলে আমার প্রতিক্রিয়া তেমন তীব্র নয়, আমার সাথে আসা কয়েকজন সহকর্মীরা গুরুতর ধমনীর রোগে আক্রান্ত হন। মালভূমিতে এ রোগে আক্রান্ত হলে সময়মত চিকিত্সা গ্রহণ না করলে প্রাণের জন্য হুমকি সৃষ্টি সম্ভব"।
প্রায় এক সপ্তাহ পর তাই ওয়েই ধাপে ধাপে মালভূমির আবহাওয়ার সাথে খাপ খাইয়ে নিতে সক্ষম হন। তিনিও নির্দিষ্ট কাজে অংশ নেন।
© China Radio International.CRI. All Rights Reserved. 16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040 |