|
ফেং ইয়ানের দিনপঞ্জিতে লেখা হয়েছে, "তিব্বতকে বাছাই করেছি মানে জীবন উত্সর্গকে বাছাই করেছি। তুষারাচ্ছন্ন পার্বত্যাঞ্চলকে বিয়ে করেছি। আমি নিজের জীবন দিয়ে চীনা কমিউনিস্ট পার্টির প্রতিশ্রুতি মেনে চলতে চাই। না ছু অঞ্চলে একদিন বেশি থাকলে এখানকার কর্মকর্তা ও সৈন্যদের স্বাস্থ্যের প্রতি নিজের অবদান রাখতে পারবো।"
ফেং ইয়ান যেভাবে তাঁর মনের কথা ব্যক্ত করেছেন কাজও করেছেন সেভাবে। বারো বছর ধরে তিনি তুষারাচ্ছন্ন পার্বত্যাঞ্চল, হিমনদী, জলাভূমি, পাকে পরিপূর্ণ পুষ্করিণী ইত্যাদির ভেতর ছুটে বেড়িয়েছেন। না ছু অঞ্চলে সামরিক শাখা প্রতিষ্ঠানের সকল তৃণমূল চিকিত্সা প্রতিষ্ঠানে গেছেন। তিনি বিনাখরচে রোগীদের সেবা দিয়েছেন। কর্মকর্তা ও সৈন্যদের সুস্থতা হচ্ছে ফেং ইয়ানের সবসময় স্মরণে রাখা একটি কথা।
প্রথমবার যখন ডাক্তারের সঙ্গে সামরিক শাখা প্রতিষ্ঠানে চিকিত্সা সেবাদেন তখন ফেং ইয়ান দেখেন যে, প্রশিক্ষণ গ্রহণের সময় একজন সৈন্য হঠাত্ বাম পায়ে আঘাত পেয়ে রক্তাক্ত হয়েছে। এ সম্পর্কে ফেং ইয়ান বলেন:
"আমি ভেবেছিলাম যে, এটি সামান্য একটু আঘাত্। বিদ্যালয়ে অর্জিত জ্ঞান দিয়ে বিষয়টি ঠিক করতে পারবো। কিন্তু আমি রক্তপাত বন্ধ করতে পারি না। সহকর্মীর কাছ থেকে সহায়তা নিয়ে অবশেষে ওই সৈন্যের রক্তপাত বন্ধ করি। এ থেকে আমার কাছে একথা স্পষ্ট হয় যে, বিদ্যালয়ে অর্জিত জ্ঞানই যথেষ্ট নয়।"
এর পর সময় পেলেই ফেং ইয়ান ডরমিটরিতে থেকে মালভূমির বিশেষ যত্নবিদ্যা শেখেন। তৃণমূল পর্যায়ের কর্মকর্তা ও সৈন্যদের ভালভাবে সেবা দেয়ার জন্য তিনি খুবই মনযোগ নিয়ে চিকিত্সা বিষয় শেখেন।
কল্যাণমুখী ফুল — কে সাং হুয়ার মতো ফেং ইয়ান তুষারাচ্ছন্ন পার্বত্যাঞ্চলে সারাক্ষণ ফুটে থাকেন। তাঁর কারণে সুন্দর তৃণভূমি আরও সমৃদ্ধ ও সুন্দর হয়ে উঠেছে।–ওয়াং হাইমান/এসআর
© China Radio International.CRI. All Rights Reserved. 16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040 |