|
'মূলভূভাগে শিক্ষাগ্রহণে তিব্বতকে সহায়তা প্রদান' সংক্রান্ত কেন্দ্রীয় সরকারের কল্যাণমূলক নীতির আওতায় ১৩ বছর বয়সী তে চি লা মু চীনের হে নান প্রদেশের রাজধানী চেং চৌয়ে লেখাপড়ার সুযোগ পান। এর পর তিনি তিব্বত বিশ্ববিদ্যালয়ে জাপানি ভাষা শেখেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া শেষ করার পর তিনি পর্যটন সংস্থায় যোগ দেন। তিনি সেখানে পথনির্দেশকের দায়িত্ব পালন করেন। তবে শুরুর দিকে তিনি এ কাজটি তেমন পছন্দ করতেন না। এ সম্পর্কে তিনি বলেন:
"পথনির্দেশনা কেমন পেশা সে সম্পর্কে সেসময় আমি তেমন কিছুই জানতাম না। এমন কি, কাজ করার শুরুর দিকে এ পেশায় নিয়োজিত মানুষের সংখ্যাও খুব কম ছিল।"
তবে ২০০৬ সালে ছিংহাই-তিব্বত রেলপথ চালু হওয়ার পর প্রতিদিন ৪টি ট্রেন তিব্বতে প্রবেশ করতে শুরু করে। আর তাতে তিব্বতে আগত দেশি-বিদেশি পর্যটকের সংখ্যাও ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পায়। পর্যটনের ব্যস্ততম সময়ে প্রতিদিন গড়ে প্রায় ৩ হাজার পর্যটক আসে তিব্বতে। সে সময় তে জি লা মুও খুব ব্যস্ত থাকেন। তিনি বলেন, শুরুর দিকে মাত্র ২-৩ জন পর্যটকের সঙ্গে কথা বলতেও তিনি স্নায়ুবিক অস্থিরতায় ভুগতেন। এখন ৩০-৪০জন নিয়ে গঠিত পর্যটন দলের সামনেও সাবলীলভাবে কথা বলতে পারেন তিনি। তে জি বলেন, পথনির্দেশনার কাজটি যে কেবল তার আয় বাড়িয়েছে তা নয়; তা বরং তার আত্মবিশ্বাসও গড়ে তুলেছে। এ সম্পর্কে তিনি বলেন:
"পথনির্দেশনা কাজের মধ্য দিয়ে আমি বিশ্বের বিভিন্ন স্থানের বন্ধুদের সঙ্গে পরিচিত হতে পারি। তাদের কাছ থেকে আমি অনেক জিনিস শিখতে পারি। অবশ্য আমার কাছ থেকে তাঁরাও তিব্বতের চলমান অবস্থা ও রীতি-নীতি সম্পর্কে জানতে পারেন।"
© China Radio International.CRI. All Rights Reserved. 16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040 |