|
বন্ধুরা, ৭৩ বছর বয়সী সিয়াং পিয়ান চিয়া ছুও হচ্ছেন চীনের একজন খ্যাতিমান তিব্বতবিদ। ষাট বছর আগে তিনি চীনা গণমুক্তি ফৌজে অংশ নেন এবং স্বেচ্ছাপ্রণোদিত হয়ে তিব্বতের মুক্তি প্রক্রিয়ায় অবতীর্ণ হন। তিনি তিব্বত থেকে এসে মূলভূভাগে লেখাপড়া করা প্রথম তিব্বতী তরুণ-তরুণীর মধ্যে অন্যতম একজন। তাঁর রচিত 'কে সাং মেই তুও' হচ্ছে নয়া চীন প্রতিষ্ঠার পর কোনো তিব্বতীর লেখকের প্রথম উপন্যাস। বন্ধুরা, আজকের সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব অনুষ্ঠানে আমরা তিব্বতবিদ সিয়াং পিয়ান চিয়া ছুও'র গল্প আপনাদেরকে শোনাবো।
১৯৩৮ সালে চীনের সি ছুয়ান প্রদেশের পা আন জেলায় জন্মগ্রহণ করেন সিয়াং পিয়ান চিয়া ছুও। পা আন হচ্ছে সি ছুয়ান ও তিব্বতের সংলগ্ন স্থল। ওখানকার বিশিষ্ট ভৌগলিক অবস্থান ও সাংস্কৃতিক পটভূমির কারণে অধিবাসীরা সাধারণত দুই থেকে তিনটি ভাষায় কথা বলতে পারে।
সিয়াং পিয়ান চিয়া ছুও বলেন, তাঁর ছোটবেলার জীবন ছিল খুবই দারিদ্রপীড়িত। ১৯৪৯ সালের ডিসেম্বরে পা আন জেলা মুক্ত হয়। তার পরের বছরের জুনে চীনা গণমুক্তি ফৌজ তাঁর জন্মস্থানে আসে। তখন তার বয়স মাত্র ১২ বছর। স্কুলের গণ্ডি পেরোনোর পর পরিবারের আর্থিক অসঙ্গতির কারণে তিনি আর লেখাপড়া চালিয়ে যেতে পারেন না। সে সময় তিনি চীনা গণমুক্তি ফৌজে অংশ নেন। তখন তিনি বয়সে ছিলেন তিব্বতী সৈন্যদের মধ্যে সর্বকনিষ্ঠ। বিষয়টি তিনি স্মরণ করেন এভাবে:
"তখন তিব্বত মুক্ত ছিল না। চীনা গণমুক্তি ফৌজ সে সময় তিব্বত অভিমুখে যাচ্ছিল। আমার জন্মস্থানের মধ্য দিয়ে যাওয়ার সময় আমি গণমুক্তি ফৌজে যোগ দেই। তখন আমার বয়স মাত্র ১২ বছর।"
© China Radio International.CRI. All Rights Reserved. 16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040 |