লি সিয়াও লুং বলেন, এ ওয়েবসাইটের কার্যক্রম মৌলিকভাবে কর্মীদের নিজস্ব অর্থ সংগ্রহ এবং রক্ষণাবেক্ষণের ওপর নির্ভর করে চলছে। তবে আনন্দের ব্যাপার হচ্ছে, মুসলমান তরুণ-তরুণীদের নিজস্ব উদ্যোগে সৃষ্ট একটি সৃজনশীল প্রকল্প হিসাবে এ ওয়েবসাইটের উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় চীনের ইসলাম ধর্ম সমিতিসহ বিভিন্ন সংস্থার নির্দেশনা ও সহায়তা পাওয়া যায়। এ সম্পর্কে তিনি বলেন:

"আমাদের উচিত এ মহাযুগকে ধন্যবাদ জানানো। এর মাধ্যমে মুসলমানদেরকে আরো বেশি বাকস্বাধীনতার অধিকার দেয়া যায় এবং ইসলামি সংস্কৃতিও প্রচার করা যায়"।

বিগত তিন বছরে 'চীনা মুসলমান তরুণ-তরুণী ওয়েবসাইট' মুসলমান অধ্যূষিত স্থানীয় সরকারের সঙ্গে সুষ্ঠু সহযোগিতার সম্পর্ক স্থাপন করেছে। একই সঙ্গে এ ওয়েবসাইট বিদেশী মুসলমানদের সঙ্গে চীনা মুসলমানদের বিনিময় ও সহযোগিতা জোরদার করার জন্য যথাসাধ্য প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তাছাড়াও এ ওয়েবসাইটে অধ্যায়নরত ছাত্রছাত্রীদের জন্য বিশেষ সেবা ব্যবস্থাও তুলে ধরা হয়েছে। সম্প্রতি 'চীনা মুসলমান তরুণ-তরুণী ওয়েবসাইট'ও চীনের ইসলাম ধর্ম সমিতির যৌথ উদ্যোগে 'চীনের আন্তর্জাতিক মুসলিম শিল্পপ্রতিষ্ঠানের তৃতীয় শীর্ষ ফোরাম' পেইচিংয়ে আয়োজিত হয়। 'চীনা মুসলমান তরুণ-তরুণী ওয়েবসাইট' চীনের মুসলমান মহলে বেশ বিখ্যাত হয়ে উঠেছে। এ সম্পর্কে লি সিয়াও লুং বলেন:

"তিন বছরে আমি শুধু টাকা ঢেলেছি কোন অর্থ উপার্জন করিনি। আমাকে যদি জিজ্ঞেস করা হয়, আমি কী কী লাভ পেয়েছি, তাহলে আমার উত্তর হচ্ছে আমার চেতনা উন্নত হয়েছে। আমি মনে করি, 'চীনা মুসলমান তরুণ-তরুণী ওয়েবসাইট' ইসলামি সংস্কৃতি প্রচার, মুসলমানদের ভাবমুর্তি উন্নয়ন, বিভিন্ন জাতির মধ্যে সম্প্রীতিময় সম্পর্ক ত্বরান্বিতকরণ এবং দেশের স্বার্থ রক্ষাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বেশ গুরুত্বপূর্ণ তাত্পর্য বহন করছে।"

'চীনা মুসলমান তরুণ-তরুণী ওয়েবসাইট' মুসলমানদেরকে সেবা প্রদান করার এবং অমুসলমানের সঙ্গে তাদের মৈত্রী ত্বরান্বিত করার জন্য এক সেতু স্থাপন করেছে।

এর মধ্য দিয়ে অনেক আন্তরিক নেট ব্যবহারকারী তৈরি হয়েছে। চীনের কেন্দ্রীয় জাতি বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র হে ই তুং হচ্ছেন তাদের মধ্যে অন্যতম একজন। হে ই তুং আমাদের সংবাদদাতাকে বলেন, 'চীনা মুসলমান তরুণ-তরুণী ওয়েবসাইট' অনেক মুসলমান ছাত্রছাত্রীদের প্রশংসা কুড়িয়েছে। এ সম্পর্কে তিনি বলেন:

"আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে মুসলমান ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা একটু বেশি। সুতরাং সবাই পরস্পরকে জানাতে পারেন। একই সঙ্গে আমাদের ওয়েবসাইটে সংশ্লিষ্ট তথ্য বেশি জনপ্রিয় বলে সবাই এ ওয়েবসাইট দেখতে পছন্দ করেন"।

এ ওয়েবসাইট কেবল যে ব্যাপক নেট ব্যবহারকারীদের মধ্যে জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে তা নয়, ইসলামি দেশগুলোর নেট ব্যবহারকারী ও সংবাদমাধ্যমের গুরুত্বও অর্জন করেছে। চীনে ইরান, তুরস্ক ও সৌদি আরবসহ অনেক দেশের রাষ্ট্রদূত এ ওয়েবসাইটের ভূয়সী প্রশংসা করেন। ২০১০ সালের নভেম্বর মাসে তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আহমেদ দাভুতোলু চীন সফরকালে এ ওয়েবসাইটের প্রধান লি সিয়াও লুংয়ের সঙ্গে সাক্ষাত্ করেন। দাভুতোলু প্রশংসা করে বলেন, চীনা মুসলমানরা হচ্ছেন চীন ও তুরস্কের বন্ধুত্বপূর্ণ যোগাযোগের সেতু এবং 'চীনা মুসলমান তরুণ-তরুণী ওয়েবসাইট' হচ্ছে দু'দেশের সংস্কৃতি ও বেসরকারী বিনিময় ত্বরান্বিত করার এক কার্যকর মঞ্চ। --ওয়াং হাইমান