|
বন্ধুরা, আজকের 'সাংস্কৃতিক সম্ভার' অনুষ্ঠানে রয়েছে সাংস্কৃতিক ঘটনা,আপনাদের প্রিয় গল্পের ঝুলি এবং চীনের ঐতিহ্যবাহী কয়েকটি সুন্দর গান। প্রথমে শুনুন সাংস্কৃতিক ঘটনা।
২৫ নভেম্বর এক শ' তরুণ-তরুণীকে নিয়ে গঠিত চীনের একটি প্রতিনিধি দল ভারতে ১০ দিনের মৈত্রী সফর শেষ করেছে। ভারত সফরকালে চীনা তরুণ-তরুণীরা ভারতের উন্নয়ন খুব কাছে থেকে দেখেছেন ভারতের বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন সংস্কৃতিকে এবং ভারতের সৌন্দর্যময় রীতি-নীতিকে অনুভব করেছেন আন্তরিকতার সাথে। এ ছাড়াও তাঁরা চীন ও ভারতের বিনিময় গভীর করার প্রয়োজনীয়তার দিকটিও উপলদ্ধি করেছেন। সবাই মনে করেন, বিনিময় জোরদার করলে যোগাযোগ ত্বরান্বিত করা সম্ভব এবং সমঝোতা গভীর করলে মৈত্রীও ত্বরান্বিত হবে। আচ্ছা বন্ধুরা, আজকের সাংস্কৃতিক ঘটনা অনুষ্ঠানে আমরা এ বিষয় নিয়েই আলোচনা করবো।
এবারের চীনা প্রতিনিধি দলের মধ্যে ছিল চীনের বিভিন্ন স্থানের কর্মরত প্রতিভাবান তরুণ-তরুণী কর্মী, শিল্পপতি, শিক্ষক, পন্ডিত, শিল্পী, সংবাদমাধ্যম কর্মী ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা। ১০দিনব্যাপী সফরকালে এ প্রতিনিধি দলটি নয়াদিল্লী, আগ্রা, রানছি ও কোলকাতাসহ ছোট ও বড় বিভিন্ন শহর সরেজমিনে পরিদর্শন করেছে। ভারতের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিদর্শনকালে তাঁরা ভারতীয় ছাত্রছাত্রীর সঙ্গে নিজেদের চিন্তা ভাবনা নিয়ে শিক্ষা বিষয়ক মত বিনিময় করেন। কৃষির পরিক্ষামূলক কেন্দ্রে গিয়ে তাঁরা ভারতের আধুনিক কৃষি প্রযুক্তির অভিজ্ঞতা নিয়েছেন। ঐতিহাসিক স্থান ও দৃশ্যাবলী পরিদর্শনের মধ্য দিয়ে ভারতের সাংস্কৃতিক উত্তরাধিকার রক্ষার বিষয়টি উপলদ্ধি করেছেন। এর কল্যাণে চীন ও ভারতের বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন সংস্কৃতি পারস্পরিকভাবে বিনিময় করতে পেরেছেন।
এ প্রতিনিধি দলের প্রধান এবং চীনের জাতীয় তরুণ-তরুণী ফেডারেশনের উপ-মহাসচিব ওয়ান সুয়ে চুন বলেন, এবারের ভারত সফরের মাধ্যমে দু'দেশের তরুণ-তরুণীরা চিন্তাধারা ও শিক্ষাগত বিনিময়ের মাধ্যমে পরস্পরের সমঝোতাকে জোরদার করেছে। এবারের সফর ফলপ্রসূ সফর হয়েছে বলে তারা মনে করেন। এ সম্পর্কে তিনি বলেন:
চীনে একটি প্রাচীন কথা আছে, 'দশ হাজার বই পড়ো আর দশ হাজার মাইল হাঁটো'। তাহলেই কেবল নিজেকে কিছুটা জানার পথে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারো। এ পর্যন্ত আমরা সম্ভবত সংবাদ মাধ্যম যেমন পত্রিকা, টেলিভিশন ও ওয়েব-সাইটসহ বিভিন্ন চ্যানেলের সাহায্যে ভারতকে জানতে পারছি। ভারত সম্পর্কে জানা শুধু বই পর্যায়ে রয়েছে। এ ১০দিনব্যাপী সফর ও পরিদর্শনের মাধ্যমে ভারত সম্পর্কে সমঝোতা সুগভীর, ভারতের তরুণ-তরুণীর সঙ্গে পারস্পরিক মত বিনিময় ত্বরান্বিত এবং মৈত্রীও গভীর হয়েছে। এবারের সফর খুবই ফলপ্রসূ"।
ভারত সফরকালে বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন সফর ও পরিদর্শন তত্পরতা চীনা তরুণ-তরুণী প্রতিনিধিদের মাঝে বিভিন্ন অনুভতি এনে দিয়েছে। সুন্দর প্রাকৃতিক দৃশ্য, সুগভীর সাংস্কৃতিক দৃশ্যাবলী, খুবই সুন্দর ভারতীয় নাচগান, উত্ফুল্ল ভারতীয় তরুণ-তরুণীদের সাথে আন্তরিক চিন্তাধারা বিনিময় এসব কিছুই চীনা তরুণ-তরুণীদের মনে প্রগাঢ় ছাপ ফেলেছে। এ প্রতিনিধি দলের সদস্য এবং চীনা তরুণ-তরুণী গবেষণা কেন্দ্রের কর্মী লিউ লি ইয়ান বলেন:
" ভারতীয় জনগণ খুবই বন্ধুত্বপূর্ণ। এখানে এসে আমার সর্বোচ্চ অনুভতি হচ্ছে এ সমাজ ব্যবস্থায় জনগণের মিশ্র অবস্থান খুবই সম্প্রীতিময়"।
তবে সফরকালে একটি বিষয় সবাই উপলদ্ধি করেছি যে, অনেক সাধারণ ভারতীয় চীন সম্পর্কে স্পষ্টভাবে জানতে পারেন না। চীন ও ভারতের তরুণ-তরুণীদের মধ্যে পরিচয়ের ব্যবধানও বেশি। আকানশা হচ্ছেন ঝারখন্ড রাজ্যের রাজধানী রানছি শহরের বিরলা ইন্সটিটিউট অব প্রযুক্তির দ্বিতীয় বর্ষের একজন ছাত্রী । তিনি বলেন, তিনি শুধু বই থেকে চীনের সংশ্লিষ্ট তথ্য পড়েছেন এবং চীনের
নির্দিষ্ট অবস্থা তেমন একটা জানেন না। এ সম্পর্কে তিনি বলেন:
"আসলে আমি কখনো চীনে যাই নি। সুতরাং, সেখানকার অবস্থা স্পষ্টভাবে জানতে পারি না। শুনেছি চীন একটি বড় দেশ, তার উন্নয়নও খুবই দ্রুত এবং সেখানকার বৈজ্ঞানিক উন্নয়নও দ্রুতভাবে চলছে। আমি আরও জানি যে, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চীন ও ভারতের সম্পর্ক সুষ্ঠুভাবে বজায় রয়েছে। তবে চীনা সংস্কৃতি সম্পর্কে আমি কিছুই জানি না। সুযোগ পেলে আমি চীনে যেতে চাই"।
![]() |
© China Radio International.CRI. All Rights Reserved. 16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040 |