চীন ও পোর্তুগীজভাষী দেশগুলোর আর্থ-বাণিজ্যিক সহযোগিতা ফোরামের মন্ত্রী পর্যায়ের তৃতীয় সম্মেলন ১৩ ও ১৪ নভেম্বর ম্যাকাও-এ অনুষ্ঠিত হয়েছে। চীন ও পোর্তুগীজভাষী দেশগুলোর আর্থ-বাণিজ্যিক সহযোগিতা ও উন্নয়নকে জোরদার করার উদ্দেশ্যে এ ফোরাম গড়ে তোলা হয়। এর লক্ষ্য হচ্ছে বিভিন্ন সদস্য দেশের পারস্পরিক আস্থা গড়ে তুলতে সহায়তা প্রদানের পাশাপাশি পারস্পরিক সুযোগ সুবিধার দিকগুলো সৃষ্টি করা। আচ্ছা বন্ধুরা, আজকের 'সাংস্কৃতিক ঘটনা' অনুষ্ঠানে আমরা এ বিষয় নিয়েই আজ আলোচনা করবো।

২০০৩ সালে চীন ও পোর্তুগীজভাষী দেশগুলোর আর্থ-বাণিজ্যিক সহযোগিতা ফোরাম প্রতিষ্ঠার পর থেকে এ পর্যন্ত চীন ও পর্তুগাল ফোরাম দ্রুততার সাথে তার উন্নয়ন ঘটিয়েছে। এ ফোরাম প্রতিষ্ঠার শুরুর দিক থেকেই চীন ও পোর্তুগীজভাষী দেশগুলোর অর্থ-বাণিজ্য, পুঁজি বিনিয়োগ ও শিল্পপ্রতিষ্ঠানের সহযোগিতা উন্নয়নের জন্য বেশ প্রচেষ্টা চালিয়েছে। ২০০৬ সাল থেকে এ ফোরামের কার্যাবলীতে আরও অন্তর্ভূক্ত হয়েছে পরিবহণ, গণ-সেবা ও বৈজ্ঞানিক সহযোগিতাসহ নতুন কয়েকটি বিষয়।

ম্যাকাও বিশেষ প্রশাসনিক সরকারের আইন প্রণয়ন সমিতির ভাইস-চেয়ারম্যান হে ই ছেং চীন আন্তর্জাতিক বেতারকে দেয়া এক সাক্ষাত্কারে বলেন, এ ফোরামকে চীন ও পোর্তুগীজভাষী দেশগুলোর আর্থ-বাণিজ্যিক সহযোগিতা উন্নয়নের একটি নতুন সুযোগ বলে অভিহিত করা হয়। এ সম্পর্কে হে ই ছেং বলেন:

" ঐতিহাসিক দিক বিবেচনা করলে দেখা যায় যে, ম্যাকাও বিশেষ প্রশাসনিক সরকার চীন ও পোর্তুগীজভাষী দেশগুলোর আর্থ-বাণিজ্যিক সহযোগিতা উন্নয়নে প্রচুর কাজ করেছে। ২০০৩ সালে চীন ও পোর্তুগীজভাষী দেশগুলোর আর্থ-বাণিজ্যিক সহযোগিতা ফোরামের প্রতিষ্ঠা থেকে এ পর্যন্ত এ প্রক্রিয়ার গতি খুবই স্বাভাকিকভাবে চলছে। এবারের ফোরামের মধ্য দিয়ে ম্যাকাও বিশেষ প্রশাসনিক সরকারের প্রতি চীন কেন্দ্রীয় সরকারের কাজের স্বীকৃতি প্রতিফলিত হয়েছে"।

চীন ও পোর্তুগীজভাষী দেশগুলোর আর্থ-বাণিজ্যিক সহযোগিতা ফোরামের তৃতীয় মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলন হচ্ছে এ ফোরাম প্রতিষ্ঠার পর অংশগ্রহণকারী নেতৃবৃন্দের দিক থেকে একটি সর্বোচ্চ পর্যায় এবং শিল্পপতিদের দিক থেকে একটি সর্বোচ্চ ব্যাপকতা সম্পন্ন সম্মেলন। এ ফোরামের প্রধান প্রতিপাদ্য হচ্ছে 'বহুমুখী সহযোগিতা ও সম্প্রীতিময় উন্নয়ন'। দু'দিনব্যাপী ফোরাম আয়োজনকালে মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলন, শিল্পপতি সম্মেলন এবং চীন ও পোর্তুগীজভাষী দেশগুলোর প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানসহ বিভিন্ন তত্পরতা ছাড়াও, এবারের ফোরামের সদস্য দেশগুলো আরও কয়েকটি 'অভিন্ন কার্যক্রম ২০১০-২০১৩'তে স্বাক্ষর করেছে। এ সম্পর্কে এ ফোরামের স্থায়ী মহাসচিব ছাং হে সি বলেন:

"চীন ও পোর্তুগীজভাষী দেশগুলোর মধ্যে আর্থ-বাণিজ্যিক ক্ষেত্রের সুপ্ত শক্তি বিশাল। এ 'অভিন্ন কার্যক্রম ২০১০-২০১৩' ফোরামের সদস্য দেশগুলোর অবিরাম উন্নয়ন ও সহযোগিতা বিশেষ করে মাঝারি ও ছোট আকারের শিল্পপ্রতিষ্ঠানকে সহযোগিতার জন্য একটি সময়োপযোগী সুযোগ সৃষ্টি করেছে"।