|
আচ্ছা বন্ধুরা, আজকের সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব অনুষ্ঠানে আমরা রাষ্ট্রদূত সুন চেন ইয়ুর সেই সাক্ষাতকারের কথাই এখন আপনাদের শোনাবো।
এবারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সম্মেলন রূদ্ধদ্বার আলোচনার মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হয়। বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা এবারের সম্মেলন সংশ্লিষ্ট কোন একটি তথ্যও প্রকাশ করেনি এবং কোন একটি সাংবাদিক সম্মেলনেরও আয়োজন করেনি। এ রহস্যময় সম্মেলন সম্পর্কে রাষ্ট্রদূত সুন চেন ইয়ু আমাদের সংবাদদাতাকে বলেন:
"দু'দিনব্যাপী এ উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সম্মেলনে প্রধানত কী হতে পারে আর কী করা যায় সে সব সমস্যা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে পরবর্তী রোড ম্যাপ ও আলোচনার পরিকল্পনা। সদস্যদের যৌথ প্রচেষ্টায় এবারের সম্মেলন বিভিন্ন আলোচ্য গ্রুপের চেয়ারম্যানকে পরবর্তী তিন মাসের আলোচনার পরিকল্পনা নির্ধারণ করার অনুরোধ জানায়"।
রাষ্ট্রদূত সুন চে ইয়ু বলেন, এ বছরের চতুর্থ কোয়ার্টারের বিস্তারিত কর্মসূচী নির্ধারণ ছাড়াও অংশগ্রহণকারী কর্মকর্তারা দোহা রাউন্ড আলোচনার উত্তরসূরীর বিষয় নিয়ে নিজেদের বক্তব্য রেখেছেন।
২০০১ সাল দোহা রাউন্ড আলোচনার শুরুর দিক থেকে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন পক্ষ ব্যাপক প্রচেষ্টা ও আপোষের মাধ্যমে কাজ করে আসছে। গত আট বছরের আলোচনার ফলাফলের মধ্য দিয়ে দোহা রাউন্ড আলোচনায় কৃষি এবং শিল্প ও সেবা বাণিজ্যসহ দু'টি প্রস্তাবের বিষয় প্রতিফলিত হয়েছে। কৃষি পণ্য সংক্রান্ত প্রস্তাবে পৃথক পৃথকভাবে ই ইউ ও যুক্তরাষ্ট্রকে ৮০ ও ৭০ শতাংশ কৃষি ভর্তুকি কমিয়ে দেয়ার অনুরোধ জানিয়েছে। রাষ্ট্রদূত সুন চেন ইয়ু মনে করেন, যুক্তরাষ্ট্রের জন্য এ প্রস্তাব বেশ খানিকটা সুযোগের সৃস্টি করেছে। এ সম্পর্কে তিনি বলেন:
" যুক্তরাষ্ট্রের ভর্তুকি কমানো তার নিজের জন্য কোন বড় সমস্যা নয়। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আন্তর্জাতিক খাদ্যশস্যের মূল্য বৃদ্ধির কারণে যুক্তরাষ্ট্রের বাস্তব কৃষি ভর্তুকি ইতোমধ্যেই ভর্তুকি কমানোর পরও আগের পরিমাণের চেয়ে অনেক কম। যেমন যুক্তরাষ্ট্র ৭০ শতাংশ ভর্তুকি কমিয়ে দেয়ার ফলে প্রতিবছর কৃষি ভর্তুকির মূল্য দাঁড়িয়েছে প্রায় ১৪.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে। তবে এর আগের দু'বছর কৃষির ওপর ভর্তুকি ছিল মাত্র ৮ থেকে ১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছিল"।
© China Radio International.CRI. All Rights Reserved. 16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040 |