|
জিভ অসুস্থ হয় সাধারণত হেলিকোবাক্টার পাইলোরি জীবানুর জন্য। তবে এ নামটি হয়তো আপনি শুধু ঔষধের বাক্সে দেখেছেন। তবে এটি হচ্ছে গ্যাস্ট্রিক আলসারে আক্রান্ত হওয়ার একটি প্রধান কারণ। এ ক্ষেত্রে যিনি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন তিনি হচ্ছেন ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লিনিক্যাল মাইক্রোবায়োলজির অধ্যাপক ব্যারি জে মার্শাল। তিনি ২০০৫ সালে শরীর বিজ্ঞানে নোবেল পদক পেয়েছেন। সম্প্রতি তিনি শাংহাই বিশ্বমেলার অস্ট্রেলিয়ান ভবনে এসে সকলের সাথে তার পদক অর্জনের বিষয়টি নিয়ে মত বিনিময় করেছেন। হ্যাঁ, বন্ধুরা, আমরা আজকের 'সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব' অনুষ্ঠানে সেই উদ্ভাবক ব্যারি জে মার্শালের কথা আপনাদের শোনাবো।
অধ্যাপক ব্যারি জে মার্শাল স্নাতকোত্তর করার পর ১৯৮১ সালে ৩০ বছর বয়সে অস্ট্রেলিয়ার একটি হাসপাতালে যোগ দেন। এখানে তিনি রবিন ওয়ারেনের সাথে পরিচিত হন। রবিন ওয়ারেনও গ্যাসট্রিক আলসার নিয়ে গবেষণার একজন অনুরাগী।
১
৯৭৯ সালে ওয়ারেন হেলিকোবাকটার পাইলোরি জীবানু আবিষ্কার করেন। এ জীবাণু শুধু গ্যাসট্রিক আলসার রোগীর শরীরে থাকে বলে তিনি প্রমান করেন। তবে তাঁর এ বক্তব্যের ওপর তখন কেউ মনোযোগ দেননি। শুধু মার্শাল তাঁকে সাহায্য করার প্রতিশ্রুতি দেন। তাঁরা দু'জন এ হেলিকোবাকটার পাইলোরির ওপর মৌলিক গবেষণা করে একজন পাঠকদের জন্য চিঠি লিখে তাদের গবেষণার ফলাফল ব্রিটেনের বিখ্যাত চিকিত্সা বিষয়ক ম্যাগজিন ' দি ল্যানসেট'রের সম্পাদকের কাছে পাঠিয়ে দেন। এটি হচ্ছে তাদের প্রথমবারের মতো আনুষ্ঠানিকভাবে চিকিত্সা বিষয়ক ম্যাগজিনে তাদের বক্তব্য প্রকাশ। সময়টি ছিল ১৯৮৩ সাল।
তবে হেলিকোবাকটার পাইলোরি কীভাবে গ্যাসট্রিক আলসার রোগের সৃষ্টি করে এ সম্পর্কিত পরীক্ষা করার জন্য সে সময় কোন একটি পশুকেও বাছাই করতে পারেননি তারা। স্বেচ্ছাসেবক ঘাটতির প্রেক্ষাপটে মার্শাল নিজেই নিজের ওপর পরীক্ষা করার সিদ্ধান্ত নেন। তিনি স্ত্রীর সাথে আলোচনা না করে সরাসরিভাবে হেলিকোবাকটার পাইলোরি খেয়েছেন। এ সম্পর্কে তিনি বলেন:
"এর শুরুর কয়েক দিনে তেমন একটা কিছু ঘটে নি। পঞ্চমদিন ভোরে ঘুম থেকে উঠার সাথে সাথে আমি বমি করতে শুরু করি। এর পরের কয়েক দিনে আমার অবস্থা বেশ গুরুতর আকার ধারণ করে"।
© China Radio International.CRI. All Rights Reserved. 16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040 |